কোনো মৃত্যুই কাঙ্ক্ষিত নয়, সব মৃত্যুই অনাকাঙ্ক্ষিত : বিজিবি মহাপরিচালক

প্রকাশিতঃ 3:21 pm | June 30, 2019

কালের আলো প্রতিবেদক:

কোনো মৃত্যুই কাঙ্ক্ষিত নয়, সব মৃত্যুই অনাকাঙ্ক্ষিত বলে মন্তব্য করেছেন বিজিবি মহাপরিচালক মেজর জেনারেল মো: সাফিনুল ইসলাম

তিনি বলেছেন, মাদকের বিরুদ্ধে বর্তমান সরকার জিরো টলারেন্স নীতি অবলম্বন করছে। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অধীনে ধাকা প্রতিটি আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী সেই নীতি অনুসরণ করছে। বিজিবি এর বাইরে নয়।

রোববার (৩০ জুন) দুপুরে রাজশাহীতে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)-১ ব্যাটালিয়নের ২২৪ বছর পূর্তি উপলক্ষে আয়োজিত বর্ণাঢ্য অনুষ্ঠানে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে বিজিবি মহাপরিচালক এসব কথা বলেন।

এসময় সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি জানান, কুমিল্লার বিবির বাজার সীমান্তে বিজিবির সঙ্গে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ নিহত প্রশান্ত কুমার দাস মাদক ব্যবসায় সংশ্লিষ্ট ছিলেন।

এসময় তিনি মাদক ব্যবসায়ী না হলে তার কাছে ইয়াবা পাওয়া যাবে কেন? এমন প্রশ্নও তোলেন।

মাদকের ছোবল থেকে সাধারণ মানুষকে রক্ষা করার জন্য আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী কঠোর অবস্থানে যেতে বাধ্য হয়েছে। এটি না করলে দেশে মাদকের ভয়াবহতা কমানো সম্ভব নয়। তবে কেউ যেন কোনো অন্যায় ঘটনার শিকার না হয়, সেদিকে বিজিবিসহ প্রতিটি আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী সতর্ক রয়েছে।

এসময় সাংবাদিকদের অপর এক প্রশ্নের জবাবে সাফিনুল ইসলাম বলেন, বিজিবি-বিএসএফ’র সু-সম্পর্কের কারণে সীমান্তে হত্যা কমেছে। বর্তমানে রাজশাহীসহ দেশের প্রতিটি সীমান্ত এলাকায় কাঁটাতারের বেড়া নির্মাণের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এটি করতে পারলে সীমান্তে হত্যা শূন্যতে নেমে আসবে।

তিনি বলেন, যেহেতু আমাদের জনবল কম, সেহেতু আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করে আমাদের এই শূন্যতা পূরণ করতে হবে। এজন্য সীমান্ত এলাকায় সিসি টিভি ক্যামেরাসহ বিভিন্ন যন্ত্রপাতি স্থাপন করা হবে। বিজিবি এরইমধ্যে স্মার্ট বর্ডার ম্যানেজমেন্টের সূচনা করেছে। বর্তমানে যা যশোরের পুটখালিতে কাজ করছে। এর মাধ্যমে চোরাকারবারি এবং অপরাধীদের ওপর নজরদারি বাড়ানোর পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। পর্যায়ক্রমে রাজশাহীর আদাতলা সীমান্ত, নওগাঁ সীমান্ত এলাকাসহ দেশের বেশ কয়েকটি সীমান্তে এই প্রযুক্তির ব্যবহার শুরুর কাজ প্রক্রিয়াধীন।

পরে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে বিজিবি মহাপরিচালক বলেন, এই ব্যাটালিয়ন সীমান্তরক্ষী বাহিনীর প্রাচীনতম। কালের পরিক্রমায় এ ব্যাটালিয়নের অনেক অর্জন বিজিবির ইতিহাসকে সমৃদ্ধ করেছে। প্রতিষ্ঠার পর থেকে এই ব্যাটালিয়নের সদস্যরা তাদের ওপর অর্পিত দায়িত্ব সততা ও নিষ্ঠার সঙ্গে পালন করে আসছেন। এজন্য সবাইকে অভিবাদন জানান তিনি।

এর আগে অনুষ্ঠানের শুরুতেই বিজিবি-১ ব্যাটালিয়নের গার্ড অব অর্নার অর্ডার গ্রহণ করেন মহাপরিচালক। এরপর তিনি জাতীয় পতাকা উত্তোলন করেন।

এসময় রাজশাহী বিজিবি-১ ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লে. কর্নেল মােহাম্মদ তাজুল ইসলামসহ অন্য কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

কালের আলো/এআর/এমএম