ময়মনসিংহে শিক্ষকের বিরুদ্ধে মাদ্রাসাছাত্রকে পিটিয়ে মেরে ফেলার অভিযোগ
প্রকাশিতঃ 8:50 pm | March 05, 2018
![](https://www.kaleralo.com/wp-content/uploads/2018/03/taohid-pic.jpg)
নিজস্ব প্রতিবেদক, কালের আলো:
ময়মনসিংহের ভালুকা উপজেলার জামিরদিয়ার মাস্টারবাড়ি এলাকায় শিক্ষকের বিরুদ্ধে এক মাদ্রাসাছাত্রকে পিটিয়ে মেরে ফেলার অভিযোগ উঠেছে ।
জানা গেছে, এলাকার ওমর ফারুক (রা.) হাফিজিয়া কিন্ডারগার্টেন মাদ্রাসার শিক্ষক আমিনুল ইসলামের লাঠিপেটায় মারাত্মক আহত হয় তাওহীদ নামের ওই ছাত্র। তাকে ঢাকার বক্ষব্যাধি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। রোববার রাত ১২টার দিকে চিকিৎসাধীন অবস্থায় সে মারা যায়।
এ ঘটনায় প্রতিষ্ঠানটির প্রধান শিক্ষককে আটক করেছে পুলিশ। ঘাতক শিক্ষক আমিনুল ইসলাম পলাতক রয়েছেন।
জানা গেছে, উপজেলার পাঁচগাঁও গ্রামের কয়েস মিয়ার ছেলে তাওহিদকে ৪ বছর আগে জামিরদিয়ার এলাকার ওমর ফারুক (রা.) হাফিজিয়া কিন্ডারগার্টেন মাদ্রাসায় ভর্তি করা হয়। তাওহিদ এ পর্যন্ত ১৮ পাড়া কোরআন শরিফ মুখস্ত করেছে। গত ২৭ ফ্রেব্রুয়ারি তাওহিদকে দেড় পাড়া কোরআন শরিফ পড়তে দেন প্রতিষ্ঠানটির শিক্ষক হাফেজ আমিনুল ইসলাম (২৫)। সে ৭ পৃষ্ঠা মুখস্ত শুনানোর পর বাকিটুকু না শুনাতে তাকে বাঁহাত, পা, বুকে, পিঠে মারপিট করেন ওই শিক্ষক। এতে তাওহিদের বাম পা, হাত ও বুকের বাম পাশের পাঁজরের হাড় ভেঙে যায়। তাওহিদকে মাদ্রাসায় রেখে চিকিৎসা দেয়ায় কোনো উন্নতি না হওয়ার তার পরিবারকে মাদ্রাসা থেকে খবর দেয়া হয় তাওহিদ খেলতে গিয়ে বুকে ও পায়ে আঘাত পেয়েছে। তাওহিদের বাবা তাকে প্রথমে ভালুকা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে পরে শুক্রবার ময়মনসিংহের কমিউনিটি মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করেন।
অবস্থার অবনতি হলে রোববার দুপুরে তাওহিদকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। ঢামেক থেকে রাতে বক্ষব্যাধি হাসপাতালে পাঠালে রোববার রাত ১২টার দিকে তাওহিদ মারা যায়। মৃত্যুর পর নিহতের পরিবার লাশ নিয়ে ভালুকা মডেল থানায় চলে আসে।
আমিনুল ইসলামের বাড়ি ময়মনসিংহের ঈশ্বরগঞ্জ উপজেলায়।
ভালুকা মডেল থানার ওসি মামুন অর রশিদ জানান, শিক্ষকের পিটুনিতে ছাত্র আহত হওয়ার পর উপযুক্ত চিকিৎসা না পাওয়ায় ছাত্রটি মারা গেছে। এ ঘটনায় থানায় একটি মামলা হয়েছে। জিজ্ঞাসাবাদের জন্য প্রতিষ্ঠানের প্রধান শিক্ষক এনামুল হক পুলিশ হেফাজতে রয়েছে।
কালের আলো/এইচ