বিএনপির পক্ষ থেকে অভিনন্দন পাওয়ার প্রত্যাশী ছিলেন হাছান
প্রকাশিতঃ 2:57 pm | March 23, 2018
নিজস্ব প্রতিবেদক, কালের আলো:
বাংলাদেশ উন্নয়নশীল দেশ হিসেবে স্বীকৃতিপত্র পাওয়ায় বিএনপির পক্ষ থেকে অভিনন্দন পাওয়ার প্রত্যাশী ছিলেন হাছান মাহমুদ।
আওয়ামী লীগের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক বলেন, ‘আমরা আশা করেছিলাম দেশের এই অর্জনে বিএনপি সরকারকে অভিনন্দন না জানালেও জাতিকে অভিনন্দন জানাবে। কিন্তু তারা সেটা না করে যেসব বক্তব্য দিচ্ছেন তার মাধ্যমে বিকৃত মানসিকতার বহিঃপ্রকাশ ঘটেছে।’
শুক্রবার ধানমন্ডিতে আওয়ামী লীগ সভাপতির রাজনৈতিক কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য রাখছিলেন হাছান।
১৯৭৫ সালে জাতিসংঘের স্বল্পোন্নত দেশের তালিকায় অন্তর্ভুক্ত বাংলাদেশ ৪৩ বছর পর উন্নয়নশীল দেশে উত্তরণের স্বীকৃতিপত্র পেয়েছে। তবে এই উত্তরণ পুরোপুরি শেষ হবে ২০২৪ সালে।
বাংলাদেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নের ক্ষেত্রে এই স্বীকৃতি একটি বড় অর্জন হিসেবেই বিবেচনা করছে সরকার। আর ২২ মার্চ দেশজুড়ে উদ্বোধন করা হয়েছে সপ্তাহব্যাপী উৎসবের। অভিনন্দন জানানো হয়েছে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে।
এই অনুষ্ঠানে জাতিসংঘ মহাসচিব অ্যান্তোনিও গুতেরেস ছাড়াও বিশ্বব্যাংক, এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক, জাইকা, ইউএসএআইডির প্রধানরা ভিডিও বার্তা পাঠিয়ে দেশবাসীকে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন। এদের সবাই এই অর্জনকে মাইলফলক উল্লেখ করে বলেছেন, সারা বিশ্বেরই বাংলাদেশ থেকে শেখার আছে।
তবে একই দিন বিএনপির প্রতিক্রিয়া ছিল সমালোচনামুখর। দলের সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী এই উদযাপনকে ‘বিকৃত তামাশা’ হিসেবে উল্লেখ করেন।
বিএনপিরই আরেক নেতা আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী খুঁজে বেড়াচ্ছেন উন্নয়ন কোথায় হয়েছে। তিনি বলেন, ‘গণতন্ত্র ও উন্নয়ন একসঙ্গে চলতে হয়। কিন্তু বাংলাদেশে সেটা নেই। তাহলে কিসের উন্নয়নের কথা বলছে?’।
বিএনপি নেতা রিজভীর বক্তব্যের সমালোচনা করে হাছান মাহমুদ বলেন, ‘বাংলাদেশ আজ উন্নয়নশীল দেশে উন্নীত হয়েছে। এটা জাতির জন্য একটি বড় পাওয়া। জাতির এই অর্জনে র্যালি হবে এটাই স্বাভাবিক।’
‘কিন্তু গতকাল (বৃহস্পতিবার) বিএনপি নেতা রিজভী আহমেদ যে বক্তব্য দিয়েছেন, তার মাধ্যমে তার বিকৃত মানসিকতার বহিঃপ্রকাশ ঘটেছে।’
‘তারা দেশের উন্নয়ন চায় না। তারা চায় শুধু খালেদা জিয়া এবং খালেদা জিয়ার পরিবারের উন্নয়ন।’
ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ দেশে ব্যাপক উন্নয়নের দাবি করলেও বিএনপি তা মেনে নিতে নারাজ। তারা সরকারকে ব্যর্থ প্রশাসন হিসেবে উপস্থাপন করতে চায়। তবে ২০১১ সালের এপ্রিলে সমুদ্রসীমা নিয়ে আন্তর্জাতিক আদালতে করা মামলায় মিয়ানমারের সঙ্গে জয়ের পর সরকারকে অভিনন্দন জানিয়েছিলেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। অবশ্য এক সপ্তাহের মধ্যে সে অভিনন্দন বার্তা প্রত্যাহার করে নেয় বিএনপি।
হাছান মাহমুদ বলেন, ‘বিএনপি দেশের অগ্রগতি জন্য কিছুই করতে পারেনি এবং পারবে না। আমাদের এই অর্জনে সমস্ত পৃথিবী অভিনন্দন জানালেও বিএনপির অভিনন্দন জানাতে ব্যর্থ হয়েছে।’
আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরীর সমালোচনা করে হাছান বলেন, ‘তারা বাংলাদেশের উন্নয়ন চায় না। তারা দেশের জনগণের অগ্রগতি মেনে নিতে পারে না। এগুলো হচ্ছে তাদের বিকৃত মানসিকতার বহিঃপ্রকাশ।’
বিএনপি নেতাদের এই বিকৃত মানসিকতা পরিহার করে দেশের এই অর্জনে দেশ ও জাতিকে অভিনন্দন জানানোর আহ্বান জানান হাছান মাহমুদ।
সংবাদ সম্মেলনে আওয়ামী লীগের কৃষি ও সমবায় সম্পাদক ফরিদুন্নাহার লাইলী, উপ-দপ্তর সম্পাদক বিপ্লব বড়ুয়া, উপ-প্রচার সম্পাদক আমিনুল ইসলাম প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
কালের আলো/ওএইচ