আমি যখন যা ধরি, ভালো করেই ধরি: প্রধানমন্ত্রী

প্রকাশিতঃ 5:32 pm | May 30, 2018

নিজস্ব প্রতিবেদক, কালের আলো:

মাদক নির্মূলে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর চলমান সাঁড়াশি অভিযান চলবে ইঙ্গিত দিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, “মাদকের সঙ্গে যে-ই জড়িত থাক, গডফাদার-ডন, কাউকেই ছাড় দেওয়া হবে না। আমি যখন ধরি, ভালো করেই ধরি।”

ভারত সফর করে আসা প্রধানমন্ত্রী বুধবার বিকেলে গণভবনে এই সংবাদ সম্মেলনে মাদক বিরোধী অভিযান নিয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এ কথা বলেন তিনি।

এই অভিযান হঠাৎই শুরু হয়নি জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, দীর্ঘদিন গোয়েন্দা সংস্থা তথ্য নিয়ে নজরদারি চালিয়ে এরপরই এই অভিযান চালানো হচ্ছে।

মাদক নির্মূলে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর অভিযানে হতাহতের ঘটনায় সমালোচনা করে মানবাধিকারকর্মীরা বলছেন, অভিযানে আইনের চেয়ে বন্দুকের ব্যবহার বেশি ঘটছে।

বিষয়টি নিয়ে প্রশ্ন করা হলে শেখ হাসিনা বলেন, “মাদক সমাজে একটা ব্যাধির মতো, আপনারাই পত্রপত্রিকায় লিখেছেন এটা। আপনারা কি চান অভিযান চলুক, না কি বন্ধ হয়ে যাক?”

আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কাজে সমর্থন রেখে সরকার প্রধান বলেন, “খুব স্বাভাবিক যে এই ধরনের অভিযান চালাতে গেলে কিছু ঘটনা ঘটতেই পারে।”

নিরাপরাধ কেউ এই অভিযানের শিকার হচ্ছে না দাবি করে তিনি বলেন, “এ পর্যন্ত যে কয়টা ঘটনা হয়েছে, মনে হয় না একটাও নিরীহ ব্যক্তি শিকার হয়েছে।”

গণমাধ্যমে গ্রেপ্তারের ঘটনাগুলোকে বাদ দিয়ে শুধু নিহতের ঘটনাগুলোকেই সামনে আনা হচ্ছে বলে মন্তব্য করেন প্রধানমন্ত্রী।

অভিযানে এই পর্যন্ত ১০ হাজারের বেশি ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে বলে জানান তিনি।

মাদকের বিস্তারে যাদের ভূমিকা রয়েছে, তাদের বিষয়ে কী পদক্ষেপ নেয়া হচ্ছে- এক সাংবাদিক জানতে চাইলে শেখ হাসিনা বলেন, “কাকে গডফাদার বলছেন?” তবে যে যত প্রভাবশালীই হোক না কেন, কাউকে ছাড় না দেয়া হবে না। “আমি যখন যা ধরি, ভালো করেই ধরি।”

ভারত সফর নিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, “ভারতের প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে আমি দ্বিপাক্ষিক বৈঠক করি। সেখানে দ্বিপাক্ষিক স্বার্থ সংশ্লিষ্ট বিষয় ও অভিন্ন নদীর পানি বণ্টন নিয়ে আলোচনা করি।”

উল্লেখ্য, ২৫ মে দুদিনের সরকারি সফরে কলকাতা যান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সফরকালে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি যৌথভাবে শান্তিনিকেতনে বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ে ‘বাংলাদেশে ভবন’ উদ্বোধন করেন। এ সময় দুই দেশের প্রধানমন্ত্রী বাংলাদেশ ভবনে দ্বিপক্ষীয় বৈঠক করেন এবং বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাবর্তনে যোগ দেন। এ ছাড়া প্রধানমন্ত্রী পশ্চিমবঙ্গের আসানসোলে কাজী নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়ে থেকে সম্মানসূচক ডি. লিট ডিগ্রি গ্রহণ করেন। সফরে শেখ হাসিনা পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে বৈঠক করেন।

পাশাপাশি প্রধানমন্ত্রী এই সফরে বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের স্মৃতিবিজড়িত ‘জোড়াসাঁকো ঠাকুরবাড়ি’ এবং কলকাতায় ঐতিহাসিক ‘নেতাজি সুভাষ চন্দ্র বসু’ জাদুঘর পরিদর্শন করেন।

কালের আলো/এমএকে