৪ টার্মিনালের জন্য কেনা হচ্ছে ফগার মেশিন, ঈদ বাসে স্প্রে করার নির্দেশ

প্রকাশিতঃ 12:05 am | August 05, 2019

নিজস্ব প্রতিবেদক, কালের আলো:

লাফিয়ে বাড়ছে ডেঙ্গু রোগীর সংখ্যা। ইতোমধ্যেই দেশের ৬৪ জেলাতেই ছড়িয়ে পড়েছে ডেঙ্গু রোগী। এরই মধ্যে দুয়ারে কড়া নাড়ছে ঈদ।

ঢাকা টার্মিনালগুলো থেকে বাসযোগে নিজ নিজ গন্তব্যে ছুটবেন মহানগরীর বাসিন্দারা। আর এ বিষয়টিকে মাথায় রেখে কার্যকর উদ্যোগ গ্রহণ করেছে ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতি।

রাজধানী ঢাকার সায়েদাবাদ, মহাখালী, গুলিস্তান ও ফুলবাড়িয়া এই চারটি টার্মিনালকে পুরোপুরি ডেঙ্গুমুক্ত করতে তিনটি ফগার মেশিন কেনার সিদ্ধান্ত নিয়েছে তারা।

ঈদে সারাদেশে এডিস মশার ছড়িয়ে পড়া ঠেকাতে দূরপাল্লার এসব বাসে স্প্রে করা হবে মশার ওষুধ।

বুধবার (৪ আগস্ট) ‘ডেঙ্গু প্রতিরোধ কল্পে করণীয়’ বিষয়ে সংগঠনটির এক মালিক-শ্রমিক যৌথসভায় এই সিদ্ধান্তের কথা জানান সমিতির সাধারণ সম্পাদক খন্দকার এনায়েত উল্যাহ।

তিনি বলেন, ডেঙ্গু প্রতিরোধ শুধু সিটি করপোরেশন বা সরকারের কাজ নয়। ডেঙ্গু মোকাবিলায় সকলকে একযোগে কাজ করতে হবে। আমরা সমিতির পক্ষ থেকে ডেঙ্গু প্রতিরোধে কিছু উদ্যোগ নিয়েছে। আমরা ডেঙ্গুর প্রকোপ কমাতে সিটি করপোরেশনের ওপর নির্ভর না করে নিজেরাই মশা মারার ওষুধ ছিটাবো।

এনায়েত উল্যাহ বলেন, সায়েদাবাদ, মহাখালী, গুলিস্তান ও ফুলবাড়িয়া এই চারটি টার্মিনালকে ডেঙ্গুমুক্ত করতে আগামীকালের ( সোমবার) মধ্যে তিনটি মশার ওষুধ ছিটানোর ফগার মেশিন কিনতে হবে। তিনটির মধ্যে সায়েদাবাদ টার্মিনাল একটি, মহাখালী টার্মিনাল একটি এবং গুলিস্তান ও ফুলবাড়িয়া যৌথভাবে একটি ফগার মেশিন ব্যবহার করবে।

তিনি বলেন, স্ব স্ব টার্মিনালের মালিক সমিতির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের সমন্বয়ে একটি কমিটি করে মশার ওষুধ কিনে মশা নিধনের কাজ পরিচালনা করতে হবে। ফগার মেশিন কেনার পর সিটি কর্পোরেশনের সঙ্গে কথা বলে ওষুধ কিনতে হবে এবং লোক রেখে এগুলো ছিটানোর ব্যবস্থা করবেন।

‘এই কার্যক্রমের দায়িত্ব সম্পূর্ণ মালিক সমিতির। প্রতিদিন সকালে একবার সন্ধ্যার আগে একবার ওষুধ ছিটাবেন। আমাদের সমিতির পক্ষ থেকে সাংগঠনিক সম্পাদকের সমন্বয়ে একটি পাঁচ সদস্যের কেন্দ্রীয় কমিটি আপনাদের কার্যক্রম মনিটরিং করবে।’

খন্দকার এনায়েত বলেন, গ্রীনলাইনের একটি ঘটনায় তাদের ৫০ লাখ টাকা ক্ষতিপূরণের নির্দেশ দেন আদালত। কোন আইনে এত টাকা জরিমানার বিধান না থাকলেও আদালত বলেছে, শুধুমাত্র দৃষ্টান্ত স্থাপনের জন্য এ রায়। খেয়াল রাখবেন, কারও অমনোযোগিতা বা খামখেয়ালির কারণে যেন দুর্ঘটনা না ঘটে।

সভায় মহাখালী বাস টার্মিনাল সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক আব্দুল মালেক অভিযোগ করেন, সারাদেশ ডেঙ্গুর প্রকোপ তবুও মহাখালী বাস টার্মিনালে সিটি করপোরেশনের পক্ষ থেকে এপর্যন্ত কেউ মশার ওষুধ ছিটায়নি। আমরা একটি এনজিওর সহযোগিতায় নিজ উদ্যোগে মশার ওষুধ ছিটিয়েছি।

সায়েদাবাদ বাস টার্মিনাল মালিক সমিতির সভাপতি আবুল কালাম আজাদ বলেন, সিটি করপোরেশন মশা নিধনে কোনও উদ্যোগ নেয়নি। তাদের সহযোগিতা থাকলে আমাদের কাজ আরও সহজ হতো।

সভায় তিনি আরও বলেন, ঈদের সময় বিভিন্ন রুটে অতিরিক্ত ভাড়া নিয়ে আলোচনা হয়, সংবাদপত্রে নিউজ হয়। এগুলো আর শুনতে ভালো লাগে না।

এসময় খন্দকার এনায়েত উল্লাহ কাউকে অতিরিক্ত ভাড়া না নেওয়ার নির্দেশ দেন। এছাড়াও জরাজীর্ণ ফিটনেসবিহীন গাড়ি টার্মিনাল থেকে বের না করার অনুরোধ জানান। এছাড়া সড়ক দুর্ঘটনা বন্ধে ড্রাইভারের জায়গায় যাতে কোনও সহকারী ( হেলপার) গাড়ি না চালায় সেদিকে খেয়াল রাখার জন্য বাস মালিকদের অনুরোধ জানান তিনি

কালের আলো/এনএল/এমএম