চিকিৎসকদের শত চেষ্টার পরও বাঁচানো গেল না শাহীন ব্যাপারীকে

প্রকাশিতঃ 6:41 pm | March 26, 2018

নিজস্ব প্রতিবেদক, কালের আলো :

চিকিৎসকদের শত চেষ্টার পরও বাঁচানো গেল না নেপালে ইউএস-বাংলার উড়োজাহাজ দুর্ঘটনায় আহত শাহীন ব্যাপারীকে।

সোমবার বিকেলে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মৃত্যুবরণ করেন (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাহি রাজিউন)।

ঢামেক হাসপাতালের বার্ন ইউনিটের সমন্বয়ক ডা. সামন্ত লাল সেন বলেন, বিকেল পৌনে ৫টার দিকে শাহীন ব্যাপারী মারা যান।

গত রোববার (১৮ মার্চ) শাহীন ব্যাপারীকে নেপাল থেকে ঢাকায় আনা হয়। এরপর বার্ন ইউনিটের তত্ত্বাবধানে ২১ মার্চ প্রথম দফায় ও ২৫ মার্চ দ্বিতীয় দফায় তার অস্ত্রোপচার করা হয়। দ্বিতীয় দফায় অস্ত্রোপচারের পর শাহীন ব্যাপারীর অবস্থার অবনতি হতে থাকে।

বার্ন ইউনিট সূত্র জানায়, বিকেলে শাহীন ব্যাপারীর ইসিজি করা হয়। ইসিজিতে তার হৃদযন্ত্র নিষ্ক্রিয় ছিল। এছাড়া আইসিইউতে থাকাকালে তার চিকিৎসায় ব্যবহৃত মেশিন লাগিয়ে শাহীন ব্যাপারীর কোনো রেসপন্স পাওয়া যাচ্ছিল না।

শাহীন ব্যাপারীর স্বজনদের সঙ্গে কথা বলা হচ্ছে। কিছুক্ষণের মধ্যে ডেথ সার্টিফিকেট লেখা হবে।

শাহীন ঢাকার সদরঘাটের ‘করিম এন্ড সন্স’ নামে একটি কাপড়ের দোকানে ম্যানেজার হিসেবে কাজ করেন। স্ত্রী রিমা ও আট বছরের মেয়ে সূচনাকে নিয়ে নারায়ণগঞ্জের আদমজীর একটি বাসায় থাকতেন তিনি।

ইসিজি রিপোর্টে হৃদস্পন্দন না পাওয়ার কিছুক্ষণ পর শাহীন ব্যাপারীর মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করে ব্রিফিং করেন সামন্ত লাল সেন।

তিনি জানান, উড়োজাহাজ দুর্ঘটনায় অগ্নিদগ্ধ হন শাহীন ব্যাপারী। তার শরীরের ৩২ শতাংশ পুড়ে যায়। এছাড়া কোথাও কোথাও ডিপবার্ন ছিল।

সামন্তলাল সেন বলেন, ‘অগ্নিদগ্ধ শাহীনের শরীরে ইনফেকশন ছড়িয়ে পড়ে। নেপালে থাকা অবস্থাতেই এই ইনফেকশন ছড়ায়। এ অবস্থাতেই নেপাল থেকে এনে তাকে বার্ন ইউনিটে ভর্তি করা হয়।’

গত রোববার (১৮ মার্চ) শাহীন ব্যাপারীকে নেপাল থেকে ঢাকায় আনা হয়। এ দিন দুপুর ৩টার দিকে তাকে নিয়ে আসা বিমানটি হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছায়।

নেপালের কাঠমান্ডুতে ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্সের একটি উড়োজাহাজ বিধ্বস্ত হয়ে ৪৯ জন মারা যান। তাদের মধ্যে বাংলাদেশি ২৬ জন। আহত হন ১০ বাংলাদেশি। আহতদের মধ্যে ৭ জনকে পর্যায়ক্রমে দেশে নিয়ে আসা হয়। বাকি তিনজন দেশের বাইরে চিকিৎসাধীন আছেন।

 

কালের আলো/আরএম