নিজস্ব প্রতিবেদক, কালের আলো:

দেশে নতুন করে করোনোভাইরাসে কেউ আক্রান্ত হয়নি বলে জানিয়েছেন রোগতত্ত্ব, রোগনিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের (আইইডিসিআর) পরিচালক অধ্যাপক ডা. মীরজাদী সেব্রিনা ফ্লোরা। তবে বিদেশফেরত ৮ জনকে আইসোলেশনে (বিচ্ছিন্নভাবে) রাখা হয়েছে বলেও জানিয়েছেন তিনি।

ফ্লোরা বলেন, করোনোভাইরাস নিয়ে শঙ্কিত হওয়ার মতো কোনো পরিস্থিতি বাংলাদেশে নেই। সবাইকে সচেতন হয়ে চলাফেরা করতে হবে। যারা বিদেশ থেকে এসেছেন, তারা ১৪ দিন যাতে ঘর থেকে বের না হয়। আর আক্রান্ত তিনজন ভালো আছেন।

মঙ্গলবার (১০ মার্চ) দুপুর সাড়ে ১২টায় রাজধানীর মহাখালীর আইইডিসিআর কার্যালয়ে করোনাভাইরাস পরিস্থিতি নিয়ে ব্রিফিংয়ে এসব কথা বলেন তিনি।

আইইডিসিআর পরিচালক বলেন, গত ২৪ ঘণ্টায় আমরা আরও ৭ জনের নমুনা পরীক্ষা করেছি। তাদের শরীরে করোনাভাইরাসের উপস্থিতি মেলেনি। সবমিলিয়ে আমরা ১২৭ জনের নমুনা পরীক্ষা করেছি। এখন পর্যন্ত ৩ জনের শরীরেই করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়েছে।

করোনায় আক্রান্ত তিনজন ভালো আছে জানিয়ে তিনি বলেন, আমরা সিরিয়াসলি কাজ করছি। শঙ্কিত হওয়ায় কিছু নেই। আমরা নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করছি। বাংলাদেশি নাগরিকরা কীভাবে আছে, সেটা দূতাবাসের মাধ্যমে খোঁজ নিচ্ছি।

ফ্লোরা বলেন, কুয়েতে মেডিক্যাল সার্টিফিকেটের বিষয়ে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের কিছু করার নেই। এটা পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় দেখবে। বিদেশ থেকে ১৪ দিনের মধ্যে এলে একটি ঘরে থাকুন। সেলফ কোয়ারেন্টেইন সবচেয়ে ভালো পদ্ধতি। ইচ্ছেমতো বের হয়ে ১৭ কোটি মানুষকে বিপদে ফেলবেন না। যদি প্রয়োজন হয় তাহলে মাস্ক ব্যবহার করে বের হবেন।

তিনি বলেন, ১২টি হট লাইন নম্বর দেওয়া আছে। সবাই এখানে ফোন করে তথ্য নিতে পারেন। সচেতনতা ছাড়া প্রতিরোধের কিছু নেই। সঠিক পদ্ধতিতে হাত ধোয়া ও হাঁচি দিতে হবে।

আইইডিসিআর পরিচালক বলেন, বিশ্বের মোট ১০৫টি দেশ করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছে। নতুন আক্রান্ত দেশ বাংলাদেশ, আলবেনিয়া ও প্যারাগুয়ে।

ফ্লোরা বলেন, করোনাভাইরাস সংক্রান্ত হটলাইন চালুর পর আমাদের কাছে এখন পর্যন্ত ২৭৭৮টি কল এসেছে। এর মধ্যে বেশিরভাগই ভাইরাস (কোভিড-১৯) সংক্রান্ত। আবার এমনও কল এসেছে যে মাস্ক কোথায় পাওয়া যাবে, হ্যান্ড স্যানিটাইজার পাওয়া যাচ্ছে না, বিদেশ থেকে এসেছে, কী করণীয় ইত্যাদি জানতে।

কালের আলো/এনআর/এমএইচএ