জাতীয় দৈনিকের ভেতরে ৪৮টির প্রচার সংখ্যা লাখের বেশি : তথ্যমন্ত্রী

প্রকাশিতঃ 10:09 pm | February 04, 2020

নিজস্ব প্রতিবেদক, কালের আলো:

দেশে ২১৮টি বাংলা জাতীয় দৈনিকের ভেতরে ৪৮টির প্রচার সংখ্যা লাখের বেশি বলে সংসদে তথ্য দিয়েছেন তথ্যমন্ত্রী হাছান মাহমুদ। এর মধ্যে আটটির প্রচার সংখ্যা দুই লাখের বেশি। এগুলো হল- যুগান্তর, প্রথম আলো, বাংলাদেশ প্রতিদিন, কালের কণ্ঠ, ইত্তেফাক, আমাদের সময়, জনকণ্ঠ, সমকাল ও সংবাদ।

মঙ্গলবার(০৪ ফেব্রুয়ারি) জাতীয় সংসদ অধিবেশনে প্রশ্নোত্তর পর্বে এ তথ্য জানান মন্ত্রী। স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে অধিবেশনে এসংক্রান্ত প্রশ্নটি উত্থাপন করেন সরকারদলীয় সদস্য বেনজীর আহমদ।

লিখিত জবাবে তথ্যমন্ত্রী আরো জানান, বর্তমানে দেশে প্রচলিত দৈনিক পত্রিকার সংখ্যা এক হাজার ২৭৭টি। এরমধ্যে জাতীয় বাংলা দৈনিক ২১৮টি, আঞ্চলিক বাংলা দৈনিক ২৯৩টি এবং ইংরেজি দৈনিক পত্রিকার সংখ্যা ৪০টি।

ভোরের কাগজ, আমাদের নতুন সময়, মানবকণ্ঠ, প্রতিদিনের সংবাদ, ইনকিলাব, বাংলাদেশের খবর, আমার সংবাদ, আমাদের অর্থনীতি, মানব জমিন, ভোরের ডাক, আমার বার্তা, আলোকিত বাংলাদেশ, ভোরের পাতা, নবচেতনা, ঢাকা প্রতিদিন, বর্তমান, মুক্ত খবর, আজকালের খবর, আজকের বিজনেস বাংলাদেশ, বণিক বার্তা, জনতা, খোলাকাগজ, গণকণ্ঠ, জনবাণী, সকালের সময়, হাজারিকা প্রতিদিন, স্বাধীন বাংলা, সংবাদ প্রতিদিন, ভোরের দর্পণ, সময়ের আলো, যায়যায়দিন, আমার সময়, লাখোকণ্ঠ, গণমুক্তি, বাংলাদেশের আলো, শেয়ার বিজ কড়চা, খবর ও সমাজ সংবাদ লাখের ওপরে প্রচার সংখ্যা দেখিয়েছে ডিএফপিতে।

আঞ্চলিক দৈনিকের মধ্যে প্রচার সংখ্যায় শীর্ষে রয়েছে বরিশালের আজকের বার্তা (৮০ হাজার ৫০টি)। এছাড়া ৫০ হাজারের বেশি প্রচার সংখ্যার আঞ্চলিক পত্রিকার মধ্যে আছে বগুড়ার করতোয়া, চট্টগ্রামের পূর্বকোণ ও আজাদী, বগুড়ার চাঁদনীবাজার এবং বরিশালের আজকের পরিবর্তন।

প্রচার সংখ্যায় শীর্ষ ১০-এ থাকা ইংরেজি দৈনিকের মধ্যে রয়েছে ডেইলি স্টার (৪৪ হাজার ৮১৪), ফাইনানশিয়াল এক্সপ্রেস (৪১ হাজার), ঢাকা ট্রিবিউন (৪০ হাজার ৬০০), ইনডিপেনডেন্ট, অবজারভার, বাংলাদেশ পোস্ট (তিনটিরই ৪০ হাজার ৫৫০), এশিয়ান এজ ও ডেইলি ট্রাইব্যুনাল (৪০ হাজার ৫০০) এবং বাংলাদেশ টুডে (৪০ হাজার ১০)।

সংবাদপত্র মালিকরা সরকারি বিভিন্ন সুবিধা চাওয়ার সময় প্রচার সংখ্যা কমার কথা বললেও ডিএফপিতে দেওয়া তাদের তথ্যের সঙ্গে সেই কথার কোনো মিল থাকে না। কয়েকটি পত্রিকার ক্ষেত্রে দেখা যায়, পরপর দুই বছরের প্রচার সংখ্যা হুবুহু এক।

কালের আলো/বিআর/এমএম