কাজে যোগদান করেছেন পাটকল শ্রমিকরা

প্রকাশিতঃ 1:19 pm | January 04, 2020

নিজস্ব প্রতিবেদক, কালের আলো:

টানা পাঁচদিন আমরণ অনশন কর্মসূচির পর ১৫ দিনের মধ্যে নতুন মজুরি কাঠামো অনুযায়ী বকেয়া বেতন-ভাতা পরিশোধ করার শর্তে শনিবার (৪ জানুয়ারি) কাজে যোগ দিয়েছেন শ্রমিকরা।

গত বৃহস্পতিবার (২ জানুয়ারি) রাতে বস্ত্র ও পাটমন্ত্রী, শ্রম ও কর্মসংস্থান প্রতিমন্ত্রীসহ সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে শ্রমিক নেতাদের বৈঠক শেষে আগামী ১৫ দিনের মধ্যে পাটকল শ্রমিকদের নতুন মজুরি কাঠামো অনুযায়ী বকেয়া বেতন-ভাতা পরিশোধ করা হবে বলে ঘোষণা দেন বস্ত্র ও পাট মন্ত্রী গোলাম দস্তগীর গাজী। এরপর অনশন কর্মসূচি প্রত্যাহারের ঘোষণা দেন শ্রমিক নেতারা।

রাষ্ট্রায়ত্ত পাটকল সিবিএ-ননসিবিএ সংগ্রাম পরিষদের যুগ্ম-আহ্বায়ক মো. মুরাদ হোসেন বলেন, ১৫ দিনের মধ্যে মজুরি কমিশনের স্লিপ প্রদান করা হবে- এমন আশ্বাসে আমরা আন্দোলন প্রত্যাহার করেছি। ১৬ জানুয়ারি মজুরি কমিশনের স্লিপ স্লিপ প্রদান করা হবে। ফলে শনিবার ভোর ৬টা থেকে শ্রমিকরা কাজে যোগ দিয়েছেন।

তিনি বলেন, দেশের উল্লেখযোগ্য সংখ্যক পাটকল খুলনায়। খুলনার সাতটি পাটকলে স্থায়ী-অস্থায়ী মিলিয়ে প্রায় ৫০ হাজার শ্রমিক রয়েছেন। যারা সবাই কাজে যোগদান করেছেন। ফলে শিল্পাঞ্চলে স্বাভাবিক অবস্থা ফিরে এসেছে।

বিজেএমসি সূত্রে জানা যায়, আমরণ অনশনের সময় খুলনাঞ্চলের রাষ্ট্রায়ত্ত ৯ পাটকলের মধ্যে যশোরের জেজেআই ও কার্পেটিং জুট মিল বাদে বাকি ৭টি পাটকলের উৎপাদন সম্পূর্ণ বন্ধ ছিল। এ পাটকলগুলোতে প্রতিদিন উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ২৭২ দশমিক ১৭ মেট্রিক টন। সেখানে চালু থাকা ওই দুটি পাটকলে উৎপাদন হয়েছে মাত্র ৮৬ দশমিক ৩৯ মেট্রিক টন। পাটকলগুলোতে প্রতিদিনের উৎপাদিত পণ্যের বাজার মূল্য প্রায় এক কোটি টাকা। সে হিসেবে শ্রমিকদের পাঁচদিনের অনশনে পাঁচ কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে।

কালের আলো/এসএস/এডিবি