জাতীয় সঞ্চয়পত্র বেচাকেনা শতভাগ অনলাইনে
প্রকাশিতঃ 10:52 am | November 11, 2019

কালের আলো ডেস্ক:
চলতি ২০১৯-২০ অর্থবছরের প্রথম দিন অর্থাৎ ১ জুলাই থেকে অনলাইন পদ্ধতি চালুর পাশাপাশি নিয়মকানুন কঠোর করা হয়েছে। ফলে এখাতে বিনিয়োগের ভোগান্তি নেমেছে প্রায় শূন্যের কোঠায়। আগের চেয়ে বেশি ট্যাক্স নির্ধারণ করা সত্বেও চলতি অর্থবছরের প্রথম ৩ মাসেই ১৭ হাজার ৪২১ কোটি টাকার জাতীয় সঞ্চয়পত্র বিক্রি হয়েছে।
সঞ্চয়পত্র বিক্রির এই ধারা অব্যাহত থাকলে নির্ধারিত সময়ের আগেই অর্থবছরের নির্ধারিত লক্ষ্য পেরিয়ে যাবে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।
সঞ্চয় অধিদপ্তর মনে করেন, শতভাগ অনলাইন হয়ে যাওয়া সঞ্চয়পত্র সীমার বেশি ও বেনামে কেনা বন্ধসহ জবাবদিহিতা বেড়েছে।
চলতি অর্থবছরে সঞ্চয়পত্রের সুদের হার না কমিয়ে সরকার উৎসে কর বাড়িয়ে দ্বিগুণ করে দেয়। অর্থাৎ ৫ লাখ টাকা পর্যন্ত সঞ্চয়পত্রে বিনিয়োগের ওপর উৎসে কর ৫ শতাংশ। ৫ লাখ টাকার বেশি সঞ্চয়পত্রের জন্য ১০ শতাংশ হারে উৎসে কর কাটার বিধান করা হয়েছে।
বর্তমানে পরিবার সঞ্চয়পত্রের সুদের হার ১১ দশমিক ৫২ শতাংশ। এ ছাড়া ৫ বছর মেয়াদি বাংলাদেশ সঞ্চয়পত্রের সুদ ১১ দশমিক ২৮ শতাংশ, তিন মাস অন্তর মুনাফাভিত্তিক সঞ্চয়পত্রের সুদ ১১ দশমিক শূন্য ৪ শতাংশ এবং পেনশনার সঞ্চয়পত্রের সুদ ১১ দশমিক ৭৬ শতাংশ।
সঞ্চয় অধিদপ্তরের তথ্য বলছে, চলতি অর্থবছরের প্রথম তিন মাসে সঞ্চয়পত্র বিক্রি হয়েছে ১৭ হাজার ৪শ’ ২১ কোটি টাকার। একই সময়ে নিট বিক্রির পরিমাণ ৪ হাজার ৬শ’ ৯৮ কোটি টাকা। যার মধ্যে একটি বড় অংশ বিক্রি হয়েছে সোনালী ব্যাংকের মাধ্যমে।
জাতীয় সঞ্চয় অধিদপ্তরে মহাপরিচালক শামছুন্নাহার বেগম জানান, নামে বেনামে কেনার কোন সুযোগ নেই, যেহেতু আমরা ন্যাশনাল আইডি কার্ড ব্যবহার করছি। আগে যে অনিয়ম হতো সেগুলোর আর কোন সুযোগ নেই।
চলতি অর্থবছরের বাজেট ঘাটতিপূরণে সঞ্চয়পত্র থেকে সরকারের ২৭ হাজার কোটি টাকা সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা রয়েছে।
কালের আলো/এডিবি
নভেম্বর ১১, ২০১৯