মশা নিধন কর্মীদের নজরদারিতে ‘জিপিএস’ : মেয়র আতিক

প্রকাশিতঃ 3:50 pm | August 02, 2019

নিজস্ব প্রতিবেদক, কালের আলোঃ

মশা নিধনের দায়িত্বে নিয়োজিত কর্মীরা কোন স্থানে থাকেন তা নিয়ে নাগরিকদের অভিযোগ রয়েছে। বহু এলাকাবাসীর অভিযোগ তাঁরা ওষুধ না ছিটিয়ে ভিন্ন কোনো স্থানে থাকেন।

এবার ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) মশা নিধনের দায়িত্বে নিয়োজিত কর্মীদের নজরদারিতে রাখার জন্য সোমবার থেকে আধুনিক প্রযুক্তির জিপিএস (গ্লোবাল পজিশনিং সিস্টেম) ডিভাইস দেবে বলে জানিয়েছেন মেয়র আতিকুল ইসলাম।

তিনি বলেছেন, সোমবার থেকে আমাদের বেশিরভাগ মশক কর্মীদের সঙ্গে জিপিএস ট্র্যাকার থাকবে। তাই মশক কর্মীদের কাজ নিয়ে আর সন্দেহের সুযোগ থাকবে না।

শুক্রবার (২ আগস্ট) রাজধানীর উত্তরায় নওয়াব হাবিবুল্লাহ মডেল স্কুল অ্যান্ড কলেজে ডেঙ্গু প্রতিরোধে আয়োজিত এক সচেতনতামূলক অনুষ্ঠানে মেয়র বিষয়টি জানান।

মেয়র আতিকুল বলেন, এখন আর কথা বলার সময় নেই, কাজের সময়। সামাজিক আন্দোলন এবং একেক প্রচেষ্টার মাধ্যমে কাজ করলে দেশ থেকে ডেঙ্গু নির্মূল করা সম্ভব।

ডেঙ্গু প্রতিরোধে যুবকদের এগিয়ে আসার আহ্বান জানিয়ে মেয়র বলেন, তৃণমূল থেকে কাজের জন্য আমাদের প্রতিটি ওয়ার্ডকে ১০টি ভাগে ভাগ করে স্ক্যানিং করা হবে। এ কাজে আমাদের প্রচুর যুবক প্রয়োজন। স্কাউট, গার্লস গাইড প্রয়োজন। আমাদের লোকসংখ্যা সীমিত কিন্তু যুবক সীমিত না। যেভাবে যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয় এগিয়ে এসেছে এমন সাহায্য আরও দরকার হবে।

অনুষ্ঠানে যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী জাহিদ রাসেল বলেন, আমাদের এখন কাজ করার সময়। যুব উন্নয়ন অধিদপ্তরের অধীনে সারাদেশে আমাদের প্রায় পাঁচ কোটি যুবক ও যুব সম্পদ রয়েছে। ডেঙ্গু প্রতিরোধে তাদের আমরা কাজে লাগাতে চাই। শুক্রবার থেকে উত্তরের ৫৪টি ওয়ার্ডে আমরা কাজ করছি। দ্রুতই দক্ষিণের সঙ্গেও আমরা কাজ করবো। সবাই সচেতন হলে ডেঙ্গু নির্মূল হবে।

অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. জাফর উদ্দিন আহমেদ, কার্যক্রমের পৃষ্ঠপোষক ওয়ালটনের অতিরিক্ত পরিচালক (স্পোর্টস) ইকবাল বিন আনোয়ার ডন প্রমুখ।

কালের আলো/এনএল/এমএইচ