ছোটবেলায় ঈদের কাপড় বালিশের নিচে রেখে ঘুমাতেন রওশন এরশাদ
প্রকাশিতঃ 9:30 am | June 03, 2019
নিজস্ব প্রতিবেদক, কালের আলো :
শৈশবের ঈদের স্মৃতি এখনো আন্দোলিত করে জাতীয় সংসদের বিরোধী দলীয় উপনেতা বেগম রওশন এরশাদকে। ওই সময়ে হৈ-হুল্লোড়, বড়দের কাছ থেকে সালামি পাওয়ার স্মৃতিগুলো এখনো দাগ কেটে আছে তার মনে।
তিনি বলেন, তখন খুব সকালে ঘুম থেকে উঠেই ভাই-বোনরা প্রথমে গোসল করতাম। এর পর মায়ের হাতে রান্না করা সেমাই-পায়েস খেয়েই দলবেঁধে ঘুরতে বেরিয়ে পরতাম।
পরিবারের সব সদস্য তখন একসঙ্গে থাকায় আনন্দের মাত্রাও ছিলো অনেক বেশি। এখন আর সেই আনন্দ নেই। আসলে ‘বড় হলে ঈদের আনন্দই ফিকে হয়ে আসে’। এখন ঈদ মানেই দায়িত্ব।
শৈশবের ঈদের সঙ্গে বিরোধী দলীয় উপনেতার ঈদের পার্থক্য তুলে ধরে এমন কথা বলেন জাতীয় পার্টির জ্যেষ্ঠ কো-চেয়ারম্যান বেগম রওশন এরশাদ।
কালের আলো’র সঙ্গে আলাপচারিতায় এমন টুকরো-টুকরো স্মৃতি তুলে ধরেন ময়মনসিংহ-৪ (সদর) আসনের টানা দুইবার নির্বাচিত প্রভাবশালী এ সংসদ সদস্য। দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে দক্ষতার সঙ্গেই বিরোধী দলীয় নেতার দায়িত্ব পালন করেন রওশন।
ময়মনসিংহে ঈদ উদযাপন করলে সকালেই স্বামী সাবেক রাষ্ট্রপতি ও জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান এইচ.এম.এরশাদ মোবাইল ফোনে তাকে ঈদের শুভেচ্ছা জানান।
আবার দু’জন একসঙ্গে ঢাকায় ঈদুল ফিতর উদযাপন করলেও ঈদুল আজহাতে তারা নিজ নিজ নির্বাচনী এলাকায় দলীয় নেতা-কর্মীদের সঙ্গে আনন্দ ভাগাভাগি করেন।
রওশন এরশাদ বলেন, ঈদে আমি কোরবানি দেই ময়মনসিংহে। ঈদের সময় আমি দূরে থাকলে এরশাদ সাহেব প্রতিবারই আমার সঙ্গে প্রথমেই শুভেচ্ছা বিনিময় করেন।’ এরপর প্রতিবারই কোরবানি শেষে দুপুরেই ঢাকা ফিরে যান বিরোধী দলীয় নেতা।
শৈশবের ঈদের স্মৃতি তুলে ধরে প্রধান বিরোধী দল জাতীয় পার্টির জ্যেষ্ঠ এ কো-চেয়ারম্যান বলেন, ‘ছোটবেলায় ঈদের কাপড় বালিশের নিচে রেখে ঘুমাতাম। গোসল করেই অনেক সাজগোজ করতাম। ওই সময় নতুন জামা কেনার জন্য বাবার কাছে বায়না ধরতাম। এখন বাবা-মা নেই। সেই উদ্দীপনাও নেই।’
‘ঈদুল ফিতরে আত্মীয়-স্বজনরা নতুন শাড়ি উপহার দেন। তবে নিজ থেকে কোন শাড়ি কেনা হয় না, বলেন রওশন এরশাদ।
কালের আলো’র মাধ্যমে ময়মনসিংহবাসীসহ দেশবাসীকে ঈদের শুভেচ্ছা জানিয়ে বিরোধী দলীয় উপনেতা বলেন, ত্যাগের মহিমায় উদ্ভাসিত হবার শিক্ষা দেয় ঈদুল ফিতর। এবারো দেশবাসী শান্তি ও স্বস্তির সঙ্গে ঈদ উদযাপন করুক, এ প্রত্যাশা।
কালের আলো/পিএএম/এএ