মশা নিধনে মান্ধাতা আমলের ওষুধ নয় : মেয়র আতিক
প্রকাশিতঃ 4:27 pm | July 07, 2019

নিজস্ব প্রতিবেদক, কালের আলো:
মশা নিধনে মান্ধাতা আমলের ওষুধ আর ব্যবহার করা হবেনা বলে জানিয়েছেন ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) মেয়র মো. আতিকুল ইসলাম।
তিনি বলেছেন, খোঁজ নিয়ে দেখা গেছে, উত্তর সিটিতে মশক নিধনে ব্যবহৃত ওষুধ সব পুরনো ও মান্ধাতা আমলের। এসব ওষুধে মশা নিধন হয় না। সে কারণেই উত্তর সিটি করপোরেশন সিদ্ধান্ত নিয়েছে পুরনো ওষুধ ব্যবহার না করার।
রোববার (৭ জুলাই) দুপুরে সচিবালয়ে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে ঢাকা মহানগরীর মশক নিধন কার্যক্রম বিষয়ক পর্যালোচনা সভায় এ কথা বলেন তিনি।
আতিকুল ইসলাম বলেন, আমাদের মশার ওষুধের কন্ট্রাকটর দ্যা লিমিড এগ্রো প্রোডাক্টের মশার ওষুধ আমি চারবার পরীক্ষা করে দেখেছি, তাদের ওষুধ খারাপ। তাই তাদের প্রোডাক্টকে ঢাকা উত্তর সিটি থেকে ব্ল্যাক লিস্ট করা হয়েছে, তাদের মশার ওষুধ আমরা নেব না। তারা ভবিষ্যতে ঢাকা উত্তরের কোনো টেন্ডারে অংশ নিতে পারবে না।
‘আমরা ডব্লিউএইচও’র এপ্রুভ দ্বারা নতুন কম্পোজিশন এনে প্রথবারের মতো ঔষধ ব্যবহার করতে যাচ্ছি। এখানে তিনটি কম্পোজিশন দিয়ে ওষুধটি হয়, তার একটি ওষুধ পরিবর্তন করা হয়েছে। কিন্তু আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি তিনটি কম্পোজিশনই আমাদের পরিবর্তন করতে হবে।’
সব এলাকার মশক নিধন কর্মীদের ফোন নম্বর ওয়েবসাইটে পাওয়া যাবে জানিয়ে তিনি বলেন, আমরা উত্তর সিটি করপোরেশনের প্রত্যেকের সঙ্গে মিটিং করেছি, সবার কাছে আমরা তথ্য চেয়েছি। মশক নিধন কর্মীদের জন্য লগ বুক করে দিয়েছি, এটি আগামী সাতদিনের মধ্যে পাবলিক করে দেওয়া হবে।
‘কোনো এলাকায় কোনো মশক নিধন কর্মী যাবে তার ফোন নম্বর স্থানীয়দের জানিয়ে দেওয়া হবে। ফলে চাইলেই তাদের ফোন করা যাবে। কেউ এলাকায় না গেলে সেই অনুযাযী অভিযোগ দেওয়া যাবে। কোনো অভিযোগ আসলে জনগণকে সঙ্গে নিয়েই তা মোকাবিলা করতে হবে। মশক নিধন কর্মীরা কেন সেই এলাকায় যাচ্ছে না সেটিও জানা যাবে।’
জনগণকে সম্পৃক্ত করে সমস্যা সমাধান করতে হবে জানিয়ে মেয়র আতিকুল বলেন, মশক নিধনকর্মীরা কেনো যাচ্ছেন না, এজন্য লগ বই খুলেছি। এছাড়া বিভিন্ন স্টিকার, পোস্টার এবং বিভিন্ন বাজারে দিয়ে দিচ্ছি। স্কুল-মাদ্রাসা ও মসজিদের ইমামদের সঙ্গে বসেছি।
মেয়র আতিকুল আরও বলেন, উত্তর সিটি করপোরেশন থেকে এটি (মশক নিধন) একটি চ্যালেঞ্জ বলে মনে করি। এই চ্যালেঞ্জ নেওয়ার জন্য নির্বাচিত মেয়র হিসাবে এটা আমার প্রথম সিজন (মশা)। আমি অভিজ্ঞতা অর্জন করছি। অভিজ্ঞতা অর্জন করতে গিয়ে দেখলাম যে, এখানে অনেক ধরনের চ্যালেঞ্জ আছে।
কালের আলো/এআর/এমএম