‘সাম্মানিক ডি-লিট’ পাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা
প্রকাশিতঃ 8:08 pm | May 05, 2018
কালের আলো ডেস্ক:
ভারতের পশ্চিমবঙ্গের পশ্চিম বর্ধমানের আসানসোল শহরে কাজী নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়ের ‘সাম্মানিক ডি-লিট’ পাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
এই বিশ্ববিদ্যালয়ে এটি তৃতীয় সমাবর্তন উৎসব। গত বছর বাংলা একাডেমির সভাপতি ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইমেরিটাস অধ্যাপক ড. আনিসুজ্জামানকে নজরুল বিশ্ববিদ্যালয় এই উপাধি দেয়।
আগামী ২৬ মে কবি নজরুলের জন্মদিনে বিশেষ সমাবর্তন উৎসবে বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে শেখ হাসিনার হাতে তুলে দেয়া হবে এই সম্মাননা।
এ ছাড়া বলিউড তারকা শর্মিলা ঠাকুর ও ভারতের ভাবা পরমাণু গবেষণা কেন্দ্রের বিশিষ্ট বিজ্ঞানী এস এম ইউসুফের হাতেও তুলে দেয়া হবে সাম্মানিক ডি-লিট।
কাজী নজরুল বিশ্ববিদ্যালয় সূত্র জানিয়েছে, ২৬ মে বেলা সাড়ে ১১টায় শুরু হবে এই সমাবর্তন উৎসব। প্রথম পর্বে থাকবে বিশেষ সমাবর্তন। এই অনুষ্ঠানেই শেখ হাসিনাসহ তিন গুণীর হাতে তুলে দেয়া হবে সাম্মানিক ডি-লিট। মূল সমাবর্তন উৎসবে বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০ জন স্বর্ণপদকপ্রাপ্ত কৃতী ছাত্রছাত্রীকে বিশেষ সংবর্ধনা দেয়া হবে। এরপর ৪৫০ জন ছাত্রছাত্রীর হাতেও তুলে দেয়া হবে ডিগ্রি সনদ।
উপাচার্য সাধন চক্রবর্তী জানিয়েছেন, ভারতীয় সিনেমায় বিশেষ অবদানের জন্য শর্মিলা ঠাকুরকে এবং বিশিষ্ট বিজ্ঞানী এস এম ইউসুফকে দেয়া হচ্ছে এই সম্মাননা।
২৫ মে শেখ হাসিনা বীরভূম জেলার শান্তিনিকেতনে যাবেন। সেখানে তিনি বিশ্বভারতী চত্বরে নির্মিত বাংলাদেশ ভবনের উদ্বোধন করবেন। ২৫ কোটি রুপি ব্যয়ে এই ভবন নির্মাণ করেছে বাংলাদেশ সরকার।
বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর এই সফরের আগে দেশটির সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়ের একটি প্রতিনিধিদল শান্তিনিকেতনে আসবে।
বাংলাদেশ ভবনের নির্মাণকাজের অগ্রগতি দেখতে গত ১৭-১৮ এপ্রিল শান্তিনিকেতনে এসেছিলেন বাংলাদেশের সংস্কৃতিমন্ত্রী আসাদুজ্জামান নূর। তিনি ১৮ এপ্রিল বিশ্বভারতীর উপাচার্যের সঙ্গে একটি বৈঠকও করেছিলেন। সেই বৈঠকে যোগ দিয়েছিল ঢাকা থেকে আগত বাংলাদেশের ১২ সদস্যের একটি প্রতিনিধিদল।
২০১১ সালের সেপ্টেম্বর মাসে ভারতের তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিংয়ের বাংলাদেশ সফরকালে শান্তিনিকেতনে বাংলাদেশ ভবন নির্মাণের প্রস্তাব গৃহীত হয়। বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধসংক্রান্ত নানা ঐতিহাসিক তথ্য, গ্রন্থাগার, মিলনায়তন, বাংলাদেশ সম্পর্কে গবেষণার নানা তথ্য, চিত্রশালাসহ বাংলাদেশের ইতিহাস ও ঐতিহ্যের নানা স্মারক। থাকবে রবীন্দ্রনাথের বাংলাদেশ অবস্থানের নানা তথ্য, ইতিহাস, স্মারক ও চিত্রাবলি থাকছে বাংলাদেশ ভবনে।
কালের আলো/এসকে/ওএইচ