যারা দেশে গুজব ছড়াচ্ছে তাদের ধরিয়ে দিতে বললেন প্রধানমন্ত্রী

প্রকাশিতঃ 12:58 pm | July 30, 2019

নিজস্ব প্রতিবেদক, কালের আলো:

যারা দেশে গুজব ছড়াচ্ছে, মিথ্যা রটাচ্ছে তাদের ধরিয়ে দিতে দেশবাসীর প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

তিনি বলেছেন, কেউ আইন নিজের হাতে তুলে নেবেন না। কেউ যদি অন্যায় করে তাকে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর কাছে সোপর্দ করুন।

মঙ্গলবার (৩০ জুলাই) রাজধানীর বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউয়ে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে দলের বিশেষ জরুরি সভায় লন্ডন সফরে থাকা প্রধানমন্ত্রী টেলিকনফারেন্সের মাধ্যমে দেশবাসীকে আহ্বান জানিয়ে এ কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী।

এসময় তিনি নিজেদের ঘরবাড়ি নিয়মিত পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখার আহ্বান জানান।

সরকারের পাশাপাশি দলীয় কর্মীদের ডেঙ্গু প্রতিরোধে পরিচ্ছন্নতা কর্মসূচিতে অংশ নেওয়ারও নির্দেশ দেন তিনি।

দেশে উৎপাদিত দুধ ও দুগ্ধজাত পণ্যের বিষয়ে আমদানিকারকদের কোনো কারসাজি আছে কি না -সে বিষয়েও সন্দেহ প্রকাশ করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘হঠাৎ কথা নেই বার্তা নেই, একজন দুধ পরীক্ষা করে বলে দিলেন দুধ ব্যবহারযোগ্য নয়। এবং সঙ্গে সঙ্গে রিট করা হয়। সেখানে বলে দেওয়া হয়, পাঁচ সপ্তাহ দুধ ব্যবহার করা যাবে না বা খাওয়ানো যাবে না। আমাদের যে দারিদ্র বিমোচন কর্মসূচি, সাধারণ মানুষের যে বেঁচে থাকার পথগুলো সৃষ্টি করা -সেগুলো কেন বাধাগ্রস্থ করা হয়? এটাই আমার প্রশ্ন।’

তিনি বলেন, এখানে আমার মনে হচ্ছে যে, আমদানিকারক যারা তাদের কোনো কারসাজি আছে কি না -সেটা আমাদের দেখা উচিত। বা তারা কোনোভাবে উৎসাহিত করছে কি না।

শেখ হাসিনা বলেন, ‘যারা এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত দেন তাদের এ বিষয়ে ভাবা উচিৎ, দেখা উচিত। হঠাৎ একটা গুজব ছড়িয়ে রফতানিকে বাধাগ্রস্ত করা বা দেশের উৎপাদিত পণ্যের মান সম্পর্কে কথা বলা -এতে দেশের ভাবমূর্তি নষ্ট হয়। কাজেই যারা গুজব ছড়াবে বা মিথ্যা তথ্য দিয়ে বিভ্রান্ত করবে তাদের ওপর আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

আওয়ামী লীগ সভাপতি বলেন, ‘আমি ঠিক জানি না, হঠাৎ একজন প্রফেসর সাহেব, তার পরীক্ষার মধ্য দিয়ে একটা কথা ছড়িয়ে দিয়ে রিট করা বা একটা সিদ্ধান্ত নেওয়াটা.. এর প্রকৃত ফলাফলটা কী হবে সেটা হয়তো কেউ চিন্তা করে না। দুধ বিক্রি করে অনেকে জীবিকা নির্বাহ করে। আবার গরুর দুধ বিক্রি করে সেই গরুর খাবারও জোগাড় করা হয়।’

তিনি আরও বলেন, যারা খামার করেছে বা গরু পালন করছে, তাদের কাছে থেকে দুধ কেনা হচ্ছে। এ মানুষগুলোর কাছে দারিদ্র বিমোচনের জন্য গরু কিনে দিয়েছি। তারা যদি দুধ বিক্রি করতে না পারে, অর্থ জোগাড় করতে না পারে, তাহলে গরুকে কী খাবার দেবে আর নিজে কিভাবে খাবার কিনে খাবে। এ বাস্তবতাটা চিন্তা করা দরকার।

বিদেশ থেকে যেসব দুধ আসে সেগুলো পরীক্ষা করা হয়েছে কি না জানতে চেয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, যিনি দেশের দুধ পরীক্ষা করেছেন তিনি বিদেশ থেকে আমদানি করা গুঁড়া দুধগুলো পরীক্ষা করেছেন কি না? আমার মনে হয়, তিনি এটা কখনো করেন নাই।

শেখ হাসিনা বলেন, আমি অনুরোধ করব, তিনি যেন বিদেশ থেকে আমদানি করা গুঁড়া দুধগুলোও পরীক্ষা করে দেখেন। আমরা আমাদনি নির্ভর থাকতে চাই না, স্বনির্ভর থাকতে চাই। আমরা দেশের চাহিদা দেশের উৎপাদিত পণ্য দ্বারা মেটাতে চাই।

আন্তর্জাতিক মানদণ্ডে খাদ্যপণ্যের পরীক্ষার জন্য বিএসটিআইকে উন্নত ও আধুনিক করা হয়েছে বলেও জানান প্রধানমন্ত্রী।

কালের আলো/এআর/এমএম