৯ বছর পর দীপু মনি!

প্রকাশিতঃ 3:19 pm | October 23, 2019

নিজস্ব প্রতিবেদক, কালের আলো:

নিজের মন্ত্রীত্বের ৯ মাসের মাথায় আরও একটি সাফল্য দেখিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী ডা.দীপু মনি এমপি। প্রশ্নফাঁস ঠেকিয়ে নিজের প্রথম চ্যালেঞ্জে উত্তীর্ণ হওয়ার পর আন্দোলনকারী শিক্ষকদেরও মন জয় করেছেন তিনি।

আরও পড়ুন: শিক্ষকদের ‘সুদিনের নির্মাতা’ প্রধানমন্ত্রী

দীর্ঘ ৯ বছর পর প্রধানমন্ত্রী ২ হাজার ৭৩০টি বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানকে এমপিওভুক্ত করার ঘোষণা দিয়ে হাসি ফুটিয়েছেন শিক্ষকদের মাঝে। আর এ ঘোষণার পেছনে শিক্ষামন্ত্রীর ভূমিকাকেও ইতিবাচক হিসেবেই দেখছেন শিক্ষকরা।

বাজেটে এমপিওভুক্তির কোন বরাদ্দ না থাকলেও শিক্ষকদের রুটিরুজির প্রশ্নে মানবিক প্রধানমন্ত্রীর কাছে প্রশ্নাতীত আন্তরিকতায় বাস্তবতা তুলে ধরে আন্দোলনকারী শিক্ষকদের দাবি পূরণে নেপথ্য অনুঘটকের ভূমিকা পালন করায় দেশের প্রথম নারী শিক্ষামন্ত্রীর প্রশংসা করেছেন এসব শিক্ষকরা।

এর আগে ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগের প্রথম মেয়াদে ১ হাজার ৬২৪ টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানকে এমপিওভুক্ত করা হয়। ওই সময় শিক্ষামন্ত্রী ছিলেন নুরুল ইসলাম নাহিদ। ৯ বছর পর শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনির হাত ধরে গতবারের চেয়ে ১ হাজার ১০৬ টি বেশি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এমপিওভুক্ত হয়েছে।

আন্দোলনকারী শিক্ষকরা জানান, শিক্ষামন্ত্রী ডা.দীপু মনি বরাবরই তাদের প্রতি আন্তরিক। জাতি গড়ার কারিগরদের প্রতি তার সম্মান ও সুনজর রয়েছে।

এমপিওভুক্তির নতুন নীতিমালা বাতিল করে পুরোনো নিয়মে স্বীকৃতি পাওয়া সব বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানকে এমপিওভুক্তির দাবিতে মঙ্গলবারও যখন আন্দোলনে ছিলেন শিক্ষক-কর্মচারীরা তখনও তাদের পাশে এসে দাঁড়িয়েছেন এ শিক্ষামন্ত্রীই।

শিক্ষকরা জানান, ওই রাতেই শিক্ষামন্ত্রীর সঙ্গে শিক্ষক নেতাদের বৈঠকের পর তাঁরা কর্মসূচি স্থগিত করেন। মন্ত্রীর বাসায় এই বৈঠক হয়। পরে তাদের পানি পান করিয়ে অনশন ভাঙান। সেই সময়ই মন্ত্রী সুসংবাদ দিয়েছিলেন। আজ সেটির বাস্তবায়ন হল।

এর আগে ঢাকার সেগুনবাগিচায় আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউটে মঙ্গলবার সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি বলেন, এখন থেকে প্রতিবছরই যোগ্য শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানকে এমপিওভুক্ত করা হবে। একই সঙ্গে সেগুলো নিয়মিত তদারক করা হবে। যদি পরে শর্ত পূরণ না করে, তাহলে এমপিও স্থগিত করা হবে।

মন্ত্রী আরও বলেছিলেন, ‘নীতিমালা অনুযায়ী মানদণ্ডের ওপর ভিত্তি করে তালিকা করা হয়েছে। প্রতিষ্ঠানগুলোর দেওয়া তথ্য ক্রস চেক করা হয়েছে। তালিকাটি প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে পাঠানোর পরও কিছু যাচাই-বাছাইয়ের জন্য আবারও পাঠানো হয়েছে।

তিনি বলেন, সব সঠিকতা যাচাই করেই এমপিওভুক্তির ফাইলে প্রধানমন্ত্রী স্বাক্ষর করেছেন। সর্বশেষ যে-সংখ্যক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এমপিওভুক্তি করা হয়েছিল, এবার সংখ্যায় তার প্রায় দ্বিগুণ। তবে একটু দেরি হলেও গত জুলাই মাস থেকেই এই এমপিওভুক্তি কার্যকর হবে।’

কালের আলো/এনএস/এমএইচএ