১২ ছাত্রীকে ধর্ষণ, মাদ্রাসা শিক্ষক আটক
প্রকাশিতঃ 7:31 pm | July 04, 2019
কালের আলো প্রতিবেদক:
নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জে শিক্ষক কর্তৃক ২০ জনেরও বেশি ছাত্রীকে ধর্ষণের ঘটনার রেশ না কাটতেই এবার ১২ শিশুকে ধর্ষণের অভিযোগে এক মাদ্রাসা অধ্যক্ষকে আটক করেছে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব)।
বৃহস্পতিবার(৪ জুলাই) সকাল ১১টায় ফতুল্লার মাহমুদপুর এলাকার বাইতুল হুদা ক্যাডেট মাদ্রাসায় অভিযান চালিয়ে তাকে আটক করা হয়। এ সময় তার মোবাইল ও কম্পিউটার থেকে একাধিক অশ্লীল ভিডিও জব্দ করে র্যাব-১১। তবে অভিযুক্ত মাদ্রাসা শিক্ষক দাবি করেছেন, শয়তানের প্ররোচনায় পরে তিনি এমনটা করেছেন।
আটককৃত অধ্যক্ষের নাম মাওলানা মো. আল আমিন। তার বাড়ি কুমিল্লার মুরাদনগর উপজেলার ভূঁই য়াপাড়া এলাকায়। তিনি স্থানীয় বাইতুল হুদা ক্যাডেট মাদ্রাসার প্রতিষ্ঠাতা ও পরিচালক। একই সঙ্গে তিনি ফতুল্লা এলাকার একটি মসজিদের ইমাম হিসেবেও দায়িত্ব পালন করে আসছেন।
র্যাবের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. আলেপ উদ্দিন ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, গত সিদ্ধিরগঞ্জে ২০ এর অধিক শিক্ষার্থীকে ধর্ষণের ঘটনায় দুই শিক্ষককে গ্রেফতারের সংবাদটি টেলিভিশনে প্রচারিত ভিডিও ও পত্রপত্রিকায় ছবি দেখে উক্ত মাদ্রাসার তৃতীয় শ্রেণির এক ছাত্রী তার মাকে জানায় ‘আমাদের আল আমিন হুজুরও তো আমাদের সাথে এরকম করে’। এ সময় শিশুটি তার মায়ের কাছে বিস্তারিত ঘটনা জানায়।
পরে শিশুটির মা ঘটনাটি র্যাবকে জানালে অনুসন্ধানে নেমে জানতে পারে, ২০১৮ সাল থেকে এ পর্যন্ত ওই অধ্যক্ষ মাদ্রাসার ১০ থেকে ১২ জন ছাত্রীকে ধর্ষণ করেন। এ ছাড়া ধর্ষণের চেষ্টা ও যৌন হয়রানির অভিযোগও পাওয়া গেছে। এরপরই ওই অধ্যক্ষকে আটক করা হয়।
র্যাব জানায়, মাদ্রাসার ভেতরে পরিবার নিয়ে থাকতেন অধ্যক্ষ আল আমিন। বাসায় তার স্ত্রী না থাকলে বা মাদ্রাসা ছুটি হলে নানা কৌশলে অধ্যক্ষ আল আমিন ছাত্রীদের মাদ্রাসায় ধর্ষণ, ধর্ষণের চেষ্টা ও যৌন হয়রানি করতেন। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে ওই অধ্যক্ষ শিশুদের ধর্ষণ, ধর্ষণের চেষ্টা ও যৌন হয়রানির কথা স্বীকার করেছেন।
তবে তার দাবি, তিনি আগে এমনটা ছিলেন না, শয়তানের প্ররোচনায় পরে তিনি এমনটা করেছেন। এ ঘটনায় তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।
এদিকে এ ঘটনা জানতে পেরে অধ্যক্ষের শাস্তির দাবি ও মাদ্রাসা বন্ধের দাবিতে বিক্ষোভ করেছেন এলাকাবাসী।
উল্লেখ্য, গত ২৬ জুন বুধবার নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জে অক্সফোর্ড নামে একটি বেসরকারি স্কুলের ২০ জনেরও অধিক ছাত্রীকে ৪ বছর ধরে যৌন হয়রানিসহ ধর্ষণের অভিযোগে সহকারী শিক্ষক আরিফুল ইসলাম সরকার ওরফে আশরাফুল ও প্রধান শিক্ষক জুলফিকার ওরফে রফিকুল ইসলামকে গ্রেপ্তার করে র্যাব-১১।
কালের আলো/এআর/এমএম