উত্তরে আতিকুল ৫০.৭%, তাবিথ ১৭.৪%; দক্ষিণে তাপস ৫৪.৩%, ইশরাক ১৮.৭%
প্রকাশিতঃ 12:53 am | January 31, 2020
নিজস্ব প্রতিবেদক, কালের আলো:
ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনের বাকি আর মাত্র এক দিন। ইতোমধ্যেই বৃহস্পতিবার(৩০ জানুয়ারি) মধ্যরাত থেকে শেষ হয়েছে নির্বাচনী প্রচার-প্রচারণা।
আরও পড়ুনঃ দুই সিটিতে যেসব কারণে জিতবেন আতিকুল-তাপস!
ভোটের ফল কী হবে এ নিয়ে ভাবনায় রয়েছেন ভোটাররা। টেনশন ভর করেছে হেভিওয়েট চার মেয়র প্রার্থীর মাঝেও। তবে এমন সময়ই নৌকার বিজয় কেতন উড়ার পূর্বাভাস মিলেছে প্রধানমন্ত্রীর তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তিবিষয়ক উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয়ের একটি জরিপে।
সেই জরিপে উত্তরে মেয়র পদে বিশাল ব্যবধানে এগিয়ে রয়েছেন আওয়ামী লীগের আতিকুল ইসলাম। জরিপে ৫০.৭% ভোটার তার পক্ষে রায় দিয়েছেন। বিপরীতে বিএনপির প্রার্থী তাবিথ আউয়ালের পক্ষে গেছে মাত্র ১৭.৪ শতাংশ ভোটার।
প্রায় অভিন্ন চিত্র ঢাকার দক্ষিণেও। এখানে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী শেখ ফজলে নূর তাপসকে সমর্থন জানিয়েছেন ৫৪.৩% ভোটার। বিপরীতে তার নিকটতম প্রতিদ্বন্ধী বিএনপির প্রার্থী ইশরাক হোসেন পেয়েছেন ১৮.৭ শতাংশ ভোটারের সমর্থন।
বৃহস্পতিবার(৩০ জানুয়ারি) রাতে নিজের ভেরিফাইড ফেসবুক পেজে একটি পোস্ট দিয়ে জরিপটি প্রকাশ করেছেন বঙ্গবন্ধুর দৌহিত্র ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পুত্র সজীব ওয়াজেদ জয়।
দৃঢ়তার সঙ্গে তিনি বলেছেন, ‘এই নির্বাচনে আওয়ামী লীগ প্রার্থীদের বিজয় শুধু নিশ্চিতই নয়, ব্যাপক ব্যবধানে জয়ও নিশ্চিত।’
কালের আলো’র পাঠকদের জন্য জয়ের জরিপসহ ফেসবুক পোস্টটি হুবুহু তুলে ধরা হলো-
‘ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ এর মেয়র নির্বাচন নিয়ে আমরা সাম্প্রতিক সময়ে একটি জনমত জরিপ করিয়েছিলাম। উত্তরের ভোটারদের মধ্যে জরিপে অংশ নেন ১৩০১ জন ও দক্ষিণে অংশ নেন ১২৪৫ ভোটার। ভোটার লিস্ট থেকে রেন্ডম স্যাম্পলিং এর মাধ্যমে তাদের বাছাই করা হয়। জরিপটি করা হয় সামনাসামনি, অর্থাৎ অনলাইনের মাধ্যমে নয়। মক ব্যালট এর মাধ্যমে এই জরিপটি করার কারণে আমরা বা জরিপকারী কারোরই জানার সুযোগ থাকে না কে কাকে ভোট দিলো। জরিপ করার সবচেয়ে নির্ভরযোগ্য ও নির্ভুল পদ্ধতি এটি। নির্ভয়ে, নির্দ্বিধায় মানুষ জরিপে অংশগ্রহণ করতে পারে। তারপরেও যারা কোনো অপশনই বেছে নেয় না তাদের ভোট দেয়ার সম্ভাবনাই কম কারণ সাধারণত কোনো নির্বাচনেই ১০০% ভোট পরে না। এই জরিপের ফলাফল ভুল হওয়ার সম্ভাবনা +-৩%।
জরিপটি করা হয় যখন দলগুলো তাদের প্রার্থীদের নাম ঘোষণা করে। তাই জরিপের সাথে আসল ফলাফলের কিছুটা পার্থক্য হতেই পারে। তারপরেও সেই পার্থক্য ৫-১০% এর বেশি হওয়ার সম্ভাবনা একেবারেই কম। কারণ মাত্র এক মাসের ব্যবধানে ১০% এর বেশি ভোট কোনো দলের পক্ষেই পরিবর্তন করে নিজেদের পক্ষে নিয়ে আসা কঠিন। তাই এই নির্বাচনে আওয়ামী লীগ প্রার্থীদের বিজয় শুধু নিশ্চিতই নয়, ব্যাপক ব্যবধানে জয়ও নিশ্চিত।’
কালের আলো/এনআর/এমএনএল