গ্রামীণফোনে প্রশাসক বসাতে প্রস্তুত সরকার: মোস্তাফা জব্বার
প্রকাশিতঃ 10:26 pm | February 20, 2020
নিজস্ব প্রতিবেদক, কালের আলো:
আদালতের এই নির্দেশ না মানলে গ্রামীণফোনে সরকার প্রশাসক বসাবে বলে জানিয়েছেন ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার৷
তিনি বলেছেন, ‘প্রশাসক নিয়োগের সব প্রস্তুতি আমাদের আছে৷ যিনি গ্রামীণফোনের প্রশাসক হবেন তিনি হবেন ওই প্রতিষ্ঠানের চিফ এক্সিকিউটিভ অফিসার (সিইও) পদ মর্যাদার৷ আমরা এমন একজনকে নিয়োগ করব যিনি গ্রামীণফোনকে কব্জায় আনতে পারেন৷’
মোস্তাফা জব্বার আপিল বিভাগের এই রায়ের পর বলেন, ‘গ্রামীণফোনকে বাংলাদেশে ব্যবসা করতে হলে এই দেশের আইন মেনে করতে হবে৷ তারা এই দেশে ব্যবসা করে, কিন্তু এই দেশের আইন-আদালতের প্রতি তাদের কোনো শ্রদ্ধা নেই৷ তারা এর আগে রাষ্ট্রপতির বিরুদ্ধেও উকিল নোটিশ পাঠিয়েছে৷ তাদের এই ধরনের ঔদ্ধত্বপূর্ণ মানসিকতা এই দেশে ব্যবসা করার জন্য ক্ষতিকর৷ এ দেশে ব্যবসা করার মানসিকতা তাদের আছে বলে মনে হয় না৷’
তিনি বলেন, ‘গ্রামীণফোনে প্রশাসক নিয়োগের অনুমোদন আমরা আগেই নিয়ে রেখেছি৷ এখন নিয়োগ করলে বোঝা যাবে পরিচালনায় কোনো সমস্যা হয় কিনা৷ সমস্যা হলে সেভাবে ব্যবস্থা নেয়া হবে৷’
এ বিষয়ে গ্রামীণফোনের আইনজীবী অ্যাডভোকেট এ এম আমীন উদ্দিন জানান, ‘আমাদের মূল আইনি লড়াই শেষ হয়নি৷ কারণ, বিটিআরসির দাবি তো অনেক টাকা৷ আপিল বিভাগ যে দুই হাজার কোটি টাকা পরিশোধের নির্দেশ দিয়েছিলেন তার এক হাজার কোটি টাকা এখন সোমবারের মধ্যে দিতে হবে৷ আমি আমার মক্কেল গ্রামীণ ফোনকে আদালতের এই চূড়ান্ত আদেশ জানিয়ে দিয়েছি৷ এখন তারা কী করবেন সেটা তাদের বিষয়৷’
এই পরিস্থিতিতে গ্রামীণফোনের দায়িত্বশীল কোনো কর্মকর্তা কথা বলতে রাজি হননি৷ এর আগে আপিল বিভাগের এই রায়ের আগে গ্রামীণফোন দুই হাজার কোটি টাকার বিপরীতে বিটিআরসিকে মাত্র ১০০ কোটি টাকা দিতে চেয়েছিল৷ বিটিআরসি তা প্রত্যাখ্যান করে।
সন্ধ্যায় গ্রামীণফোনের পক্ষ থেকে লিখিতভাবে জানানো হয়, ‘আপিলেট ডিভিশনের আদেশের বিষয়ে আমরা অবগত৷ রিভিউ পিটিশনের মাধ্যমে আমরা প্রত্যাশিত ফলাফল পাইনি৷ এই মুহূর্তে আমাদের কোনো মন্তব্য নেই৷’
এদিকে নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিটিআরসির চেয়ারম্যান মো. জহুরুল হক বলেছেন, আদালতের রায়ের পর এখন টাকা না দিয়ে গ্রামীণফোনের যাওয়ার আর জায়গা নেই। তিনি আশা করছেন অপারেটরটি এবার টাকা দিয়ে দেবে।
কালের আলো/এনআর/বিএম