ফিলিপিন্সে ঝড়ের পর ভূমিধস ও বন্যায় নিহতের সংখ্যা বেড়ে ২০০
প্রকাশিতঃ 11:23 am | December 24, 2017
অনলাইন ডেস্ক: ফিলিপিন্সের দক্ষিণাঞ্চলে ঝড়ের পর সৃষ্ট ভূমিধস ও বন্যায় নিহতের সংখ্যা বেড়ে ২০০ জনে পৌঁছেছে।
উদ্ধারকারী ভিকটিমদের সন্ধানে কাজ করছেন। উদ্ধারকারী দল এখনো মিন্দানাও দ্বীপে পৌছতে পারেনি।
ওই এলাকা জুড়ে ৮০ কিলোমিটার বেগে গ্রীষ্মমণ্ডলীয় ঝড় তেমবিন আঘাত হানার পর অনেক লোক নিখোঁজ হয়। সবেচেয়ে বেশি আঘাত হেনেছে টুবোড ও পিয়াগাপো শহরে।
ঝড়টি এখন পশ্চিম দিকে সরে যাচ্ছে। বিবিসি।
এই প্রাণহানিতে শোক জানিয়েছেন জাতিসংঘের মহাসচিব অ্যান্তোনীয় গুতেরেস। তিনি বলেন, “জাতিসংঘ সহায়তা করতে প্রস্তুত।”
মৃত্যুর সংখ্যা আরো বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
ফিলিপিন্সে ভিন্তা নামে পরিচিত ঝড় তেমবিন শুক্রবার মিন্দানাওয়ে আঘাত হানতে শুরু করে। ওই সময় লানাও দেল নর্তে ও নালাও দেল সুরসহ কিছু এলাকায় জরুরি অবস্থা ঘোষণা করা হয়।
কর্মকর্তাদের বরাত দিয়ে স্থানীয় একটি ওয়েবসাইটে লানাও দেল নোর্তে প্রদেশে ১২৭ জনের মৃত্যুর খবর দেওয়া হয়েছে; জামবোয়াঙ্গা উপত্যাকায় প্রায় ৫০ জন এবং লানাও দেল সুরে অন্তত ১৮ জন নিহত হয়েছে বলেও জানিয়েছে তারা।
টু্বোড পুলিশের কর্মকর্তা গেরি পারামি অন্য একটি সংবাদমাধ্যমকে তার শহরে অন্তত ১৯ জন নিহত হয়েছে বলে জানিয়েছেন। শহরটি লানাও দেল নোর্তের মধ্যেই অবস্থিত।
ঝড়ের পর হওয়া আকস্মিক বন্যায় দুর্গম দালামা গ্রাম ভেসে গেছে বলেও জানান তিনি।
তিনি বলেন, “নদী ফুঁসে ওঠে বেশিরভাগ বাড়িই ভাসিয়ে নিয়ে গেছে; সেখানে আর গ্রামটির অস্তিত্ব নেই।”
কাদা সরিয়ে স্বেচ্ছাসেবকরা মৃতদেহ উদ্ধারের চেষ্টা চালাচ্ছে।
টুবোডের ১০ কিলোমিটার পূর্বে অবস্থিত পিয়াগাপো শহরেও অন্তত ১০ জনের মৃত্যু হয়েছে বলে অন্য এক কর্মকর্তা নিশ্চিত করেছেন।
সিবিুকো ও সালুগো শহরেও নিহতের খবর পাওয়া গেছে।
অনেকেই নিখোঁজ থাকায় নিহতের সংখ্যা আরও বাড়বে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
বৈদ্যুতিক ও টেলিফোন এবং যোগাযোগ ব্যবস্থা বিচ্ছিন্ন হয়ে যাওয়ায় উদ্ধার কার্যক্রমে জটিলতা সৃষ্টি হচ্ছে।
প্রতি বছর ফিলিপাইনে প্রায় ২০টি ঘূর্ণিঝড় আঘাত হানে। এতে ব্যাপক ধ্বংস ও মৃত্যুর ঘটনা ঘটে। দরিদ্র লোকজনই এসব প্রাকৃতিক দুর্যোগের শিকার বেশি হন।
গত সপ্তাহে দেশটির মধ্যাঞ্চলে আঘাত হানা অপর এক ঘূর্ণিঝড়ে ৪৬ জন নিহত হয়েছিলেন।