কার ‘সোনার ডিমপাড়া হাঁস’ ছিলেন পাগলা মিজান, ‘লাপাত্তা’ আদাবরের তুহিন!
প্রকাশিতঃ 9:37 am | October 13, 2019

বিশেষ সংবাদদাতা, কালের আলো :
নানা গুঞ্জণের পর অবশেষে গ্রেফতার হয়েছেন রাজধানীর মোহাম্মদপুরের ওয়ার্ড কাউন্সিলর হাবিবুর রহমান মিজান ওরফে পাগলা মিজান। এরই মধ্যে দিয়ে ‘পতন’ হতে শুরু করেছে তাঁর অপরাধ সাম্রাজ্যের। সরকারের দুর্নীতি বিরোধী কঠোর অভিযানে গ্রেফতার হওয়া এ ওয়ার্ড কাউন্সিলর বেশ ‘ক্ষমতাধর’। গ্রেফতার এড়াতে তিনি ভারতে পালাতে চেয়েছিলেন।
আরও পড়ুন: শেখ হাসিনাকে হত্যাচেষ্টার পরিকল্পনার কথা জানতেন সেই ‘পাগলা মিজান’!
শুক্রবার (১১ অক্টোবর) সকালে র্যাবের একটি বিশেষ টিম মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গলে গুহ রোডের হামিদা আবাসিক গেস্ট হাউজের সামনে থেকে র্যাবের বিশেষ টিম তাকে আটক করে। নানা ঘটনায় অভিযুক্ত হয়ে গ্রেফতার হওয়ার পর থেকেই তাঁর অপরাধ সাম্রাজ্যের নানা অজানা কাহিনী বেরিয়ে আসতে শুরু করেছে।
লালমাটিয়া ও মোহাম্মদপুর এলাকায় হত্যা, জমি দখল, চাঁদাবাজি, টেন্ডারবাজি, মাদক বাণিজ্য থেকে শুরু করে সব ধরণের অপরাধেই ছিলেন ‘অপ্রতিরোধ্য’।
আরও পড়ুন: হলো না শেষ রক্ষা, যেভাবে ধরা পড়লো ‘পাগলা মিজান’
বিশেষ করে বঙ্গবন্ধু কন্যা, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে হত্যা চেষ্টার ঘটনার সঙ্গে প্রকাশ্য-অপ্রকাশ্য সম্পৃক্ততার পরেও খোদ আওয়ামী লীগের রাজনীতিতেই ‘প্রভাবশালী’ হয়ে উঠেছিলেন তিনি। মূলত ক্ষমতাসীন দলটির এক কেন্দ্রীয় নেতার কাছে তিনি ছিলেন ‘সোনার ডিমপাড়া হাঁস’।
তাঁর আশ্রয়েই বছরের পর বছর দলীয় পদ পদবীতে বহাল তবিয়তে থেকে মোহাম্মদপুরের ‘ডন’ হয়ে উঠেন ধুরন্ধর পাগলা মিজান।

আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন সরকারের গত ১০ বছরে ‘আঙ্গুল ফুলে বটগাছ’ হওয়া মিজানের ‘গডফাদার’ হিসেবে পরিচিত ওই নেতার চেহারাতেও আতঙ্ক ফুটে উঠেছে। আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর জিজ্ঞাসাবাদে মিজান ‘গোমর’ ফাঁস করে দেন কীনা এ নিয়েও চরম ভীতিতে রয়েছেন ওই নেতা।
আরও পড়ুন: ম্যানহোলের ঢাকনা চোর থেকে শত কোটি টাকার মালিক ‘পাগলা মিজান’
এদিকে, মোহাম্মদপুরের ‘ত্রাস’ হিসেবে পরিচিত ওয়ার্ড কাউন্সিলর হাবিবুর রহমান মিজান ওরফে পাগলা মিজানের গ্রেফতারের পর তাঁর অপকর্মের ‘সেকেন্ড ইন কমান্ড’ হিসেবে পরিচিত আদাবর থানা যুবলীগের আহবায়ক আরিফুর রহমান তুহিনকেও গ্রেফতারের জোর দাবি উঠেছে। মিজান গ্রেফতার হওয়ার পর থেকেই তিনি ‘লাপাত্তা’।
অভিযোগ রয়েছে, মিজানের ইয়াবা কারবারের নিয়ন্ত্রক ছিলেন এ তুহিন। রাজধানীর শ্যামলী সিনেমা হলের পেছনে গড়ে উঠা শ্যামলী ক্লাবেরও সাধারণ সম্পাদক তিনি। ওই ক্লাবে জুয়ার আসর চালিয়ে কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নেওয়ারও বিস্তর অভিযোগ রয়েছে তাঁর বিরুদ্ধে।
সূত্র জানায়, গত বছরের নভেম্বরে যুবলীগের দু’পক্ষের সংঘর্ষে গাড়ি চাপা পড়ে আদাবরে দুই কিশোর নিহত হয়। ওই ঘটনায় তুহিন ধরা পড়েন। কিন্তু অবিশ্বাস্য দ্রুত গতিতে তিনি আবার জামিনে বেরিয়ে এসে অপরাধ কর্মকান্ডের নিয়ন্ত্রণ নেন।
আরও পড়ুন: শেখ হাসিনাকে হত্যা চেষ্টাকারীর ভাই কীভাবে অবৈধ সম্পদের পাহাড় গড়েছেন?
সূত্র মতে, ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) ৩২ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর হাবিবুর রহমান মিজান ওরফে পাগলা মিজান ফ্রিডম পার্টি করার সময়ই শীর্ষ সন্ত্রাসী সুইডেন আসলাম ও পিচ্চি হেলালের সঙ্গে ‘মধুর সম্পর্ক’ গড়ে তুলেন। ওই সময় থেকেই তাদের সহায়তায় বেপরোয়া দখল ও চাঁদাবাজি শুরু করেন।

এরপর সময়ের ব্যবধানে আওয়ামী লীগের প্রভাবশালী এক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদকের ‘ডান হাত’ হয়ে উঠেন। এরপর আর পেছনে ফিরে তাকাননি।
আরও পড়ুন: পাগলা মিজান কীভাবে ‘ধনকুবের’, বেরিয়ে আসছে চাঞ্চল্যকর তথ্য
মিজানের সন্ত্রাসী বাহিনীর সদস্যরা
মোহাম্মদপুর ও লালমাটিয়া এলাকায় সন্ত্রাসের রাম রাজত্ব কায়েম করেছিলেন হাবিবুর রহমান মিজান ওরফে পাগলা মিজান। মোহাম্মদপুরের কিলার কামাল, শামীম, আজাদ, জামাল, নাসির ও জাহিদ মিজানের নিজস্ব সন্ত্রাসী বাহিনী হিসেবে কাজ করতেন। ওই এলাকায় ছিল মিজানের ‘টর্চার সেল’।
মিজানের ক্যাডার বাহিনীর কাজ ছিল ওই দুই এলাকার যে কোন প্রান্তে ত্রাসের রাজত্ব সৃষ্টি করে জমি দখল, চাঁদা আদায়, বাড়ি ও ফ্ল্যাট দখল করা। মোহাম্মদপুর, কাঁটাসুর ও বেড়িবাঁধ এলাকায় তাঁর বিরুদ্ধে সরকারি খাসজমি ও সরকারি খাল দখলেরও রয়েছে বিস্তর অভিযোগ।
জেনেভা ক্যাম্পে যতো অবৈধ কারবার মিজানের
জেনেভা ক্যাম্পে মাদক ও চোরাই গ্যাস-বিদ্যুতের ব্যবসার একচ্ছত্র নিয়ন্ত্রণ নিয়েছিলেন পাগলা মিজান। এমন বেপরোয়া চাঁদাবাজির কারণেই অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছিল ক্যাম্পবাসী। স্থানীয় বিদ্যুৎ অফিসের সঙ্গে ক্যাম্পবাসীর তিক্ততার মূলেও ছিলেন তিনিই। সপ্তাহখানেক আগে মোহাম্মদপুরের জেনেভা ক্যাম্প এলাকায় পুলিশের সঙ্গে ক্যাম্পবাসীর সংঘর্ষে নেপথ্যে ছিলেন কাউন্সিলর মিজান।
স্থানীয় জেনেভা ক্যাম্পের বাসিন্দারা কালের আলোকে অভিযোগ করে বলেন, জেনেভা ক্যাম্পের টোল মার্কেটের বিদ্যুৎ, ফুটপাত ও মাদকের সব টাকা যেত পাগলা মিজানের পকেটে। এই ক্যাম্পে মিজানের ব্যক্তিগত সহকারী (এপিএস) হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয় এসপিজিআরসির (স্ট্যান্ডার্ড পাকিস্তানিজ জেনারেল রিফিউজি কমিটির) সভাপতি আবদুল জব্বার খানের ছেলে মুর্তজা আহমেদ খানকে।

মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের তালিকাভুক্ত মাদক কারবারি মুর্তজা ও মাছুয়া সাঈদের মাধ্যমে জেনেভা ক্যাম্পের মাদক কারবারের নিয়ন্ত্রণ করতেন মিজান। আবার সিটি করপোরেশনের আওয়াতাধীন টোল মার্কেটে অবৈধভাবে বিদ্যুৎ সংযোগ দিয়ে দোকানদারদের কাছ থেকে মিজানের হয়ে টাকা তুলতেন মাছুয়া সাঈদ ও মুর্তজা।
সূত্র মতে, জেনেভা ক্যাম্পে মুর্তজা ও মাছুয়া সাঈদের মাদক সিন্ডিকেটের সদস্য হিসেবে পাপিয়া, ইশতিয়াক, নাদিম ওরফে বেজি নাদিম ওরফে পঁচিশ, পেলু আরমান, মোল্লা আরশাদ, তানভীর আদনান, আলমগীর ওরফে উল্টা সালাম, মোল্লা আনোয়ার, ঢাকাইয়া নাদিম, সীমা, নার্গিস, সয়রা, গান্নী, কালী রানী, সখিনা ও কুলসুমদের নাম জোরেশোরে উচ্চারিত হচ্ছে।
নামে-বেনামে তাঁরাও অঢেল সম্পদের মালিক হয়েছেন বলে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কাছে তথ্য রয়েছে। এ সিন্ডিকেটের বিরুদ্ধে টু শব্দ করলেই বিপদে পড়তে হতো নিরীহ ক্যাম্পবাসীকে। তাদের ফাঁসানো হতো মিথ্যা মাদক মামলায়।
হদিস নেই মিজানের শিষ্য তুহিনের
রাজধানীর মোহাম্মদপুর ও লালমাটিয়ার বাসিন্দাদের মুখে মুখে ফিরছে পাগলা মিজান বাহিনীর কুকীর্তির নানা কাহিনী। গ্রেফতার হওয়া মিজানের সঙ্গে ‘দহরম’ সম্পর্ক ছিল আদাবর থানা যুবলীগের আহ্বায়ক আরিফুর রহমান তুহিনের।
অভিযোগ রয়েছে, ওয়ার্ড কাউন্সিলর মিজানের ইয়াবা সাম্রাজ্য দেখভাল করতে তিনি। কিন্তু মিজান র্যাবের হাতে ধরা পড়ার পর তাঁর আর কোন হদিস মিলছে না।
সরকারের চলমান ক্যাসিনো বিরোধী অভিযানের পর তুহিনের ক্যাসিনো সম্পৃক্ততা ‘ওপেন সিক্রেট’ হয়ে উঠে। রাজধানীর শ্যামলী এলাকার শ্যামলী ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক এ তুহিন। খেলাধূলার পরিবর্তে তিনি সেখানে জুয়ার আসর বসিয়ে কোটি কোটি টাকা কামিয়ে নিয়েছেন।
খবর ছড়িয়ে পড়েছে, ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগের গত ১০ বছরে শুধুমাত্র টেন্ডারবাজির মাধ্যমেই ৪’শ থেকে ৫’শ কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন ‘টেন্ডার মোঘল’ মিজান। তাঁর হয়ে শ্যামলী ক্লাবকে ঘিরে রাজধানীর আগারগাঁওয়ের এলজিইডি ভবন, শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তর ঢাকা জোনের টেন্ডারবাজিতে একক আধিপত্য বিস্তার করতে থাকেন তুহিন।
একই সূত্রের অভিযোগ, ২০১৭ সালের জানুয়ারিতে ১৫টি ফার্মের শত কোটি টাকার টেন্ডারের কাগজপত্র ছিনতাই করে নিজেদের শক্ত অবস্থানের কথা জানান দেয় মিজান-তুহিন বাহিনীর ক্যাডাররা। পরবর্তীতে তাঁরা নিজেদের পছন্দের ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানকে ওই কাজ পাইয়ে দেয়।

‘খায়েশ’ পূরণ হলো না মিজানের
বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনাকে ধানমন্ডির ৩২ নম্বর বাড়িতে বোমা বিস্ফোরণ ও গুলিবর্ষণ করে হত্যার ষড়যন্ত্র চালিয়ে ব্যর্থ হওয়াদের চক্রের অন্যতম সদস্য ছিলেন ফ্রিডম পার্টির মোহম্মদপুর-ধানমন্ডি থানার সমন্বয়ক মোস্তফিজুর রহমান মোস্তফা।
এরপর তুহিন নিজেদের অভ্যন্তরীণ কোন্দলে লাশ হলে সেই হত্যা মামলায় আদালতে স্বাক্ষী দিতে গিয়ে বড় ভাই হাবিবুর রহমান মিজান ওরফে পাগলা মিজান বলেছিলেন, নিজের ভাইয়ের কান্ডকীর্তির সব খবরাখবরই রাখতেন তিনি।
কিন্তু প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে হত্যাচেষ্টার এ অন্যতম কুশীলব রাতারাতি আওয়ামী লীগে ভিড়ে যান। মোহাম্মদপুর থানা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ভাগিয়ে নেন। টার্গেট ছিল তাঁর গডফাদারের শেল্টারে মোহাম্মদপুর থানা আওয়ামী লীগের সভাপতি পদে অধিষ্ঠিত হওয়ার।
একই সঙ্গে আসন্ন কাউন্সিলে ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগের গুরুত্বপূর্ণ পদ পাওয়ারও ‘খায়েশ’ ছিল তাঁর। কিন্তু র্যাবের হাতে গ্রেফতার হয়ে সব স্বপ্ন ধুমড়ে-মুচড়ে গেছে তাঁর।
কাঁচাবাজারসহ বেশ কয়েকটি বাজারের নিয়ন্ত্রণ
রাজধানীর শ্যামলী এলাকার কাঁচাবাজারসহ বেশ কয়েকটি বাজার ছিল মিজানের নিয়ন্ত্রণে। এসব বাজারে দোকান বসানোর বিনিময়ে টাকা এবং মাসিক চাঁদা আদায় করতেন মিজানের লোকজন। বার্ষিক গরুর হাট বসানোসহ আড়ংয়ের মাঠে প্রতি সপ্তাহে গাড়ির হাট বসাতেন তিনি।
কাউন্সিলর হিসেবে নিয়মিত এলাকার ড্রেন-ফুটপাত মেরামত, মসক নিধন কার্যক্রম, পরিচ্ছন্নতা কার্যক্রম, মাঠ সংস্কারের নামে হাতিয়ে নিয়েছেন বিপুল পরিমাণ অর্থ। সরকারি যে কোন কাজের টেন্ডারও ছিল মিজানের হাতে।

কী বলা হয়েছে এজাহারে?
পাগলা মিজানের বিরুদ্ধে দায়ের করা মামলার এজাহারে বলা হয়েছে, পাগলা মিজান পেশীশক্তি প্রয়োগ করে দীর্ঘদিন ধরে বিভিন্ন প্রকার অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড পরিচালনা করে আসছে। তিনি অবৈধ অস্ত্র প্রদর্শনের মাধ্যমে ভীতি সৃষ্টি করে টেন্ডারবাজি, গরুর হাট দখল, চাঁদাবাজি করে স্বনামে বেনামে বিপুল পরিমাণ অর্থ বৈভবের মালিক হয়েছেন।
তার কাছ থেকে জব্দ করা চেকগুলো ও এফডিআরের অর্থের উৎস তিনি দেখাতে পারেননি এবং এ বিষয়ে তিনি কোনো সদুত্তর দিতে পারেননি। এর ফলে আসামি হাবিবুর রহমান মিজান মানিলন্ডারিং আইন ২০১২ (সংশোধন/২০১৫) ৮/২ ধারায় শাস্তিযোগ্য অপরাধ করেছে বলে প্রতীয়মান হয়।
৭ দিনের রিমান্ডে পাগলা মিজান
মানি লন্ডারিংয়ের মামলায় সীমান্ত এলাকা হয়ে ভারতে পালিয়ে যাওয়ার সময় আটক ঢাকার মোহাম্মদপুরের ওয়ার্ড কাউন্সিলর হাবিবুর রহমান মিজান ওরফে পাগলা মিজানের ৭ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত। শনিবার (১২ অক্টোবর) তাকে আদালতে হাজির করে ১০ দিনের রিমান্ড আবেদন করে তদন্তকারী সংস্থা সিআইডি।
শুনানি শেষে ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট নিভানা খায়ের জেসি এই রিমান্ড মঞ্জুর করেন। এর আগে সিলেটের শ্রীমঙ্গল থেকে আটক হওয়ার পর শনিবার (১২ অক্টোবর) রাজধানীর মোহাম্মদপুর থানা এবং মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গলে র্যাব বাদী হয়ে তাঁর বিরুদ্ধে পৃথক দু’টি মামলা দায়ের করে।
কালের আলো/আরইএ/এমএএএমকে