৭১ বছরে পা রাখল আওয়ামী লীগ
প্রকাশিতঃ 5:53 am | June 23, 2019
নিজস্ব প্রতিবেদক, কালের আলো :
রোববার (২৩ জুন) ৭১ বছরে পা রাখল দেশের মহান স্বাধীনতা যুদ্ধে নেতৃত্বদানকারী ঐতিহ্যবাহী রাজনৈতিক দল আওয়ামী লীগ। অনেক চড়াই-উতরাই পেরিয়ে দেশের প্রাচীনতম ও বৃহৎ এ রাজনৈতিক দলটি ১৯৪৯ সালের এ দিনে পুরান ঢাকার রোজ গার্ডেনে ঐতিহাসিক প্রেক্ষাপটে সর্বদলীয় কর্মী সম্মেলনের মধ্য দিয়ে প্রতিষ্ঠা লাভ করে।
আরও পড়ুন: ১৩ বছর আ.লীগের সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেন বঙ্গবন্ধু
টানা তৃতীয় মেয়াদে ক্ষমতাসীন এ দলটির সভানেত্রী ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বেই জাতির আলোকোজ্জ্বল ভবিষ্যৎ নিশ্চিত ও আধুনিক সোনার বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠার কাজ চলছে।
ধর্মনিরপেক্ষতা নীতি গ্রহণের মাধ্যমে ১৯৫৫ সালে মুসলিম শব্দটি বাদ দিয়ে অসাম্প্রদায়িক রাজনৈতিক দল হিসেবে এর নামকরণ হয় আওয়ামী লীগ। এর ঠিক তিন বছর পর পাকিস্তান সামরিক শাসনকবলিত হয়ে পড়ার পর ষাটের দশকে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে অনেক কঠিন সংগ্রামের মধ্য দিয়ে আওয়ামী লীগের এক পুনরুত্থান ঘটে।
বঙ্গবন্ধুর দেওয়া ৬-দফা কর্মসূচি পূর্ব বাংলার জনগণকে ঐক্যবদ্ধ করে এক জাতীয় জাগরণ ঘটাতে সক্ষম হয়। এই জাগরণই আমাদের ১৯৭০-এর নির্বাচন ও ’৭১-এর মুক্তিযুদ্ধে বিজয়ের মাধ্যমে স্বাধীনতার স্বর্ণদুয়ারে পৌঁছে দেয়।
আরও পড়ুন: ৭০ বছরে ৬ সভাপতি ও ৯ সাধারণ সম্পাদক আ.লীগের
স্বাধীন বাংলাদেশে ১৯৮১ সালে দলের সভাপতি নির্বাচিত হন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। নেতাকর্মীদের অকুণ্ঠ সমর্থন ও ভালোবাসা নিয়ে এ পর্যন্ত তিনি দলের সভাপতির দায়িত্ব পালন করছেন।
নানা কর্মসূচির মধ্য দিয়ে ৭০তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পালন করবে ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগ। রোববার (২৩ জুন) সূর্যোদয়ের ক্ষণে বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউয়ে কেন্দ্রীয় কার্যালয় ও সারা দেশের কার্যালয়ে জাতীয় ও দলীয় পতাকা উত্তোলনের মধ্য দিয়ে শুরু হবে এই কর্মসূচি।
পরে সকাল সাড়ে ৮টায় আওয়ামী লীগ সভানেত্রী ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে ধানমন্ডিতে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা জানাবেন দলটির কেন্দ্রীয় নেতারা। এরপর সেখানে জাতীয় ও দলীয় পতাকা উত্তোলন, জাতীয় সঙ্গীত পরিবেশন এবং পায়রা ও বেলুন ওড়ানো হবে।
আরও পড়ুন: আ.লীগের ‘প্রধান সম্পদ’ শেখ হাসিনার নেতৃত্বেই শুরু উন্নতির অভিযাত্রা
পরদিন সোমবার (২৪ জুন) বিকেলে বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে আলোচনা সভা হবে। এদিকে, আওয়ামী লীগের ৭০তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে দলীয় নেতা-কর্মী, সমর্থক ও শুভানুধ্যায়ীসহ দেশবাসীকে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন শেখ হাসিনা।
তিনি বলেন, ‘জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে স্মরণ করছি। স্মরণ করছি আওয়ামী লীগের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি মওলানা আব্দুল হামিদ খান ভাসানী ও সাধারণ সম্পাদক সামসুল হকসহ অন্য নেতৃবৃন্দকে। শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করছি হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দীকে।
আওয়ামী লীগ সভাপতি আরো বলেন, ‘আমি স্মরণ করছি, জাতীয় চার নেতাসহ আমাদের পূর্বসূরি নেতা-কর্মীদের, যাদের অক্লান্ত শ্রম, মেধা ও ত্যাগের বিনিময়ে আওয়ামী লীগ আজ গণমানুষের এক বিশাল সংগঠনে পরিণত হয়েছে।
বাঙালি জাতির প্রতিটি মহৎ ও শুভ অর্জনে আওয়ামী লীগ জনগণের সঙ্গে ছিল জানিয়ে ভবিষ্যতেও তা অব্যাহত রাখার প্রত্যয় জানান বঙ্গবন্ধুর এ জ্যেষ্ঠ কন্যা।
অন্যদিকে, আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বিভিন্ন কর্মসূচির মাধ্যমে যথাযোগ্য মর্যাদায় দলের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পালন করার জন্য দলের পাশাপাশি সহযোগী ও ভ্রাতৃপ্রতীম সংগঠনের সব জেলা, উপজেলাসহ সর্বস্তরের নেতা-কর্মী ও সমর্থকদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন।
তিনি জানান, রোববার (২৩ জুন) সকাল ১১টায় টুঙ্গীপাড়ায় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সমাধিতে আওয়ামী লীগের সভাপতিমন্ডলীর সদস্য অবসরপ্রাপ্ত লেফটেন্যান্ট কর্নেল মুহাম্মদ ফারুক খানের নেতৃত্বে কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সংসদের একটি প্রতিনিধি দল শ্রদ্ধা নিবেদন করবে।
কালের আলো/এমএইচ/একে