চট্টগ্রাম ও সাতক্ষীরায় ‘বন্দুকযুদ্ধে’ ২ জন নিহত

প্রকাশিতঃ 12:43 pm | January 03, 2020

নিজস্ব প্রতিবেদক, কালের আলো:

চট্টগ্রাম ও সাতক্ষীরায় ‘বন্দুকযুদ্ধে’ ২ জন নিহত হয়েছেন। নিহতরা হলেন চট্টগ্রামের এমদাদ ও সাতক্ষীরার জাকির হোসেন গাজী।

শুক্রবার (৩ জানুয়ারি) ভোরে চট্টগ্রামের বায়েজিদে মাঝিরঘোনা এলাকায় পুলিশের সঙ্গে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ হত্যা মামলার আসামি এমদাদ (৩৮) নিহত হয়েছেন। নিহত এমদাদ বায়েজিদের শেরশাহ কলোনির ফরিদ আহমদের ছেলে।

জানা গেছে, বায়েজিদ বোস্তামি থানা এলাকায় মঙ্গলবার রাতে পূর্ব শত্রুতার জেরে ছুরিকাঘাতে মো. রিপন নামে এক যুবককে হত্যা করা হয়। সেই হত্যা মামলার এজাহারের ৫ নম্বর আসামি ছিলেন এমদাদ।

বায়েজিদ থানার ডিউটি অফিসার এসআই মো. রুবেল গণমাধ্যমকে বন্দুকযুদ্ধের ঘটনাটি নিশ্চিত করেছেন।

পুলিশ জানিয়েছে, চট্টগ্রামের মাঝিরঘোনা এলাকায় আসামি গ্রেফতার করতে গেলে পুলিশের সঙ্গে বন্দুকযুদ্ধের ঘটনা ঘটে। পরে ঘটনাস্থল থেকে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় এমদাদকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।

অন্যদিকে, সাতক্ষীরায় পুলিশের সঙ্গে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ জাকির হোসেন গাজী (৩৮) নামের এক ব্যক্তি নিহত হয়েছেন। বৃহস্পতিবার (২ জানুয়ারি) দিনগত রাত দেড়টার দিকে সদর উপজেলার দামারপোতা গ্রামের গণঘেরের সামনে এ ঘটনা ঘটে।

নিহত জাকির হোসেন সদর উপজেলার মাটিয়াডাঙ্গা গ্রামের বাসিন্দা। পুলিশ জানায়, তাঁর বিরুদ্ধে হত্যাসহ ১৩টি মামলা রয়েছে।

পুলিশ সূত্রে জানা যায়, গত ১ জানুয়ারি থেকে সাতক্ষীরা জেলায় পুলিশের বিশেষ অভিযান চলছে। অভিযানের অংশ হিসেবে গতকাল রাতে টহল দেওয়ার সময় দামারপোতা এলাকায় অস্ত্রসহ একদল ডাকাতের অবস্থানের তথ্য জানা যায়। পুলিশের টহল দল ওই এলাকায় গেলে ডাকাতরা তাদের লক্ষ্য করে গুলি ছোড়ে। আত্মরক্ষার্থে পুলিশও পাল্টা গুলি ছোড়ে। তারপর ডাকাত দল পালিয়ে গেলে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় একজনকে পড়ে থাকতে দেখা যায়। তাঁকে উদ্ধার করে দ্রুত সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন।

সাতক্ষীরা সদর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মীর্জা সালাহউদ্দিন আহমেদ এ তথ্যের সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, প্রাথমিকভাবে জানা গেছে নিহত জাকির হোসেনের বিরুদ্ধে চারটি হত্যা, দুইটি ডাকাতি, চারটি চাঁদাবাজির অভিযোগসহ বিভিন্ন অভিযোগে ১৩টি মামলা রয়েছে। ঘটনাস্থল থেকে একটি পিস্তল ও দুইটি গুলি উদ্ধার করা হয়েছে। এ ঘটনায় পুলিশের পক্ষ থেকে মামলা করা হবে।

কালের আলো/এনআর/এডিবি