সশস্ত্র বাহিনীকে বিশ্বমানের করতে কাজ করছে সরকার: প্রধানমন্ত্রী
প্রকাশিতঃ 6:48 pm | July 17, 2019
নিজস্ব প্রতিবেদক, কালের আলো:
বাংলাদেশের সশস্ত্র বাহিনীকে আন্তর্জাতিক মানে উন্নীত করতে সরকার নিরবচ্ছিন্নভাবে কাজ করে যাচ্ছে বলে জানিয়েছেন করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
তিনি বলেছেন, আমরা স্বাধীন দেশ। এর স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব সুরক্ষার দায়িত্ব সশস্ত্র বাহিনীর কাছে ন্যস্ত করা হয়েছে। তাই, স্বাধীন দেশের মতো করে সশস্ত্র বাহিনীর উন্নয়ন করে আন্তর্জাতিক মানে উন্নীত করতে আমরা নিরবচ্ছিন্নভাবে কাজ করে যাচ্ছি।
বুধবার(১৭ জুলাই) প্রেসিডেন্ট গার্ডস রেজিমেন্টের (পিজিআর) ৪৪তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষ ঢাকা সেনানিবাসে রেজিমেন্ট সদর দপ্তরে শুভেচ্ছা বক্তব্যে তিনি একথা বলেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, এই রেজিমেন্টের সদস্যরা অত্যন্ত সাহস, আন্তরিকতা ও নিষ্ঠার সাথে দায়িত্ব পালন করে যাচ্ছে। আপনাদের সততা, একনিষ্ঠতা এবং দেশপ্রেম সত্যিই মানুষকে উদ্বুদ্ধ করে।
এর আগে দুপুরে রেজিমেন্ট সদর দপ্তরে পৌঁছলে সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল আজিজ আহমেদ ও পিজিআর কমান্ডার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মোঃ জাহাঙ্গীর আলম তাঁকে অভ্যর্থনা জানান।
এর পর তিনি পরিদর্শন বইয়ে সই করেন এবং ঘুরে ঘুরে পিজিআর সদস্যদের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় করেন।
প্রধানমন্ত্রী রেজিমেন্ট সদর দপ্তরে একটি গাছের চারা রোপন করেন। এরপর প্রধানমন্ত্রীর সাথে পিজিআর সদস্যরা ফটো সেশনে অংশ নেন।
রেজিমেন্টের যেসব সদস্য দায়িত্ব পালনের সময় মারা গেছেন প্রধানমন্ত্রী সেসব শহীদদের পরিবারের সদস্যদের উপহার ও অনুদান দেন।
১৯৭৫ সালের তৎকালীন রাষ্ট্রপতি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান নিজ উদ্যোগ ও পরিকল্পনায় ঢাকা সেনানিবাসে প্রেসিডেন্ট গার্ড রেজিমেন্ট প্রতিষ্ঠা করেন।
প্রতিষ্ঠার পর থেকে পিজিআর দেশের রাষ্ট্র ও সরকার প্রধান এবং বিদেশ থেকে বাংলাদেশে আসা বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্র ও সরকার প্রধান এবং সরকারিভাবে ঘোষিত যে কোনো অতি গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তির নিরাপত্তা দিয়ে আসছে।
প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে প্রধানমন্ত্রী এই রেজিমেন্ট প্রতিষ্ঠায় বঙ্গবন্ধুর কথা স্মরণ করেন শেখ হাসিনা বলেন, গার্ডসরা নিজেদের জীবন বাজি রেখে নিরাত্তার দায়িত্বে থাকেন।
তাই তার পক্ষ থেকেও গার্ডসদের কল্যাণে কাজ করার চেষ্টা সব সময়ই থাকে বলে জানান তিনি।
শেখ হাসিনা ১৯৯৬ সালে প্রথমবার সরকার গঠন করার পর পিজিআরের জন্য ঝুঁকি ভাতা চালু করার কথা উল্লেখ করেন।
এছাড়া ২০০৮ সালে ক্ষমতায় আসার পর জনবল ও সরঞ্জাম বৃদ্ধি করা এবং আবাসনসহ বিভিন্ন সুযোগ-সুবিধা বাড়ানোর কথা উল্লেখ করেন তিনি।
অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রীর নিরাপত্তা বিষয়ক উপদেষ্টা মেজর জেনারেল তারিক আহমেদ সিদ্দিক (অবঃ), নৌবাহিনী প্রধান এডমিরাল আওরঙ্গজেব চৌধুরী, বিমান বাহিনী প্রধান এয়ার চীফ মার্শাল মাসিহুজ্জামান সেরনিয়াবাত প্রমূখ উপস্থিত ছিলেন।
কালের আলো/এআর/এমএম