চার যুক্তিতে খালেদার জামিন
প্রকাশিতঃ 8:51 pm | March 12, 2018
নিজস্ব প্রতিবেদক, কালের আলো :
জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতির মামলায় কারাগারে আটক বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে চার যুক্তিতে চার মাসের জামিন আবেদন মঞ্জুর করেছেন হাইকোর্ট।
সোমবার উভয়পক্ষের শুনানি নিয়ে বিচারপতি এম. ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি সহিদুল করিমের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্টের দ্বৈত বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম। দুদকের পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট খুরশিদ আলম খান। খালেদা জিয়ার পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট জয়নুল আবেদীন।
আদেশের সময় আদালত বলেন, আমরা উভয়পক্ষকে শুনেছি। এখন আদেশ দিচ্ছি। চার বিষয় বিবেচনা করে এই আদেশ দেওয়া হচ্ছে। এক. সাজার পরিমাণ বিবেচনা (অর্থাৎ বিচারিক আদালতে তাকে যে স্বল্প মেয়াদের সাজা দেওয়া হয়েছে, তা বিবেচনা)।
দুই. মামলাটির বিচারিক আদালতের নথি এসেছে এবং এটি আপিল শুনানির জন্য পেপার বুক তৈরি হয়নি। তিন. বিচারিক আদালতে মামলা চলাকালে তিনি নিয়মিত আদালতে হাজিরা দিয়েছেন, তিনি জামিনে ছিলেন এবং জামিনের অপব্যবহার করেননি এবং চার. তার বয়স এবং শারীরিক অসুস্থতার বিষয় বিবেচনা করা হলো।
একইসঙ্গে আদালত তার আদেশে আগামী চার মাসের মধ্যে মামলার আপিল শুনানির জন্য পেপার বুক প্রস্তুত করতে হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখাকে নির্দেশ দেন। এই পেপার বুক তৈরি হলে উভয়পক্ষের আইনজীবীরা আপিল শুনানির জন্য আসতে পারবেন বলেও আদেশ দেন আদালত।
প্রসঙ্গত, জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতির মামলায় গত ৮ ফেব্রুয়ারি দুপুরে খালেদা জিয়াকে পাঁচ বছরের কারাদণ্ড দেন রাজধানীর বকশীবাজারে স্থাপিত অস্থায়ী পঞ্চম বিশেষ জজ আদালতের বিচারক ড. আখতারুজ্জামান।
রায় ঘোষণার পরপরই তাকে ওই দিন বিকালে নাজিম উদ্দিন রোডের পুরনো কেন্দ্রীয় কারাগারে নিয়ে যাওয়া হয়। এরপর এই রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করেন তার আইনজীবীরা। ২০ ফেব্রুয়ারি হাইকোর্টে এই মামলার আপিল আবেদনে ৪৪টি যুক্তি তুলে ধরেন খালেদা জিয়ার আইনজীবীরা। আদালত শুনানি শেষে ১৫ কার্য দিবসের মধ্যে মামলার নথি তলব করেন। নিম্ন আদালত থেকে সেই নথি ১১ মার্চ রবিবার দুপুরের পর উচ্চ আদালতে এসে পৌঁছায়।
তবে এদিনই জামিন বিষয়ে আদেশ ঘোষণার পূর্ব নির্ধারিত তারিখ নির্ধারিত ছিল আদালতের। এদিন সকালে আদালত যথারীতি বসলেও নথি পর্যালোচনার জন্য আদেশ ঘোষণা আরও একদিন পিছিয়ে সোমবারের তারিখ নির্ধারিত করেন। সে অনুযায়ী ওইদিন দুপুরে আদালত এ আদেশ ঘোষণা করেন।
কালের আলো/এমএম