চালের বাজারে ‘পেঁয়াজের গন্ধ’!

প্রকাশিতঃ 10:34 am | December 01, 2019

বিশেষ সংবাদদাতা:

দাম বেড়েছে সব ধরনের চালের। ক্রেতাকে বাড়তি দাম দিয়েই কিনতে হচ্ছে চাল। এদিকে দেশে ধান ও চালের মজুদ থাকার পরও দাম বাড়ার কোনো কারণ দেখছেন না সাধারণ মানুষ।

গত রোববার (২৪ নভেম্বর) ব্যবসায়ীদের এক অনুষ্ঠানে খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার বলেছিলেন, বর্তমানে দেশে চালের মওজুদ রয়েছে। আমরা চালে স্বয়ংসম্পূর্ণ। বাজারও নিয়ন্ত্রণে। এক কথায় বলতে পারি চালের দাম স্বাভাবিক রয়েছে। তবে, বাজারে পরিস্থিতি এর বিপরীত।

শুক্রবারের (৩০ নভেম্বর) বাজার দর অনুযায়ী রাজধানীর কারওয়ান বাজারের পাইকারি চালের বাজারে প্রতিবস্তা মিনিকেট চাল বিক্রি হচ্ছে ২২৫০ টাকায়, আটাশ চাল ১৭৫০ টাকা, নাজিরশাইল ২৩৫০ থেকে ৩১০০ টাকায়।

অথচ মাত্র দশদিন আগে এ বাজারে প্রতিবস্তা মিনিকেট চাল বিক্রি হয়েছিলো ২০৫০ টাকায়, আটাশ চাল ১৪৫০ টাকা, নাজিরশাইল ১৯৫০ থেকে ২৭০০ টাকায়।

অন্যদিকে, খুচরা বাজারে প্রতিকেজি মিনিকেট চাল ৫০ থেকে ৫২ টাকা, নাজিরশাইল ৫৫ থেকে ৬০ টাকা, আটাশ ৪০ টাকা, ঊনত্রিশ ৩৮ থেকে ৪০ টাকা, স্বর্ণা চাল ৩৫ থেকে ৩৬ টাকা, চিনিগুড়া ১০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।

অথচ দশদিন আগে বাজারভেদে প্রতিকেজি মিনিকেট চাল ৪৪ থেকে ৪৫ টাকা, নাজির ৫০ থেকে ৫২ টাকা, আটাশ ৩৪ টাকা থেকে ৩৫ টাকা, ঊনত্রিশ ৩২ থেকে ৩৫ টাকা, স্বর্ণা চাল ২৮ থেকে ৩০ টাকা, চিনিগুড়া ৯০ থেকে ৯২ টাকা কেজি দরে বিক্রি হয়েছিল।

ক্রেতারা বলছেন, পেঁয়াজ সিন্ডিকেটের মতোই চালের বাজারেও সিন্ডিকেট করে দাম বাড়ানো হয়েছে।

অন্যদিকে বিক্রেতারা বলছেন, দাম বাড়ানোর ক্ষেত্রে সাধারণ ব্যবসায়ীরা দায়ী না। চালকল মালিকরা চালের দাম বাড়িয়েছেন, যার প্রভাব পড়ছে বাজারে।

শান্তিনগর বাজারের এক ক্রেতা বলেন, পেঁয়াজ সিন্ডিকেটের মতোই চালের বাজারে সিন্ডিকেট কাজ করছে। এর পেছনে সরকারি কিছু মানুষ দায়ী আছে, অথচ মন্ত্রী বলেছেন বাজার নিয়ন্ত্রণে একাধিক টিম কাজ করছে। বাজার মনিটরিং নেই, চালের দামের সঙ্গে খাদ্যমন্ত্রীর কথার কোনো মিল নেই। এখনই বাজার নিয়ন্ত্রণে না আনলে পেঁয়াজের মতো পরিবেশ হবে।

দাম বাড়ার বিষয়ে বিক্রেতারা দুষছেন মিল মালিকদের। তাদের মতে, মিল মালিকরা দর বাড়িয়েছেন বলেই বাড়তি দামে চাল বিক্রি করতে হচ্ছে।

কারওয়ান বাজারের একাধিক পাইকারি চাল বিক্রেতা বলেন, চালের দাম বাড়ার কারণ আমরাও দেখি না, দেশে ধানের অভাব নেই, দাম কমার কথা। মিল মালিকরা চালের দাম বাড়িয়েছেন। সেখান থেকে আমাদের বাড়তি দামে কিনে বিক্রি করতে হচ্ছে। চালের দাম বাড়ার পেছনে বিক্রেতাদের কোনো হাত নেই।

কালের আলো/এডিবি