বিএনপির আট নেতার ব্যাংক হিসাব চাইল দুদক
প্রকাশিতঃ 6:33 pm | April 04, 2018
নিজস্ব প্রতিবেদক, কালের আলো:
১২৫ কোটি টাকার সন্দেহজনক লেনদেনের তথ্যে বিএনপির যে আট নেতার বিরুদ্ধে অনুসন্ধান শুরু হয়েছে, তাদের ব্যাংক হিসাবের তথ্য চেয়ে বিভিন্ন ব্যাংককে চিঠি দিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন-দুদক। পাশাপাশি এক বিএনপি নেতার ছেলে ও ঢাকা ব্যাংকের একজন শীর্ষ কর্মকর্তার তথ্যও চেয়েছে দুর্নীতিবিরোধী সংস্থাটি।
বুধবার দুদকের উপপরিচালক ও অনুসন্ধান কর্মকর্তা সামছুল ইসলামের সই করা চিঠি গেছে বিভিন্ন বেসরকারি ব্যাংকে।
এইচএসবিসি, স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড, ডাচ বাংলা, ন্যাশনাল, ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংক, এবি এবং ঢাকা ব্যাংকের কাছে এই হিসাব চাওয়া হয়েছে।
গত ২ এপ্রিল বিএনপির নেতা খন্দকার মোশাররফ হোসেন, মির্জা আব্বাস, আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী, নজরুল ইসলাম খান, আবদুল আউয়াল মিন্টু, এম মোর্শেদ খান, হাবিব-উন-নবী খান সোহেল ও তাবিথ আউয়ালের বিরুদ্ধে অনুসন্ধান চালাতে সামছুল ইসলামসহ দুইজনকে দায়িত্ব দেয় দুদক।
বিএনপির এই আট নেতা গত ৩০ দিনে ১২৫ কোটি টাকা সন্দেহজনক লেনদেন করেছেন বলে গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে সংবাদ প্রকাশ হয় একটি অনলাইন গণমাধ্যমে। এরপরই এই সিদ্ধান্ত নেয় দুদক।
তবে দুদক চেয়ারম্যান ইকবাল মাহমুদ জানান, তাদের কাছেও নানা সূত্রে এই অভিযোগ এসেছে। তারা জানতে পেরেছেন, বিভিন্ন বেসরকারি ব্যাংকের কর্মকর্তাদের যোগসাজশে বিদেশে টাকা পাচারসহ বিভিন্ন নাশকতার জন্য এই অর্থ লেনদেন হয়েছে। আর এই অভিযোগ সত্য কি না, তা জানতেই অনুসন্ধান করা হচ্ছে।
বিএনপির আট নেতা ছাড়াও আরও যে দুই জনের ব্যাংক হিসাব চাওয়া হয়েছে তারা হলেন বিএনপি নেতা এম মোর্শেদ খানের ছেলে ফয়সাল মোর্শেদ খান এবং ঢাকা ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সৈয়দ মাহবুবুর রহমান।
দুদকের এই সিদ্ধান্তের তীব্র নিন্দা জানিয়ে বিএনপি অভিযোগ করেছে, সরকারের নির্দেশে দুদক তাদের নেতাদের হয়রানি করতেই এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে। আর বিএনপির চার নেতা খন্দকার মোশাররফ হোসেন, নজরুল ইসলাম খান, আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী এবং আবদুল আউয়াল মিণ্টু কোনো ধরনের অনিয়মের অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করেছেন।
দুদক চেয়ারম্যান ইকবাল মাহমুদ অবশ্য বিএনপির আট নেতাকে অভয় দিয়ে নিশ্চয়তা দিয়েছেন যে, তারা কারও ওপর অন্যায় করবেন না।
আর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের দুদকে সরকারের পক্ষ থেকে হস্তক্ষেপের অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। বলেছেন, সংস্থাটি স্বাধীনভাবে কাজ করছে। দুদকে হস্তক্ষেপ থাকলে সরকারি দলের সংসদ সদস্য, মন্ত্রীদেরকে কীভাবে তলব করা হয়, আর একজন সংসদ সদস্যের কীভাবে দুদকের মামলায় সাজা হয়, সে প্রশ্নও রাখেন কাদের।
দুদকের পরিভাষায় অনুসন্ধানকে প্রাথমিক তদন্ত বলা যায়। অনুসন্ধানে বিশ্বাসযোগ্য তথ্য পাওয়া গেলে সেই প্রতিবেদনের ওপর ভিত্তি করে আনুষ্ঠানিক তদন্ত শুরু হয়।
কালের আলো/এমএ