রিফাত হত্যাকাণ্ডে পুলিশের গাফিলতি নেই : পুলিশ সুপার
প্রকাশিতঃ 3:53 pm | June 28, 2019

কালের আলো প্রতিবেদক:
রিফাত হত্যাকাণ্ড সম্পর্কে বরগুনার পুলিশ সুপার মারুফ হোসেন বলেছেন, রিফাত শরীফের ওপর হামলার খবর পেয়ে পুলিশ সঙ্গে সঙ্গে ঘটনাস্থল যায় এবং পুলিশের সহযোগিতায় আহত রিফাত শরীফকে উদ্ধার করে বরগুনা জেনারেল হাসপাতালে নেয়া হয়। এছাড়াও উন্নত চিকিৎসার জন্য চিকিৎসকরা রিফাত শরীফকে বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠালে সে সময়ও পুলিশ বেশ সহযোগিতা করে।
তিনি বলেন, রিফাত শরীফ হত্যাকাণ্ডের পর পুলিশের কোনো দায়িত্বে অবহেলা আছে কি-না তা জানার জন্য আমরা একটি তদন্ত কমিটি গঠন করেছিলাম। সেই কমিটিও পুলিশের কোনো দায়িত্বে অবহেলার প্রমাণ পায়নি।
শুক্রবার(২৮ জুন) দুপুর ১২টার দিকে নিজ কার্যালয়ে আলোচিত রিফাত শরীফ হত্যাকাণ্ড নিয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ কথা জানান।
পুলিশ সুপার বলেন, রিফাত শরীফের হত্যাকারীদের গ্রেফতারে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা কাজ করছে। আসামিদের গ্রেফতার এড়াতে কোনো চাপ নেই। এই নারকীয় হত্যাকাণ্ডে জড়িতদের গ্রেফতার এড়াতে যদি কোনো চাপ আসে, সেই চাপ উপেক্ষা করার শক্তি এবং সামর্থ বাংলাদেশ পুলিশের আছে বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
প্রসঙ্গত, গত বুধবার (২৬ জুন) সকাল সাড়ে ১০টার দিকে স্ত্রী আয়েশা সিদ্দিকা মিন্নিকে বরগুনা সরকারি কলেজে নিয়ে যান রিফাত শরীফ। কলেজ থেকে ফেরার পথে মূল ফটকে বখাটে নয়ন ও তার সহযোগীরা রিফাত শরীফের ওপর হামলা চালায়।
এ সময় ধারালো অস্ত্র দিয়ে রিফাত শরীফকে এলোপাতাড়ি কোপাতে থাকে তারা। রিফাত শরীফের স্ত্রী মিন্নি দুর্বৃত্তদের নিবৃত্ত করার চেষ্টা করেন। কিন্তু কিছুতেই হামলাকারীদের থামানো যায়নি। তারা রিফাত শরীফকে উপর্যুপরি কুপিয়ে রক্তাক্ত করে চলে যায়।
পরে স্থানীয় লোকজন রিফাত শরীফকে গুরুতর আহত অবস্থায় উদ্ধার করে বরগুনা জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যায়। পরে বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেয়া হলে রিফাত শরীফের মৃত্যু হয়।
এ ঘটনায় বুধবার রাতে নিহত রিফাতের বাবা দুলাল শরীফ বাদী হয়ে ১২ জনের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা করেন। এ মামলায় বৃহস্পতিবার (২৭ জুন) চন্দন, হাসান ও নাজমুল আহসান নামে তিন আসামিকে গ্রেফতারের কথা জানিয়েছে পুলিশ।
কালের আলো/এনএল/এমএম