কলকাতা ডেঙ্গু মোকাবেলায় কীভাবে সফলতা পেয়েছে, জানালেন স্থানীয় সরকার মন্ত্রী

প্রকাশিতঃ 1:24 pm | August 05, 2019

নিজস্ব প্রতিবেদক, কালের আলো :

ডেঙ্গু মহামারী আকার নিয়েছে। এক সময় কলকাতাতেও মহামারী আকার নিয়েছিল ডেঙ্গুবাহী এডিস মশা। কিন্তু সেই অবস্থা থেকে ঘুরে দাঁড়িয়েছে তাঁরা। ফলে ডেঙ্গু রোধে কলকাতায় মন্ত্রী ও মেয়রদের সঙ্গে বৈঠক করে এসেছেন স্থানীয় সরকার মন্ত্রী তাজুল ইসলাম এমপি।

আরও পড়ুন: বদলে যাওয়া বাংলাদেশের গল্প বললেন স্থানীয় সরকার মন্ত্রী

রোববার (০৪ আগষ্ট) সন্ধ্যায় রাজধানীর বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির জাতীয় চিত্রশালা মিলনায়তনে ‘শতবর্ষের পথে বঙ্গবন্ধু’, চিত্রে, গানে, কবিতায় স্মরণ অনুষ্ঠানে এমন তথ্য জানান মন্ত্রী তাজুল ইসলাম।

তিনি বলেন, আমি কলকাতায় গিয়েছিলাম। সেখানে কলকাতার মেয়রের সঙ্গে ডেঙ্গু নিয়ে কথা বলেছিল। তাঁরা জানিয়েছে, গত ৮ বছরে তাদের প্রচুর লোক মারা গেছে। আজকে তাঁরা এই জায়গায় প্রতিরোধে সক্ষম হয়েছে। তাঁরা ফগার মেশিন ব্যবহার করে না। ডেভেলপমেন্ট মিনিস্টারসহ অন্যান্যরা বললো, ৯০ শতাংশই হচ্ছে জনগণের অংশগ্রহণ এবং সচেতনতা। ১০ পার্সেন্ট সরকারের কাজ।

আরও পড়ুন: বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে বিএনপি’র ওবায়দুর রহমান কী বলেছিলেন, জানালেন এলজিআরডি মন্ত্রী

কিন্তু সরকারের কমিটমেন্ট থাকতে হবে, তাদেরকে সিদ্ধান্ত নিতে হবে। কিন্তু কাজটি করতে হবে জনগণকে। খালে-বিলে, কচুরিপানা, ময়লা-আবর্জনায় এডিস মশা জন্মাবে না। পরিস্কার পানিতে হবে এটি। বাড়ির ছাদে, আঙ্গিনায়, ফুলের টবে ও এসির স্বচ্ছ পানিতে জন্মাবে।

ঢাকা শহরে কত লক্ষ বাড়ি আছে? এডিস মশা মেরে শেষ করতে পারবেন না। এডিস মশার লার্ভা নষ্ট করে দিতে হবে। ৩ থেকে ৪ দিনের পানি ফেলে দিতে হবে। পানি জমার সুযোগ থাকলে ড্রাই করে ফেলুন।

ছবি-আনিসুর রহমান ফারুক, কালের আলো।

আরও পড়ুনঃ কুমিল্লায় ইউপি সদস্যদের আলাদা অফিস, রয়েছে নাগরিকের হালনাগাদ তথ্য

মন্ত্রী বলেন, কলকাতা কীভাবে ডেঙ্গু মোকাবিলা করলো, সেই বিষয়ে আমরা দীর্ঘক্ষণ তাদের সঙ্গে ডেঙ্গু প্রতিরোধের বিষয়ে আলোচনা করেছি। এটা আমাদের সমৃদ্ধ করেছে। এবং আন্তরিকতাও বেড়েছে।

কলকাতার ড্রেনে পানি নেই
কলকাতার বেকার হোস্টেলে বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য স্থাপন করার জন্য গিয়েছিলাম, জানালেন মন্ত্রী। বললেন, ‘ডেপুটি হাইকমিশনার আমাকে দেখালেন, এখানে ড্রেন শুকনো। ড্রেনে কোন পানি নেই। পানি জমলে এখানে মশা হবে। এটা জনগণ বুঝে এবং মানে।’

কালের আলো/এআরএফ/এমএএএমকে