উইমেন অ্যাওয়ার্ড প্রাপ্ত ১০ পুলিশ কর্মকর্তাকে অ্যাওয়ার্ড দিলেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী-আইজিপি

প্রকাশিতঃ 6:57 pm | June 27, 2019

নিজস্ব প্রতিবেদক, কালের আলো:

বিভিন্ন ক্যাটাগরিতে সারা দেশ থেকে ১০ জন পুলিশ সদস্য এবার ‘বাংলাদেশ পুলিশ উইমেন অ্যাওয়ার্ড ২০১৯’ অর্জন করেছেন।

এদের মধ্যে আট জন ঊর্ধ্বতন নারী পুলিশ কর্মকর্তা, একজন নারী পুলিশ কনস্টেবল এবং একজন পুরুষ পুলিশ ইন্সপেক্টর পুরস্কার জিতেছেন।

আরও পড়ুন: রিফাত হত্যায় জড়িতদের গ্রেফতারে কাজ করছে পুলিশ : স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী

বৃহস্পতিবার (২৭ জুন) দুপুর আড়াইটায় চট্টগ্রাম নগরের ইন্টারন্যশনাল কনভেনশন সেন্টারে বিজয়ীদের হাতে এ অ্যাওয়ার্ড তুলে দেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল ও পুলিশ মহাপরিদর্শক (আইজিপি) ড.মোহাম্মদ জাবেদ পাটোয়ারী, বিপিএম(বার)।

বাংলাদেশ পুলিশ বাহিনীতে বিশেষ অবদান রাখায় পুলিশের যেসব সদস্য পুলিশ উইমেন অ্যাওয়ার্ড অর্জন করেছেন, তারা হলেন- পুলিশ সুপার তাপতুন নাহার, অতিরিক্ত ডিআইজি আতিকা ইসলাম, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সম্পা রাণী সাহা, স্পেশাল ব্রাঞ্চের পুলিশ সুপার মাফুজা বেগম, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার পিবিআই মিনা মাহমুদা, অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (কাউন্টার টেরোরিজম ইউনিট) মাহফুজা লিজা, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ফাহমিদা হক শেলী, অফিসার ইনচার্জ কোতোয়ালি থানা (চট্টগ্রাম) মোহাম্মদ মহসিন, সাব ইন্সপেক্টর জান্নাতুল ফেরদৌস এবং নারী পুলিশ কনস্টেবল নুসরাত জাহান।

এ ছাড়া মরণোত্তর সম্মাননা প্রদান করা হয় বাংলাদেশ পুলিশ স্টাফ কলেজের সাবেক রেক্টর প্রয়াত অতিরিক্ত আইজিপি রওশন আরা বেগমকে।

পুলিশ বাহিনীতে নারী ও পুরুষ সদস্য সংখ্যায় ‘গ্যাপ’ থাকার কথা উল্লেখ করে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা পুলিশ বাহিনীতে ১০ শতাংশ নারী সদস্যের কথা বলছি। সেটা কিন্তু এখনও হয়নি। পুলিশে এখন নারীর সংখ্যা প্রায় ১৪ হাজার। আর মোট পুলিশ সদস্য আছেন দুই লাখের মতো। এ জায়গায় নারীরা পিছিয়ে আছে।’

পুলিশ মহাপরিদর্শকের (আইজিপি) উদ্দেশে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘নারী পুলিশের দক্ষতা নিয়ে আমাদের মধ্যে কোনো সংশয় নেই। টেকসই উন্নয়নের জন্য টেকসই শান্তি দরকার। টেকসই শান্তির জন্য টেকসই নিরাপত্তা ব্যবস্থা দরকার। নারী পুলিশ, পুরুষ পুলিশ একসঙ্গে কাজ করলে আমরা টেকসই নিরাপত্তা পাব।’

আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় নারী পুলিশের ভূমিকার প্রশংসা করে তিনি বলেন, ‘আইনশৃঙ্খলা রক্ষার মতো চ্যালেঞ্জিং পেশায় দক্ষতার সঙ্গে নারীরা কাজ করছেন। কয়েকটি জেলায় নারী এসপি আছেন, তারাও অনেক দক্ষতার সঙ্গে কাজ করছেন। নারী সার্জেন্টরা রোদ-বৃষ্টির মধ্যে দাঁড়িয়ে কাজ করেন। আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় নারীরা পিছিয়ে নেই।’

মাদক প্রসঙ্গে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘মাদকের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স ঘোষণা করেছেন প্রধানমন্ত্রী। এটি অবশ্যই আমরা করব। আমাদের যুব সমাজ, যারা ভবিষ্যতে এই দেশের নেতৃত্ব দেবে, তাদের বাঁচাতে হবে। মাদকের বিরুদ্ধে যুদ্ধে আমাদের ফেল করার কোনো সুযোগ নেই। আমরা অবশ্যই দেশকে মাদকমুক্ত করব।’

একই অনুষ্ঠানে মহিবুল হাসান চৌধুরী বলেন, ‘উন্নয়ন টেকসই হবে না যদি নারীরা এগিয়ে না যায়। উন্নয়নের সঙ্গে সামাজিক নিরাপত্তা আমাদের বড়ো চ্যালেঞ্জ। এই চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় নারীদের এগিয়ে নিতে হবে। বিপুল সংখ্যক নারী জনবল নিয়োগ করে পুলিশের তৃণমূল পর্যায়ে ছড়িয়ে দিতে হবে। ২০৩০ সালের মধ্যে নিরাপত্তা বাহিনীতে কমপক্ষে ৫০ শতাংশ নারী সদস্য থাকা এখন জাতীয় প্রয়োজন বলে আমরা মনে করি।’

চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের (সিএমপি) কমিশনার মো.মাহাবুবর রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন সংসদ সদস্য ওয়াসিকা আয়শা খান, পুলিশ মহাপরিদর্শক (আইজিপি) মোহাম্মদ জাবেদ পাটওয়ারি, চট্টগ্রামের মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীন, পুলিশ নারী কল্যাণ কেন্দ্রের (পুনাক) সভাপতি হাবিবা জাবেদ, পুলিশের চট্টগ্রাম রেঞ্জের ডিআইজি খন্দকার গোলাম ফারুক, চট্টগ্রামের অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার নুরুল আলম নিজামী এবং বাংলাদেশ পুলিশ উইম্যান নেটওয়ার্কের সভাপতি ও সিএমপি’র অতিরিক্ত কমিশনার আমেনা বেগম।

কালের আলো/এআর/এমএম