প্রযুক্তি ব্যবহারে আমাদের দক্ষতার অভাব রয়েই গেছে : পরিকল্পনামন্ত্রী
প্রকাশিতঃ 1:18 pm | June 29, 2019

নিজস্ব প্রতিবেদক, কালের আলো:
পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান বলেছেন, ‘প্রযুক্তি খাতে আমরা প্রচুর টাকা ব্যয় করছি। প্রযুক্তি ব্যবহারে আগ্রহও দেখাচ্ছি। কিন্তু আমাদের দক্ষতার অভাব রয়েই গেছে।’
শনিবার (২৯ জুন) রাজধানীর শের-ই-বাংলা নগরে পরিকল্পনা কমিশনের এনইসি সম্মেলন কক্ষে প্রকল্প সংশ্লিষ্টদের নিয়ে আয়োজিত সেমিনারে মন্ত্রী এসব কথা বলেন।
এম এ মান্নান বলেন, আমরা বিজ্ঞানকে কাজে লাগাতে চাই। কিন্তু আমরা এখনও বিজ্ঞানকে বন্ধু ভাবছি না। সাপের মতো কাছে গিয়ে আবার দূরে সরে যাচ্ছি। এজন্য তরুণ কর্মকর্তাদের খোলস ছেড়ে বেরিয়ে আসতে হবে। আমরা যারা বয়স্ক হয়েছি আমাদের খোলস শক্ত হয়েছে কিন্তু আপনারা তো তরুণ।
তিনি বলেন, দিন দিন একটা সম্পূর্ণ নতুন জগৎ আসছে। এটা বাংলাদেশে পরে আসবে। কারণ, আমরা বিজ্ঞানমনস্ক জাতি নই। অভিজ্ঞও নই। উই আর নট এ সাইন্টিফিক্যালি ওরিয়েন্টেড পিপল। আমরা বিজ্ঞানকে সমীহ করি, কিন্তু বন্ধু ভাবি না। এটা আমাদের চরিত্রের মধ্যে বৈপরীত্য।
মন্ত্রীর বলেন, আমি স্টেশনে গেলেও ফাইল পাই, এয়ারপোর্টে গেলেও ফাইল পাই। আমি এতে কিছু মনে করি না। আমার কাছে ওই ফাইলগুলো যায়, অন্য ফাইলগুলো যায় না। সেই ফাইলগুলো কেমন যেন শনিবার, শুক্রবার, এয়ারপোর্ট, স্টেশন, বিল হয়ে ঘুরে আসে। কিন্তু আমি চাইব, অন্যান্য যেমন- কালভার্ট, স্কুল, কলেজ, মাদরাসার ফাইলগুলোও যেন দ্রুত আসে। এতে আপনি পূণ্য পাবেন, আমি আনন্দ পাব।
এম এ মান্নান বলেন, আপনারা আমার কাছে যেকোনো সময় ফাইল নিয়ে আসতে পারেন। এমনকি আমি ওয়াশরুমে থাকলেও। আমি স্বাক্ষর করব। কিন্তু জনগণের উপকার যেন হয়।
সেমিনারে বক্তারা বলেন, বাজেট ব্যবস্থাপনা উন্নয়নে বিশেষ উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এ জন্য একটি নতুন ডিজিটাল ডাটাবেজ সিস্টেম স্থাপনের মাধ্যমে উন্নয়ন বাজেট ব্যবস্থাপনা পদ্ধতি শক্তিশালীকরণ নামের একটি প্রকল্প হাতে নিয়েছে পরিকল্পনা কমিশন। এটি বাস্তবায়নে খরচ হবে ৩৯ কোটি ৮ লাখ টাকা। ২০১৭ সালের এপ্রিল থেকে ২০২০ সালের মার্চ পর্যন্ত প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করবে কার্যক্রম বিভাগ।
এর মাধ্যমে একটি কার্যকর নলেজ ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম (কেএমএস) স্থাপনসহ ডাটা বেজ ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম পরিচালনার জন্য পর্যাপ্ত ম্যানুয়াল ও প্রটোকল প্রস্তুত করা হবে। উচ্চতর প্রশিক্ষণ এবং শিক্ষা কর্মসূচির মাধ্যমে বাজেট ব্যবস্থাপনার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের সক্ষমতা বাড়ানো হবে।
প্রকল্পের অগ্রগতি সম্পর্কে প্রকল্প পরিচালক সাইদুজ্জামান জানান, ডাটা বেজ প্রনয়ণের জন্য আইবিসিএস-প্রাইম্যাক্স নামক প্রতিষ্ঠানকে গত বছরের ১৪ আগস্ট নিয়োগ করা হয়েছে। আগামী ১৩ আগস্টের মধ্যে কার্যক্রম শেষ করার কথা। বর্তমানে ডিজাইন ও ডেভলপমেন্টের কাজ শেষ হয়েছে। সফটওয়্যার পরীক্ষামূলকভাবে চলার জন্য একটি কর্মশালা ও পাইলটিং করার জন্য পাবলিক সার্ভিস কমিশনে ( পিএসসির) অনুমোদন পাওয়া গেছে। এ মাসের শেষে পাইলটিং কার্যক্রম শুরু হবে।
ইতোমধ্যেই ৪টি স্থানীয় প্রশিক্ষণ, দুটি বৈদেশিক প্রশিক্ষণ ও একটি শিক্ষা সফর সমাপ্ত হয়েছে। প্রতিটি মন্ত্রণালয়, বিভাগ, সংস্থা এবং পরিকল্পনা কমিশনের ১ হাজার থেকে ১২ শ কর্মকর্তাকে প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে।
কালের আলো/এনএ/এমএম