রাজমিস্ত্রির ছেলে কাউন্সিলর রাজীবের রূপকথার রাজত্ব!
প্রকাশিতঃ 9:53 pm | October 13, 2019
বিশেষ সংবাদদাতা, কালের আলো :
রাজমিস্ত্রির সন্তান থেকে এখন শতকোটি টাকার মালিক তারেকুজ্জামান রাজীব। ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের ৩৩ নম্বর ওয়ার্ডের এ কাউন্সিলর মোহাম্মদপুর এলাকায় গড়েছেন রাম রাজত্ব। মাত্র অর্ধযুগ সময়ে তাঁর বিস্ময়কর উত্থান। যেন এক রূপকথাকে হার মানানো গল্প।
আরও পড়ুন: কাউন্সিলর রাজীবের ‘দিনবদলের দখলবাজি’, দীর্ঘশ্বাসই যেন ‘নিয়তি’ সরফরাজ-ফারুকদের
ক্যাসিনো ব্যবসা, চাঁদাবাজি, দখলবাজির মাধ্যমে অর্থ আদায়সহ কী অভিযোগ নেই তাঁর বিরুদ্ধে? নানা অপকর্ম তাকে করেছে টাকার কুমির। থাকেন আলিশান ডুপ্লেক্স বাড়িতে। চড়েন বিলাসবহুল গাড়িতে। ‘সেকেন্ড হোম’ গড়েছেন বিদেশে। পাচার করেছেন অর্থ। যুবলীগের গুরুত্বপূর্ণ পদও কিনেছেন কোটি টাকায়।
মন্ত্রী বা সংসদ সদস্য না হয়েও চলেন অনেকটাই ভিআইপি প্রটোকলে। তাঁর গাড়ির আগে-পিছে থাকে শতাধিক ক্যাডারের বহর। যখন যেখানে যান ষোলআনা রাজকীয় স্টাইলে ভিআইপি কায়দায়! দামি পারফিউমের সুঘ্রান আর নিজের ক্যাডারদের হাঁকডাকে সবাই টের পেতো ‘যুবরাজ’ আসছেন। টিপ্পনি কেটে কেউ কেউ বলতেন, রাষ্ট্রের মস্ত বড় এক ভিভিআইপি!
একচ্ছত্র দাপট আর নির্দয় ব্যবহার তাঁর নামের শেষে আবার যোগ করেছিল ‘বেয়াদব’ টাইটেল। বছরের পর বছর এমন কান্ডকীর্তি করে গেলেও ‘টুঁ শব্দ’ করারও সাহস পেতেন না কেউই। টর্চার সেলে ধরে নিয়ে চালাতেন নির্যাতনও। চলমান ক্যাসিনো বিরোধী অভিযানের পর থেকেই রীতিমতো আলোচনায় উঠে এসেছে তাঁর নাম। যদিও দৃশ্যপটে তিনি উধাও।
তাঁর এ স্বেচ্ছানির্বাসনে অনেকের কাছেই জ্বলন্ত প্রশ্ন- তিনি কী আত্মগোপনে পর্দার নেপথ্যে চলে গেলেন? গ্রেফতার আতঙ্ক কী তাকে তাড়া করছে? এসব প্রশ্ন উচ্চারিত হচ্ছে জোরেশোরে। সমালোচিত এ ওয়ার্ড কাউন্সিলর একজন বীর মুক্তিযোদ্ধাকে মারপিট করে প্রথমে বিতর্কে আসেন।
ঘটনাটি প্রধানমন্ত্রী পর্যন্ত গড়িয়েছিল। পরিনামে মোহাম্মদপুর থানা যুবলীগের যুগ্ম আহবায়কের পদ থেকে বহিস্কার হয়েছিলেন। কিন্তু টাকার জোরেই প্রত্যাহার হয় সেই বহিস্কারাদেশ। বহিস্কৃত এক নেতার ‘বগলদাবা’ হয়ে পেয়ে যান প্রাইজ পোস্টিং! এখন আছেন ঢাকা মহানগর উত্তর যুবলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক পদে।
‘জোগালি’ থেকে কাউন্সিলর
রাজিবের বাবা তোতা মিয়া হাওলাদার ছিলেন রাজমিস্ত্রি। তিন সন্তান নিয়ে তিনি থাকতেন মোহাম্মদপুরে মোহাম্মদী হাউজিং সোসাইটি ও চান মিয়া হাউজিং এলাকায়। তরুণ রাজিব বাবার সঙ্গে এক সময় জোগালির কাজ করতেন। কিন্তু সামান্য আয়ে দিন চলতো না। এরপর মোহাম্মদীয়া সুপার মার্কেটে টং দোকানে কাজ নেন।
থাকতেন ৬ হাজার ভাড়ায় মোহাম্মদপুরের মোহাম্মদীয়া হাউজিং সোসাইটির একটি বাড়ির নিচতলার গ্যারেজের পাশে ছোট্ট কক্ষে। কিন্তু করিৎকর্মা রাজীবের রাতারাতি বড় হওয়ার নেশা পেয়ে বসে। ভিড়ে যান ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগের এক প্রভাবশালী যুগ্ম সাধারণ সম্পাদকের সিন্ডিকেটে। তাঁর কথামতো আওয়ামী লীগের মিছিলে লোক সরবরাহ করতেন।
এরপর ২০১৪ সালে আওয়ামী লীগের ওই নেতার প্রচ্ছন্ন ছায়ায় ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের ৩৩ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর নির্বাচিত হন।
ক্যাসিনো জুয়ার আসর চালানো, অবৈধভাবে প্লট ও জমি দখল, ফুটপাতে চাঁদাবাজি, বিভিন্ন স্থাপনা দখল করে শনৈ শনৈ উন্নতি ঘটতে থাকে তাঁর। এলাকা নিয়ন্ত্রণ ও চাঁদাবাজির জন্য তাঁর আলাদা লোক নিয়োগ দিয়েছেন। মাদক কারবার, কিশোর গ্যাং নিয়ন্ত্রণ এবং এলাকার বাড়িঘর নির্মাণে ঠিকাদারিসহ সবকিছুই যেন তাঁর বাঁ হাতের কাজ।
দখল করা জমিতে আলিশান বাড়ি
মোহাম্মদীয়া হাউজিং সোসাইটির ১ নম্বর সড়কের ৩৩ নম্বর প্লটে আলিশান ডুপ্লেক্স বাড়ি নির্মাণ করেছেন কাউন্সিলর রাজীব। ৫ কাঠা জমির ওপর নির্মিত এ বাড়ির জন্য খরচা করেছেন প্রায় ৬ কোটি টাকা। নামে-বেনামে রয়েছে একাধিক ফ্ল্যাট। এসব ফ্ল্যাটের মূল্যও কোটি কোটি টাকা।
স্থানীয় মোহাম্মদপুর এলাকার বাসিন্দাদের অভিযোগ, স্থানীয় বারী চৌধুরীর জমি দখল করে ডুপ্লেক্স বাড়ি নির্মাণ করেছেন রাজীব। পানির পাম্প বসানোর কথা বলে এ জমিটি হাতিয়ে নেন তিনি। রাজীবের অর্থবিত্তের দাপটের সামনে তটস্থ বারী চৌধুরী শুধুমাত্র চোখের পানিতে বুক ভাসিয়েছেন।
সরেজমিনে কালের আলোর এ প্রতিবেদক মোহাম্মদীয়া হাউজিং সোসাইটিতে গেলে আলাপ হয় শাহাদাত হোসেনের সঙ্গে। রাজীব বছর দুয়েক তাঁর বাড়িতেই ভাড়া ছিলেন। এখন তাঁর তিন গলির পর নিজে প্রাসাদসম বাড়ি নির্মাণ করেছেন। অজানা আতঙ্কের রেখা শাহাদাতের মুখে। কথা সংক্ষেপ করে কেবল জানালেন, ‘কতভাবেই মানুষের উন্নতি হয়। এমন ডুপ্লেক্স বাড়ি পুরো এলাকায় আর একটিও নেই।’
গাড়ি বদল করেন জামা-কাপড়ের মতো
‘গরিবের ঘোড়ারোগ’ বলে কথা! এক সময়কার রাজমিস্ত্রির ছেলে বলেই হয়তো জামা-কাপড়ের মতো গাড়ি বদল করে নিজের আভিজাত্যের কথা জানান দিতেন কাউন্সিলর রাজীব। একেকদিন একেক ব্র্যান্ডের দামি গাড়ি নিয়ে দাবড়ে বেড়াতেন।
বিএমডাব্লিউ, ক্রাউন প্রাডো, ল্যান্ডক্রুজার ভি-৮, মার্সিডিস, বিএমডাব্লিউ স্পোর্টস কারসহ সব ব্র্যান্ডের গাড়ি রয়েছে তাঁর। মাত্র ৫ বছরের ব্যবধানে তিনি কিনেছেন কমপক্ষে ১০ টি দামি ব্র্যান্ডের গাড়ি। কাউন্সিলর রাজীবের ক্যাডাররা এসব গাড়ির সামনে দাঁড়িয়ে ফেসবুকে সেলফি দিতেন।
একজন রাজমিস্ত্রির সন্তানের তড়তড়িয়ে এমন উত্থান সবার মাঝে সৃষ্টি করতো চাপা ক্ষোভ। কিন্তু কেউ মুখ খুলতেন না প্রকাশ্যে। এমনকি এখনো রাজিব আত্নগোপনের পরও প্রকাশ্যে কথা বলতে চান না কেউ। আর খুলবেনই বা কোন সাহসে? আবার না সবকিছু ঠিকঠাক করে রাজীব যদি অস্ত্রধারী ক্যাডার বাহিনী নিয়ে একই স্টাইলে সামনে চলে আসেন। সেই ভয়-আতঙ্ক এখনো মোহাম্মদপুরের বাসিন্দাদের মাঝে।
জমি-প্লট দখলে সিদ্ধহস্ত
কালের আলোর অনুসন্ধানে জানা গেছে, জমি এবং প্লট দখলে সিদ্ধহস্ত ওয়ার্ড কাউন্সিলর রাজীব। রাজধানীর মোহাম্মদপুর এলাকায় চলে তাঁর শাসন। দখল, চাঁদাবাজি, টেন্ডারবাজি ও সশস্ত্র মহড়া দেওয়াসহ বিভিন্ন ধরনের সন্ত্রাসী কর্মকান্ডের বিস্তর অভিযোগ রয়েছে তাঁর বিরুদ্ধে। এখানে তাঁর কথাই যেন আইন।
রহিম ব্যাপারী ঘাট মসজিদ এলাকায় জাকির হোসেন নামে এক ব্যক্তির ৮ কাঠার একটি প্লট দখল করেন রাজীব। পরে রাজীব বাহিনীকে চাঁদা দিয়ে সেই প্লট উদ্ধার করেন। ওই প্লটের পাশেই আব্দুল হক নামের এক ব্যক্তির ৩৫ কাঠার একটি প্লট দখল করেছেন। বানিয়েছেন যুবলীগের কার্যালয়।
একইভাবে পাবলিক টয়লেট নির্মাণের মাধ্যমে মোহাম্মদপুর বাসস্ট্যান্ডের পাশের ময়ূর ভিলার মালিক রফিক মিয়ার কয়েক কোটি টাকা দামের জমি দখল করেছেন। সেখানে এখন কয়েকটি দোকান নির্মাণ করেছেন। এ ভাড়ার টাকা যাচ্ছে রাজীবের পকেটে।
ঢাকা রিয়েল এস্টেটের ৩ নম্বর সড়কের ৫৬ নম্বর প্লট দখল করেছেন রাজীবের ক্যাডার হিসেবে পরিচিত ৩৩ নম্বর ওয়ার্ড যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক শাহ আলম জীবন। পরে তাঁরা সেই প্লটটি সোয়া কোটি টাকায় বিক্রি করেন।
মোহাম্মদপুর বাসস্ট্যান্ডের সামনে আল্লাহ করিম মসজিদ ও মার্কেটের নিয়ন্ত্রণও রাজীবের হাতে। কাউন্সিলর হওয়ার পর মসজিদ ও মার্কেট পরিচালনা কমিটির সভাপতি করেন তাঁর স্ত্রীর বড় ভাই ইকরাম হোসেনকে। অভিযোগ রয়েছে, সভাপতি হয়েই ইকরাম মসজিদ মার্কেটের আয় নানাভাবে নিজের পকেট। মার্কেটের ৩৯টি দোকান বিক্রি করে কয়েক কোটি টাকা হাতিয়ে নেওয়ার পাঁয়তারা করছেন বলেও অভিযোগ রয়েছে।
রাজীবের চাচা ইয়াসিন হাওলাদার চাঁদ উদ্যানের ৩ নম্বর রোডের রহিমা আক্তার রাহি, বাবুল ও মো. জসিমের ৩ টি প্লট দখল করেছেন। এ নিয়ে মামলা হলেও কোন কিনারা হয়নি।
৩৩ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক আইনজীবী হানিফ মিয়া গণমাধ্যমকে অভিযোগ করেন, চাঁদ উদ্যানের আড়াই কাঠার একটি প্লট তিনি বায়না করেছিলেন। কিন্তু ইয়াসিন হাওলাদার ও তাঁর ছেলে বিপ্লব হাওলাদার বাবু জমির মালিকের কাছ থেকে জোর করে রেজিস্ট্রি করে নিয়েছেন। প্রতিবাদ করায় তাঁর ওপর হামলাও করেছিলেন তাঁরা।
পরিবহনে বেপরোয়া চাঁদাবাজি; কাটাসুর বাজারের নিয়ন্ত্রণ
মোহাম্মদপুর, বেড়িবাঁধ, বসিলা এলাকার পরিবহনে চাঁদাবাজি করে প্রতিদিন লাখ লাখ টাকা চাঁদা তুলেন রাজীবের ক্যাডাররা। এসব এলাকায় চলাচল করা লেগুনা, সিএনজি চালিত অটোরিকশা ও ব্যাটারিচালিত রিকশা থেকে এসব চাঁদা তোলা হয়।
অভিযোগ রয়েছে, গত ৫ বছর যাবত এলাকার কোরবানির পশুর হাটের ইজারাও নিয়ন্ত্রণ করেন রাজীব। কাউন্সিলর হওয়ার পর পরই ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগের জ্যেষ্ঠ সহ-সভাপতি বজলুর রহমানকে সরিয়ে মোহাম্মদপুরের কাটাসুরের নামার বাজার দখলে নিয়েছেন। উন্নয়নের প্রতিশ্রুতিতে ১৫৭টি দোকানের মালিকের কাছ থেকে প্রায় ৩ কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন বলেও অভিযোগ রয়েছে। আর এ কাজে তাঁর সহচর স্থানীয় বাজার কমিটির সাধারণ সম্পাদক মিন্টু খান।
রাজীবের সেই বাড়িতেই টর্চার সেল
প্রতিদিন সন্ধ্যার পর নিয়ম করে নিজের মোহাম্মদীয়া হাউজিং সোসাইটির ১ নম্বর সড়কের ৩৩ নম্বর প্লটে আলিশান ডুপ্লেক্স বাড়ির চেম্বারে বসতেন রাজীব। মূলত এখানেই রয়েছে তাঁর টর্চার সেল। রাজীবের অপকর্মের বিরুদ্ধে কেউ প্রতিবাদ করলে এখানে নিয়ে নির্যাতন করা হতো বলেও অভিযোগ রয়েছে।
কারা ছিল রাজীবের ক্যাডার বাহিনীতে
ওয়ার্ড কাউন্সিলর রাজীবের ক্যাডার বাহিনীর ‘সেকেন্ড ইন কমান্ড’ স্থানীয় যুবলীগ নেতা শাহ আলম জীবন। রাজীবের অপরাধ সাম্রাজ্যের দেখভাল করেন তিনি। এ বাহিনীতে রয়েছে সিএনজি কামাল, আশিকুজ্জামান রনি, ফারুক ও রাজীবের স্ত্রীর বড় ভাই ইমতিহান হোসেনসহ প্রায় শতাধিক ক্যাডার।
কথিত দানবীরের অপকর্ম নিয়ে দানা বাঁধছে ক্ষোভ
রাজধানীর মোহাম্মদপুর এলাকায় রাজীবের বাড়িতে নিত্যদিন আনাগোনা ছিল প্রভাবশালীদের। এখন সেখানে বিলকুল জনশুন্য! প্রায় আধ ঘন্টা বাড়ির সামনে দাঁড়িয়ে থেকে কথা হলো এক দোকানির সঙ্গে। সাফাই গেয়ে তিনি বলেন, ‘আমাদের কাউন্সিলর তো দানবীর মানুষ। অনেকেই তাঁর কাছে সাহায্যের জন্য আসেন। তাঁর খরচের হাত ভালো।’
রাজিবের বাড়ির কাছের মসজিদ রোড এলাকায় কথা হলো এক বাসিন্দার সঙ্গে। নিজের নাম-পরিচয় গোপন রেখে তিনি বলেন, ‘নির্দয় আচরণ কাউন্সিলর রাজীবের মজ্জাগত। কত মুরুব্বীর ওপর নিজে হামলে পড়েছেন। কতো মানুষকে নির্যাতন করেছেন তাঁর ক্যাডাররা। এমন দানবীরের মুখোশ উন্মোচিত হচ্ছে। শেখ হাসিনার অ্যাকশন বলে কথা।’
জানা যায়নি রাজীবের বক্তব্য
দখলবাজি, চাঁদাবাজি, নির্যাতনসহ নানা অভিযোগের বিষয়ে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের ৩৩ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর তারেকুজ্জামান রাজীবের সঙ্গে কথা বলার চেষ্টা করে কালের আলো। তবে তাকে মুঠোফোনে পাওয়া যায়নি। ক্যাসিনো বিরোধী অভিযানের পর তাঁর ক্যাসিনো সম্পৃক্ততার বিষয়ে একাধিক গণমাধ্যম ওই সময় জানতে চাইলে তারেকুজ্জামান রাজীব নিজের বিরুদ্ধে উত্থাপিত অভিযোগ অস্বীকার করেছিলেন।
তিনি বলেছিলেন, ‘যদি কেউ এমন প্রমাণ করতে পারে তাহলে রাজনীতি ছেড়ে দেবো। আমাদের মতো সাধারণ মানুষকে যদি এমন কাজের সঙ্গে জড়িয়ে দেওয়া হয় তাহলে আসল অপরাধীরা পার পেয়ে যাবে।’
কালের আলো/এমএইচএ/এমএএএমকে