‘অপারেশন বিজয় গৌরব’;শত্রুপক্ষ দমনে সশস্ত্র বাহিনীর সক্ষমতায় মুগ্ধ প্রধানমন্ত্রী

প্রকাশিতঃ 11:34 pm | January 23, 2020

এম.আব্দুল্লাহ আল মামুন খান, অ্যাকটিং এডিটর, কালের আলো, স্বর্ণদ্বীপ (নোয়াখালী) ঘুরে এসে :

ট্যাংকের মাধ্যমে ভূমি থেকে ভূমিতে ভয়ঙ্কর আক্রমণ। শত্রুপক্ষের হাত থেকে স্বর্ণদ্বীপকে দখলমুক্ত করতে সরকারের নির্দেশে পরিকল্পিত আক্রমণ পরিচালনা করছে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী। সহযোগিতা করছে নৌ ও বিমানবাহিনী। শত্রুদের দখলকৃত এলাকা রেকি করে সহায়তা করছে আর্মি এভিয়েশন গ্রুপ।

আরও পড়ুন: স্বর্ণদ্বীপে সামরিক প্রশিক্ষণে বন্ধুপ্রতীম দেশের সশস্ত্র বাহিনীকে অন্তর্ভূক্তির প্রত্যাশা সেনাপ্রধানের

পর্যবেক্ষণের পর আচমকা শত্রু এলাকায় হানা দিয়েছে প্যারাট্রুপরা। সমানতালে চলছে আর্টিলারি কামান ও স্বয়ংক্রিয় গ্রেনেড লাঞ্চার হামলা। চারিদিকে আগুনের লেলিহান শিখা। গোলাগুলির প্রচন্ড শব্দে কেঁপে উঠেছে সিঙ্গাপুরের অর্ধেকেরও বেশি আয়তনের সুবিশাল স্বর্ণদ্বীপ।

প্রতিপক্ষের অস্ত্রের অবস্থান নির্দেশক রাডার ও ট্যাংক বিধ্বংসী অস্ত্রের ব্যবহারও চলছে। প্রায় এক ঘন্টার যুদ্ধে অবশেষে অর্জিত হয়েছে চূড়ান্ত বিজয়। বাস্তবক্ষেত্রে এমন যুদ্ধের জন্য ৮ থেকে ১০ ঘন্টা সময় লাগলেও সময় স্বল্পতায় টেলিস্কোপি করে দীর্ঘ সময়কে মাত্র এক ঘন্টায় দেখানো হয়েছে। দেখার সুবিধার্থে দৃষ্টির সীমানায় অনুষ্ঠিত হয়েছে এই মহড়া।

প্রায় এক ঘন্টার যুদ্ধে অবশেষে অর্জিত হয়েছে চূড়ান্ত বিজয়। বাংলাদেশের সশস্ত্র বাহিনীর সম্মিলিত প্রয়াস হার মানিয়েছে শত্রুদের। এখানে প্রশিক্ষণে অংশগ্রহণ করেছে ৫৮ জন অফিসারসহ ১৪০০ সেনা সদস্য।

ট্যাংকের সাপোর্ট নিয়ে আর্টিলারি ফায়ারের ছত্রছায়ায় ম্যাকানাইজড ইনফ্রেন্টির পরিচালিত এই আক্রমণের শুরুর দিকে এয়ার ফোর্সের ফাইটার এয়ার ক্রাফট ও নেভেল গানশিপ প্রদান করেছে ফায়ার সহায়তা।

২২২ পদাতিক ব্রিগেডের ব্রিগেড কমান্ডার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মাহাবুবুর রহমান সিদ্দিকী শত্রুদের বিরুদ্ধে সশস্ত্র বাহিনীর বিজয় অর্জনের বিষয়টি ওয়াকিটকিতে জানালেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে। অপারেশন বিজয় গৌরবের সুসংবাদ পেয়ে ওয়্যারলেস সেট হাতে যুক্ত হলেন প্রধানমন্ত্রী।

‘আমি আপনাকে এবং আপনার ব্রিগেড গ্রুপকে এই বিজয়ের জন্য আন্তরিক অভিনন্দন জানাচ্ছি’ বঙ্গকন্যার মুখে এমন উচ্চারণের পরই তুমুল করতালি। কল্পিত শত্রুপক্ষকে নিজেদের রণকৌশলের সক্ষমতায় পর্যদুস্ত করে বিজয়ের হাসি সবার মুখে।

আর হবেই বা না কেন? মাত্র এক ঘন্টার যুদ্ধে শত্রুপক্ষের বহু সদস্যকে খতম করার পাশাপাশি ধ্বংস করে দিয়েছে তাদের ট্যাংক ও বাংকার। ফলে কাঙ্খিত এই বিজয়োল্লাসে যেন নতুন করে আত্নপ্রকাশ করেছে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর নেতৃত্বে বিমান ও নৌবাহিনীর সহযোগিতায় সশস্ত্র বাহিনীর সক্ষমতাকে।

বৃহস্পতিবার (২৩ জানুয়ারি) সকাল সাড়ে ১১ টার দিকে স্বর্ণদ্বীপে পরিচালিত এমন মহড়া দর্শক সারিতে বসে উপভোগ করে রীতিমতো মুগ্ধ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। শৌর্য ও বীরত্ব প্রদর্শনের ঐতিহাসিক এই মুহুর্তটিতে হাস্যোজ্জ্বল ছিলেন প্রধানমন্ত্রীর পাশেই বসা বাংলাদেশ সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল আজিজ আহমদও।

‘আমি মনে করি আপনারা অনেক দক্ষতা ও ক্ষিপ্রতার সঙ্গে এই বিজয় অর্জন করেছেন। যে কোন যুদ্ধে তিন বাহিনীর সম্মিলিত প্রয়াসের প্রয়োজন পড়ে এবং সঠিক রণকৌশলের কারণেই এই বিজয় অর্জিত হয়েছে। বাংলাদেশ এগিয়ে যাবে।

মুজিববর্ষে এই প্রশিক্ষণ মহড়া দেখতে পেয়ে আমি খুবই আনন্দিত। এই বিজয়ের যাত্রা অব্যাহত থাকুক। বাংলাদেশ বিশ্বে মর্যাদার সঙ্গে এগিয়ে চলুক’ বেতার বার্তায় বলছিলেন দেশের হ্যাট্টিক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

শত্রুর হাত থেকে প্রিয় মাতৃভূমি রক্ষার লড়াই বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর প্রশিক্ষণের একটি গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায়। এমন বাস্তবমুখী প্রশিক্ষণে দক্ষ সৈনিকে পরিণত করেছে প্রতিটি সেনা সদস্যকে। আর এই বৃহৎ প্রশিক্ষণের জন্য বিশাল ও উন্মুক্ত জায়গার জন্য দীর্ঘ সময় অপেক্ষা করতে হয়েছে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীকে।

সশস্ত্র বাহিনীর সক্ষমতার কারিগর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ২০১৩ সালে ৩৬০ বর্গকিলোমিটারের নোয়াখালীর জাহাইজ্জ্যার চর সেনাবাহিনীকে বরাদ্দ প্রদান করেন। ইতোমধ্যেই এখান থেকে ২৫ হাজার সৈনিক প্রশিক্ষণ নিয়েছেন।

আন্তর্জাতিক মানের প্রশিক্ষণ এলাকা হিসেবে গড়ে উঠার দ্বারপ্রান্তে থাকা এই স্বর্ণদ্বীপকে একটি পূর্ণাঙ্গ রণকৌশলগত প্রশিক্ষণাগার হিসেবে তৈরিতে প্রধানমন্ত্রীর সার্বক্ষণিক নির্দেশনায় কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন বাংলাদেশ সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল আজিজ আহমেদ।

সংশ্লিষ্ট দায়িত্বশীল সূত্র জানায়, স্বর্ণদ্বীপে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর নানামুখী প্রশিক্ষণে ব্যবহার হচ্ছে বিভিন্ন ধরনের আধুনিক ট্যাংক, এপিসিএস, মিগ ফাইটার প্লেন এবং তিন সশস্ত্র বাহিনীর এমআই হেলিকপ্টার। এতে উন্নত ও অত্যাধুনিক অস্ত্র প্রশিক্ষণে নিজেদের সমৃদ্ধ করছে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী।

কল্পিত শত্রুর মোকাবেলায় এই অভূতপূর্ব মহড়াটি বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ৩৩ পদাতিক ডিভিশনের সার্বিক তত্ত্বাবধানে ৬৬ পদাতিক ডিভিশন আয়োজন করে। এর আগে প্রধানমন্ত্রী স্বর্ণদ্বীপে এসে পৌঁছালে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল আজিজ আহমেদ, ৬৬ পদাতিক ডিভিশনের জিওসি মেজর জেনারেল নজরুল ইসলাম এবং ৩৩ পদাতিক ডিভিশনের জিওসি মেজর জেনারেল আহমেদ তাবরেজ শামস চৌধুরী তাকে স্বাগত জানান।

পরে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর কোয়ার্টার মাস্টার জেনারেল (কিউএমজি) লেফটেনান্ট জেনারেল মো. শামসুল হক এবং প্রকৌশল বিভাগের প্রধান মেজর জেনারেল ইবনে ফজল শায়েখুজ্জামান দ্বীপের উন্নয়ন সম্পর্কে প্রধানমন্ত্রীকে অবহিত করেন।

প্রধানমন্ত্রী স্বর্ণদ্বীপে সেনাবাহিনীর সদস্যদের মাধ্যমে নির্মিত ও বাস্তবায়িত তিনটি বহুমুখী সাইক্লোন শেল্টার, পরিকল্পিত বনায়ন প্রকল্প এবং এক মেগাওয়াট সৌরবিদ্যুৎ প্রকল্পেরও উদ্বোধন করেন।

‘তুমি তো সবই বলে ফেলেছো’
‘অপারেশন বিজয় গৌরব’র সফল মহড়া উপভোগের পর দুপুরে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্যের ঠিক আগে অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য উপস্থাপন করেন সেনাপ্রধান জেনারেল আজিজ আহমেদ।

প্রায় ১০ মিনিটের বক্তব্যে স্বর্ণদ্বীপকে ঘিরে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর বিশাল কর্মযজ্ঞ থেকে শুরু করে সেনাবাহিনীর আধুনিকায়নে প্রধানমন্ত্রীর কার্যকর যুগান্তকারী উদ্যোগ, বাঙালির স্বপ্নপুরুষ বঙ্গবন্ধুর গৃহীত প্রতিরক্ষা নীতি এবং আধুনিক অস্ত্র-সরঞ্জামে সেনাবাহিনীর সক্ষমতা-সবকিছুর অনুপুঙ্খ বিশ্লেষণ তুলে ধরেন সেনাপ্রধান।

নিজের বক্তব্য শেষ করে প্রধানমন্ত্রীকে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখার অনুরোধ জানিয়ে অনুষ্ঠানে মঞ্চে তাঁর ডান পাশের চেয়ারে বসার সময়েই প্রধানমন্ত্রী সেনাপ্রধানকে উদ্দেশ্য করে বলেন, ‘তুমি তো সবই বলে ফেলেছো’ বলেই হাসি প্রধানমন্ত্রীর মুখায়বে। এ সময় হাসেন সেনাপ্রধানও। মঞ্চে ও দর্শক সারিতে উপস্থিত প্রায় সবাইও মুচকি হেসেছেন।

প্রধানমন্ত্রী নিজের বক্তব্যে আধুনিক সশস্ত্রবাহিনী গড়ে তুলতে সেনা, বিমান ও নৌবাহিনীকে একযোগে উন্নত করা হবে বলে জানিয়ে বলেন, ‘অন্য দেশের তুলনায় বাংলাদেশ সেনাবাহিনী যেন কিছুতেই পিছিয়ে না থাকে সেটাই আমাদের লক্ষ্য। কারো দ্বারস্থ না হয়ে বাংলাদেশকে নিজের পায়ে দাঁড় করানোই সরকারের অন্যতম প্রধান লক্ষ্য।’

স্বর্ণদ্বীপের প্রশিক্ষণ এলাকার সুপরিকল্পিত ব্যবহার দেখে সন্তোষ প্রকাশ করে তিনি বলেন, ‘বিশ্বের সাথে তাল মিলিয়ে চলার মতো জ্ঞানসম্পন্ন সেনাবাহিনী গড়ে তোলা হবে। স্বর্ণদ্বীপের প্রশিক্ষণ সুবিধা সেনাবাহিনীর দক্ষতা বৃদ্ধিতে তাৎপর্য ভূমিকা রাখবে।’

সশস্ত্র বাহিনীকেও আধুনিক প্রযুক্তিজ্ঞান সম্পন্ন হিসেবে আমরা গড়ে তোলার ব্যবস্থা নিচ্ছি উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘সবচেয়ে বড় কথা যেকোন ফোর্সের জন্য প্রশিক্ষণ একান্তভাবে অপরিহার্য। আমরা চাই বাংলাদেশ আরও এগিয়ে যাক। আজকে আমরা অর্থনৈতিকভাবে যথেষ্ট স্বাবলম্বিতা অর্জন করেছি। আমাদের বাজেট আমরা প্রায় ৭ গুণ বৃদ্ধি করেছি। আমাদের উন্নয়ন প্রকল্পের ৯০ ভাগ নিজস্ব অর্থায়নে করি। কারও কাছে আমাদের হাত পাততে হয়না।’

সশস্ত্র বাহিনীর প্রতিটি সদস্যকে জাতির পিতার মর্মকথা মেনে দায়িত্ব পালনের আহ্বান জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বাংলাদেশ মিলিটারী একাডেমীর প্রথম সমাপনী কুচকাওয়াজ প্রদত্ত ভাষণে বলেছিলেন, ‘রক্ত দিয়ে স্বাধীনতা এনেছি, এই স্বাধীনতা নিশ্চয় ইনশাআল্লাহ থাকবে, কেউ ধ্বংস করতে পারবেনা । তবে স্বাধীনতা বৃথা হয়ে যাবে যদি বাংলার দুঃখী মানুষের মুখে হাসি ফুটাতে না পারো। সেই জন্য তোমাদের কাছে আবেদন রইল সৎপথে থেকো।’

দেশের উন্নয়ন, অগ্রযাত্রা ও গণতান্ত্রিক ধারা অব্যাহত রাখতে জনগণের পাশে থেকে দেশপ্রেমিক সেনাবাহিনীকে সর্বোচ্চ দায়িত্ববোধ ও শৃঙ্খলাবদ্ধ কর্মপ্রচেষ্টার মাধ্যমে অবদান রাখতে হবে, বলেন প্রধানমন্ত্রী। সরকার প্রধানের ভাষ্য-‘সেনা, নৌ ও বিমান বাহিনীর সমন্বিত অংশগ্রহণে অনুষ্ঠিত আজকের মহড়া দেখে, আপনাদের প্রতি আমার আস্থা আরও সুদৃঢ় হয়েছে।

তাই, আমাদের সুশৃঙ্খল ও পেশাদার সশস্ত্র বাহিনীর সদস্যদের দেশমাতৃকার স্বাধীনতা সার্বভৌমত্ব রক্ষায় সর্বোচ্চ ত্যাগের জন্য প্রস্তুত থাকতে হবে। আমি বিশ্বাস করি, সর্বাবস্থায় চেইন অব কমান্ড মেনে ও সংবিধানের প্রতি দায়বদ্ধ থেকে দেশ গঠনে সশস্ত্র বাহিনী কাজ করে যাবে।’

মুজিববর্ষে দারিদ্র্য আরো কমিয়ে আনার প্রত্যয়
মুজিববর্ষে দেশের দারিদ্রের হার ২০ দশমিক ৫ শতাংশে নামিয়ে আনা এবং জাতির পিতার জন্মশতবার্ষিকী উদযাপন উপলক্ষ্যে বছরব্যাপী ‘মুজিব বর্ষ’ উদযাপনের সময়ে দারিদ্র আরো কমিয়ে আনার প্রত্যয় পুনর্ব্যক্ত করেন প্রধানমন্ত্রী।

তিনি বলেন, ‘আমরা মুজিববর্ষ উদযাপন করছি, সেই অনুষ্ঠান চলাকালে আরো দেড় থেকে দু’ভাগ এবং পরে আরো অন্তত তিনভাগ দারিদ্র যদি কমিয়ে আনতে পারি তাহলেই দেশকে আমরা দারিদ্র মুক্ত করতে পারবো।’

সরকারের দারিদ্র বিমোচন কর্মসূচিতে সেনা সদস্যদের অবদান তুলে ধরে শেখ হাসিনা বলেন, দেশের সকলকে অন্তত একটি ঘর তুলে দেওয়ার লক্ষ্যে সরকারের ‘আশ্রায়ন প্রকল্প’ও শুরু হয় সেনা সদস্যদের সহায়তায়।

অনুষ্ঠানে নোয়াখালী-৩ আসনের সংসদ সদস্য মামুনুর রশিদ কিরণ, নোয়াখালী-৬ আসনের সংসদ সদস্য বেগম আয়েশা ফেরদাউস, সংরক্ষিত আসনের সংসদ সদস্য নাহিদ এজাহার খান ও ফরিদা খানম সাকী, প্রতিরক্ষা সচিব আব্দুল্লাহ আল মোহসিন চৌধুরী, সাবেক সেনাবাহিনী প্রধান আবু বেলাল মোহাম্মদ শফিউল হক, নৌবাহিনী প্রধান এডমিরাল আওরঙ্গজেব চৌধুরী, বিমান বাহিনীর প্রধান এয়ার চিফ মার্শাল মাসিহুজ্জামান সেরনিয়াবাত, সেনাবাহিনীর প্রিন্সিপাল স্টাফ অফিসার (পিএসও) লেফটেন্যান্ট জেনারেল মো: মাহফুজুর রহমান, আর্মি ট্রেনিং অ্যান্ড ডকট্রিন কমান্ডের (আর্টডক) জেনারেল অফিসার কমান্ডিং (জিওসি) লেফটেন্যান্ট জেনারেল এস.এম.শফিউদ্দিন আহমেদ, কোয়ার্টার মাস্টার জেনারেল (কিউএমজি) লেফটেন্যান্ট জেনারেল শামসুল হক প্রমুখ।

কালের আলো/এমএএএমকে