সশস্ত্র বাহিনী দিবসে দু’হাত বাড়িয়ে দিলেন প্রধানমন্ত্রী, বিনিময় করলেন শুভেচ্ছা

প্রকাশিতঃ 7:30 pm | November 21, 2019

বিশেষ সংবাদদাতা, কালের আলো:

তিনি বিশ্বনেতা। নিজের নেতৃত্বে দৃঢ়তা, রাজনৈতিক কৌশলে দূরদর্শিতা, সিদ্ধান্তে দৃঢ়চেতা এক ব্যক্তিত্ব হিসেবে পরিচিত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। দামি ব্র্যান্ডের কাপড় পরেন না। প্রসাধনও নেহায়েত সাধারণ। বঙ্গবন্ধুর পর দেশের উন্নয়নের জন্য একমাত্র অদম্য মনোভাব তার। দুর্নীতি ও সামাজিক অপরাধের বিরুদ্ধে তাঁর মনোভাব অনমনীয়। তাঁর নেতৃত্বেই উন্নয়ন অগ্রযাত্রায় গোটা বিশ্বকে চমকে দিচ্ছে বাংলাদেশ।

প্রধানমন্ত্রীর দৃঢ়তাপূর্ণ ক্যারিশমাটিক কর্মযজ্ঞে মোহিত হন নিন্দুকেরাও। নড়েচড়ে বসতে বাধ্য হয় প্রতিপক্ষরাও। নিরাপত্তার ঘেরাটোপ তাকে জনতার কাতার থেকে বিচ্ছিন্ন করতে পারেনি কখনও। যখনই পারেন মনখুলে তাদের সঙ্গে কথা বলেন। সহাস্যে বুকে টেনে নেন পরম মমতায়।

> আবেগরুদ্ধ কন্ঠে কম্পিত গলায় উচ্চারণ প্রধানমন্ত্রীর, অশ্রুতে ছলছল সবার চোখ

সশস্ত্র বাহিনী দিবসেও সাধারণে অসাধারণ এক প্রধানমন্ত্রীর দেখাই পেলো অনুষ্ঠানস্থলে উপস্থিত বিশিষ্টজনেরা। এদিন বৃহস্পতিবার (২১ নভেম্বর) সেনাকুঞ্জে সশস্ত্র বাহিনী দিবস উপলক্ষে আয়োজিত সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে ভাষণ শেষ করেই অনুষ্ঠানস্থলে উপস্থিত বিশিষ্টজনদের সঙ্গে কুশল বিনিময়ে ব্যস্ত সময় কাটান প্রধানমন্ত্রী।

এ সময় প্রধানমন্ত্রীর নিরাপত্তা বিষয়ক উপদেষ্টা মেজর জেনারেল (অব:) তারিক আহমেদ সিদ্দিক, সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল আজিজ আহমেদ, বিমান বাহিনীর প্রধান এয়ার চীফ মার্শাল মশিহুজ্জামান সেরনিয়াবাত, নৌ বাহিনীর প্রধান রিয়ার এডমিরাল আওরঙ্গজেব চৌধুরীসহ উর্ধ্বতন সামরিক কর্মকর্তারা তাঁর সঙ্গে ছিলেন।

>সশস্ত্র বাহিনী দিবসে দুর্নীতি বিরোধী অভিযান অব্যাহত রাখার ঘোষণা প্রধানমন্ত্রীর

‘পূর্ব দিগন্তে সূর্য উঠেছে’ দেশাত্নবোধক এ গানের সুরধ্বনির সঙ্গেই লাল গালিচায় হেঁটে প্রধানমন্ত্রী দু’পাশে উপস্থিত আমন্ত্রিত অতিথিদের সঙ্গে সালাম ও কুশল বিনিময় করেন। হাঁটার ফাঁকে প্রধানমন্ত্রী সেনাপ্রধান জেনারেল আজিজ আহমেদের সঙ্গেও কথা বলেন।

আরও পড়ুন: চাল নেই লবণ নেই বলে একটি গোষ্ঠী অপপ্রচার চালাচ্ছে : প্রধানমন্ত্রী

অনুষ্ঠানস্থলে উপস্থিত সবার অভিবাদনের মুহুর্তে লাল গালিচার বাইরে থেকে এক বয়োবৃদ্ধ নারী প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে হাত মেলানোর আগ্রহ প্রকাশ করেন। প্রধানমন্ত্রী নিরাপত্তার ঘেরাটোপ পেরিয়ে তাঁর সঙ্গে কথা বলেন এবং হাত মিলিয়ে তাঁর ভালোবাসার জবাব দেন।

আরও পড়ুন: ১৯৭৫ সালের পর বাংলাদেশ খুনের রাজ্যে পরিচিত হয় : প্রধানমন্ত্রী

চ্যানেল আইয়ের এমডি ফরিদুর রেজা সাগরের সঙ্গেও কিছুক্ষণ কুশল বিনিময় করতে দেখা যায় প্রধানমন্ত্রীকে। চলনে-বলনে আবহমান বাঙালি নারীর প্রতিচ্ছবি প্রধানমন্ত্রীকে পেয়ে সবাই যেন উচ্ছ্বসিত। প্রধানমন্ত্রী সঙ্গীতপ্রেমী। নজরুলগীতি ও রবীবন্দ্র সঙ্গীতের দারুণ ভক্ত। আর এ কারণেই কীনা দূর থেকে দেখে সঙ্গীতশিল্পী রফিকুল আলম ও স্ত্রী আবিদা সুলতানাকে ডেকেও কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী।

লাল গালিচা পেরিয়ে সেনাকুঞ্জের ছাউনিতে যখন প্রধানমন্ত্রী প্রবেশ করেন তখন একসঙ্গে দাঁড়িয়ে ছিলেন তথ্যমন্ত্রী ড.হাছান মাহমুদ, পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন, কৃষিমন্ত্রী ড. আব্দুর রাজ্জাক ও সাবেক রাষ্ট্রপতি ডা: এ কিউ এম বদরুদ্দোজা চৌধুরী। প্রধানমন্ত্রী সবার সামাল গ্রহণ করে সাবেক এ রাষ্ট্রপতির সঙ্গেও কুশল বিনিময় করেন।

টিভি স্ক্রিণে দেখা যাচ্ছে, প্রধানমন্ত্রী হেঁটে যাচ্ছেন। মাইকে ‘মোরা একটি ফুলকে বাঁচাবো বলে যুদ্ধ করি’ প্রেরণাদায়ক গানের সুর। পুলিশ মহাপরিদর্শক (আইজিপি) ড.মোহাম্মদ জাবেদ পাটোয়ারী’র সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় করলেন প্রধানমন্ত্রী। একে একে শিক্ষামন্ত্রী ডা: দীপু মনি, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল, মন্ত্রীপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলামসহ আমন্ত্রিত সব অতিথিদের সঙ্গেই পর্যায়ক্রমে শুভেচ্ছা বিনিময়ে দেখা যায় প্রধানমন্ত্রীকে।

প্রধানমন্ত্রী শুভেচ্ছা বিনিময় পর্বের দাঁড়ি টানেন জাতীয় সংসদের স্পিকার ড.শিরীন শারমিন চৌধুরী ও সেনাপ্রধানের স্ত্রী দিলশাদ নাহার আজিজের সঙ্গে কথা বলে। প্রধানমন্ত্রী সেনাপ্রধানের স্ত্রীকে সহাস্যে কাছে টেনে নেন। হাত মিলিয়ে স্নেহ করেন। হয়তো তাঁরাও প্রধানমন্ত্রীকে বলছিলেন, আপনি মমতাময়ী। আপনি সাধারণে অসাধারণ।

কালের আলো/এডিবি/এমএএএমকে