শিশুদের হয়ে জাতিসংঘে কথা বলতে চান আরিফ
প্রকাশিতঃ 10:50 am | June 11, 2019
কালের আলো প্রতিবেদক:
হাজার মানুষের হাজারো স্বপ্ন। কেউ হতে চায় বিসিএস ক্যাডার, কেউ সামরিক বাহিনীর কর্মকর্তা, কেউ সরকারি চাকুরিজীবী, কেউ পছন্দ করেন নাট্যমঞ্চ। অথচ! তিনি প্রথমে স্বপ্ন বুনেছিলেন মেজর হয়ে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর পোষাক পড়ে দেশকে নিরাপদ রাখবেন।
হতে পারেননি তবুও ভেঙে না পড়ে তিলে তিলে গড়েছেন নিজেকে।বন্যা, তাজরীন ফ্যাশন রানা প্লাজাসহ পছন্দের সেনাবাহিনীর সাথে হাত হাত মিলিয়ে কাজ করে আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমে পেয়েছেন প্রশংসা। অল্প বয়সে মিডিয়ার কাজ শুরু করে পেয়েছেন দেশে বিদেশে পরিচিতি।
বাংলাদেশের এই তরুন নিজের কাজের দক্ষতায় স্থান পেয়েছেন আমেরিকার রক ব্যান্ড লিংকিন পার্ক ফেসবুকে পেজে। যেটা তার নিজের পাশাপাশি বাংলাদেশের সুনামকে ছড়িয়েছে বিশ্বে। শুধু দেশই নয় বাংলাদেশের বন্ধু রাষ্ট্র গুলোর বিপদেও তিনি পাশে দাঁড়িয়েছেন। নেপালের ভূমিকম্প, শ্রীলঙ্কার সুনামি, ফিলিস্তিনের নিরহ শিশু কিশোরদের জন্য কাজ করে এর মধ্যে পেয়েছেন দেশগুলোর দুরসময়ের বন্ধু হিসেবে খ্যাতি।
এই তরুন বালকের নাম আরিফ রহমান শিবলী। অস্বচ্ছল শিশু কিশোরদের জন্য কাজ করে পড়াশোনা করতে পাশে থাকার চেষ্টা করেন তিনি। ছোটবেলায় তার বাবার ব্যবসায়ীক সংকট এতই বেশী ছিল যে সামান্য ৩০০ টাকা বেতন দেয়াও ছিল কষ্টসাধ্য। সেই দুঃসময়ের কথা মনে করেই বিভিন্ন গনমাধ্যমের সুত্র ধরে আরিফ এগিয়ে গেছেন স্বপ্ন দেখিয়েছেন৷
শিশু সাংবাদিক হিসেবে কাজ করতে এসে মিডিয়াতে সফল হওয়া আরিফ ২০১৪ সালে শুরু করেন পরীক্ষামূলকভাবে ‘কিডস মিডিয়া’। ২০১৫ সালে অফিসিয়াল যাত্রা শুরুর পর থেকেই আলোড়ন তৈরি করে দেশী বিদেশী গণমাধ্যমে। শিশুদের নিয়ে সফলভাবে কাজ করতে করতে পরিচিত হয়ে উঠেছেন কিডস আরিফ নামে৷
সেই আরিফ স্বপ্ন দেখেন জাতিসংঘের মুখপাত্র হয়ে কথা বলবেন শিশুদের হয়ে। বিশ্ব নেতাদের জানাবেন বাংলাদেশের শিশুদের আশা-প্রত্যাশার কথা৷ শেখ হাসিনার হাত ধরে কিভাবে বাংলাদেশ সরকার নারী শিক্ষাকে এগিয়ে নিয়েছে, শিশু চোরাচালান বন্ধ করেছে, শিশুদের নেশা থেকে দূরে রাখতে শক্তিশালী ভুমিকা পালন করছে, প্রতিবন্ধী শিশুদের জন্য বিশ্বমানের কাজ করছে তা তুলে ধরতে চান বাংলাদেশের এই তরুন।
আরিফ বলেন, শিশুদের আশা-প্রত্যাশা, বিশ্বব্যাপী শিশুদের অবস্থান আরো সুন্দরভাবে বিশ্বনেতাদের কাছে তুলে ধরতে চাই। যাতে ভবিষ্যৎ পৃথিবীর পরিবেশ শিশুদের বসবাস ও সুন্দরভাবে বেড়ে উঠার মত হয়।
কালের আলো/এআর/এমএম