উন্নয়ন কাজে কেন ভোগান্তি, প্রশ্ন মেয়র আতিকুল ইসলামের

প্রকাশিতঃ 3:25 pm | June 10, 2019

নিজস্ব প্রতিবেদক, কালের আলো :

মেট্রোরেল স্থাপনের কাজ চলছে। তবে এ কাজ চলাকালীন সময়ে ড্রেনেজ ব্যবস্থা ঠিকঠাক ও রাস্তা চলাচল উপযোগী রাখতে প্রয়োজনীয় টাকা দেওয়া হয়েছে সংশ্লিষ্টদের। কিন্তু এরপরেও উন্নয়ন কাজে এমন ভোগান্তির জন্য সংশ্লিষ্টদের গাফিলতি ও দায়সারা মনোভাবকেই দায়ী করেছেন ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের মেয়র আতিকুল ইসলাম।

আরো পড়ুনঃ অতি উৎসাহী সেই কর্মকর্তার জন্যই বিব্রতকর অবস্থায় মেয়র আতিক!

সম্প্রতি ডিবিসি নিউজের ঈদের বিশেষ ‘সংবাদ সম্প্রসারণ’ অনুষ্ঠানে সঞ্চালক শারমিন চৌধুরী’র এক প্রশ্নের জবাব দিতে গিয়ে উন্নয়ন কাজে ভোগান্তির বাস্তবতায় একজন নগর পিতা হিসেবেই সংশ্লিষ্টদের ‘অভ্যবতা’র কঠোর সমালোচনা করেন তিনি।

আরো পড়ুন: মেয়র হিসেবে আতিকের প্রথম ঈদ, বললেন অনেক অজানা কথাই

উপস্থাপকের এক প্রশ্নের জবাবে মেয়র আতিকুল ইসলাম বলেন, ‘আমাদের শহরে অনেক উন্নয়ন কাজ চলছে। আমাদের মেট্রোরেল, ট্রাফিক ট্রানজিট হচ্ছে। যারা এই কাজগুলো করছেন জনগণ কিন্তু এগুলোর সুফল পাবেন এক সময়। কিন্তু কনস্ট্রাকশন যখন চলছে তখন কিন্তু তাঁরা একটা কমপ্লায়েন্সের মধ্যে কাজ করছে না।

আরো পড়ুন: ফোক গানেও পারদর্শী মেয়র আতিকুল ইসলাম!

বাংলাদেশ সরকার তাদের সব টাকা দিয়ে দিয়েছে যাতে কাজের সময় ড্রেন যেন ক্লিন থাকে, রাস্তা যেন ক্লিন থাকে। বৃষ্টির সময় মানুষজন যাতে ঠিকমত চলতে পারে। পানি থাকবে কিন্তু রাস্তাটা যাতে ঠিক থাকে। পানি থাকলে রাস্তা যদি ভাঙা থাকে তবে রিক্সা থেকে কিন্তু মানুষ পরে যাচ্ছে। গাড়ি নষ্ট হয়ে যাচ্ছে।

এটা কিন্তু আমার মোটেও পছন্দ হচ্ছে না। সবকিছু কমপ্লায়েন করে কাজ করতে হবে। অর্থাৎ কনস্ট্রাকশন যখন করছ তখন জনগণের যাতে অসুবিধা, রাস্তা যেহেতু করছেন তখন রিক্সা থেকে মানুষ পড়ে না যায়।

আমরা এসব বিষয়ে বলছি। তবে মানছে না, কিন্তু মানতে হবে কারণ সরকার তাদের সেই টাকাটা দিয়েছে এগুলোর জন্য। কিন্তু তারা মানছে না, আমি এটা মেনে নিতে পারছি না।’

‘আমাদের উন্নয়ন হবে তবে মানুষ যাতে কষ্টে না থাকে’ এ কথা উল্লেখ করে মেয়র আতিকুল ইসলাম বলেন, ‘মানুষ কিন্তু সেটা বোঝবে না, মানুষ বোঝবে মেয়র কি করছে? এই রাস্তাগুলো তাদের আন্ডারে দিয়ে দেয়া হয়েছে, যেমন মেট্রোরেল মেট্রোরেলের আন্ডারে, রোকেয়া স্মরণীর কাজ তাদের আন্ডারে।

এখন জনগণ রিক্সা থেকে পরে গেলেই জানবে মেয়র কি করছে? এখন আমরা কি করতে পারি, আমি প্রজেক্ট ডিরেক্টরকে ডেকেছি। বলেছি সমস্যার সমাধান করো। তারা বলছে স্যার করতেছি।

ফলে আমি এটিতে একদম স্যাটিসফাইড না। যারা দায়িত্ব নিয়েছে যদি হতো তাঁরা সে ধরনের টাকা নেয়নি। অথচ তাদের তিন চার ডাবল বেশি টাকা দেয়া হয়েছে যেন জনগণের ভোগান্তি যেন কম হয়।

চলতি বর্ষায় ম্যাজিক
প্রতি বর্ষায় মিরপুরে মহাবিপদ সংকেতের বার্তা দেয় কালশী এলাকা। কিন্তু এ এলাকার জলাবদ্ধতা নিরসন প্রকল্পে কালশী থেকে বাউনিয়া খাল পর্যন্ত প্রায় সাড়ে ৫ কোটি টাকা ব্যয়ে ১ হাজার ১৮৮ মিটার দীর্ঘ বাইপাস ড্রেন নির্মাণ করেছেন মেয়র আতিকুল ইসলাম। এই পাইপ ড্রেন নির্মাণের মাধ্যমেই চলতি বর্ষায় কালশীতে ম্যাজিক দেখাতে চান উত্তরের এ নগরপিতা।

সেই কথা জানিয়ে তিনি বলেন, ‘কালশি খালে একটু বৃষ্টিতেই পানি জমতো। খাল দখল হয়ে গিয়েছিল। আমরা উপায় খোঁজলাম। এই বর্ষায় একটা ম্যাজিক দেখাব ইনশাআল্লাহ আল্লাহর রহমতে। এবং কালশি রোডে যে পানিটা জমত শতভাগ পানি সমস্যা সমাধান না হলেও ৮০ শতাংশ জলাবদ্ধতা কমে যাবে।’

কালের আলো/এমআর/এএএমকে