সালমান খানের ৫ বছরের কারাদণ্ড

প্রকাশিতঃ 4:37 pm | April 05, 2018

শোবিজ ডেস্ক, কালের আলো:

ভারতের একটি আদালত ১৯৯৮ সালের দুটি কৃষ্ণসার প্রজাতির হরিণ শিকার মামলায় বলিউড সুপারস্টার সালমান খানকে দোষী সাব্যস্ত করে পাঁচ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছে।

এ মামলায় বলিউড তারকা সাইফ আলী খান, সোনালি বান্দ্রে, নিলম ও টাবুকে খালাস দিয়েছে আদালত।

বৃহস্পতিবার প্রায় ২০ বছর পুরনো এই মামলার রায় দেন যোধপুরের ডিসট্রিক্ট প্রিজাইডিং অফিসার দেবকুমার খাত্রী।

রায় দেয়ার সময় আদালতে উপস্থিত ছিলেন সাইফ আলী কান, সোনালি বান্দ্রে, নিলম ও টাবু।

এ মামলায় আরও দুজন অভিযুক্ত ছিলেন -ট্রাভেল এজেন্ট দশায়ন্ত সিং ও সালমানের সহকারী দিনেশ গাউরে। গাউরে অবশ্য এখনো পলাতক।

সালমান খানের বিরুদ্ধে অভিযোগ ছিল যে তিনি ১৯৯৮ সালের ১ ও ২ অক্টোবর যোধপুরের কাছে কানকানি গ্রামে দুটি বিরল প্রজাতির হরিণ শিকার করেছেন।

সালমানসহ উল্লেখিত অভিনেতা অভিনেত্রীরা সেখানে একটি হিন্দি ছবির শুটিংয়ে গিয়েছিলেন।

৫২ বছর বয়সী সালমান আগেই এ মামলায় নিজেকে নির্দোষ দাবি করে বলেছেন হরিণ দুটি প্রাকৃতিক কারণেই মারা গেছে।

সালমনের আইনজীবী এইচ এম সারস্বতের দাবি ছিল, সরকারি কৌঁসুলি অভিযোগের স্বপক্ষে প্রমাণ সংগ্রহ করতেই পারেননি। মামলা সাজাতে ভুয়া সাক্ষী দাঁড় করিয়েছেন। এমনকী, বন্দুকের গুলিতেই যে কৃষ্ণসার দুটির মৃত্যু হয়েছিল, তা-ও সরকারি কৌঁসুলি প্রমাণ করতে পারেননি বলে দাবি করেছেন সারস্বত। ২৮ মার্চ নিম্ন আদালতে কৃষ্ণসার মামলার চূড়ান্ত পর্যায়ের শুনানি শেষ হয়।

প্রত্যক্ষদর্শীদের দাবি, ১৯৯৮ সালের ১ এবং ২ অক্টোবর যোধপুরে ‘হাম সাথ সাথ হ্যায়’ সিনেমার শ্যুটিংয়ের মাঝে আলাদা আলাদা জায়গায় দু’টি কৃষ্ণসার হরিণ হত্যা করেছিলেন সলমন খান। সেই সময় তাঁর সঙ্গে সইফ আলি খান, নীলম, তব্বু এবং সোনালি বেন্দ্রেরা ছিলেন।

রাজস্থানের কঙ্কানি এলাকায় গ্রামবাসীদের বক্তব্য, গুলির শব্দ শুনে তারা সলমনদের জিপসি গাড়িটিকে ধাওয়া করেছিলেন। কিন্তু তাঁদের ধরা যায়নি। সেই সময় চালকের আসনে ছিলেন স্বয়ং সলমন। প্রবল গতিতে গাড়ি ছুটিয়ে তারা পালিয়ে যান বলে দাবি করেন গ্রামবাসীরা।

বলিউড সূত্রের খবর, এই মুহূর্তে সালমনের ওপর এক হাজার কোটিরও বেশি লগ্নি রয়েছে। তার সাজা হওয়ায় অনিশ্চিত হয়ে পড়ল এই ফিল্মগুলোর ভবিষ্যত্। মামলার রায় ঘোযণার এক দিন আগে অর্থাত বুধবার যোধপুর পৌঁছান সালমন খান, তাব্বু এবং সেফ আলি খান।

 

কালের আলো/এসআর