করোনা নিয়ন্ত্রণে সেনাবাহিনীর কর্মপরিকল্পনা, ডিসিরা রিকুইজিশন দিলে হবে ‘ক্যাম্প’ স্থাপন

প্রকাশিতঃ 1:20 am | March 25, 2020

বিশেষ সংবাদদাতা, কালের আলো :

বিদেশফেরত প্রবাসীদের হোম কোয়ারেন্টাইন নিশ্চিতের প্রথম ধাপ হিসেবে দেশের বিভিন্ন বিভাগীয় ও জেলা শহরগুলোতে প্রশাসনের শীর্ষ কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করেছে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী। ‘ইন এইড টু সিভিল পাওয়ার’-এর আওতায় স্থানীয় প্রশাসনকে সহায়তার উদ্দেশ্যে মঙ্গলবার (২৪ মার্চ) দিনভর তাদের সঙ্গে বৈঠক করেন সেনাবাহিনীর দায়িত্বশীল কর্মকর্তারা।

আরও পড়ুন: প্রধানমন্ত্রীর সিদ্ধান্তকে স্বাগত; করোনাভাইরাস মোকাবেলায় মাঠে সেনাবাহিনী

গুরুত্বপূর্ণ এসব বৈঠকে করোনাভাইরাস সংক্রমণ ঠেকাতে কর্মপরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়। প্রয়োজনীয় সমন্বয় সাধনের পর বুধবার (২৫ মার্চ) থেকে দেশের সব জেলা ও বিভাগীয় শহরগুলোতে হোম কোয়ারেন্টাইন নিশ্চিত ও সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখতে সেনাবাহিনীর সদস্যদের ব্যাপক উপস্থিতি লক্ষ্য করা যাবে।

আবার উপকূলীয় ৬ জেলার ১৯ টি উপজেলায় নিয়মিত টহল কার্যক্রম শুরু করেছে নৌ বাহিনী। আর হাসপাতালের প্রয়োজনীয় চিকিৎসা সামগ্রী ও জরুরি পরিবহন কাজে নিয়োজিত থাকবে বিমান বাহিনী। খবর সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন দায়িত্বশীল সূত্রের।

সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, করোনাভাইরাস সংক্রমণ ও বিস্তৃতির ঝুঁকি এড়াতে গত এক মাসে বিদেশ থেকে দেশে আসা প্রবাসীদের হোম কোয়ারেন্টাইন নিশ্চিতে জেলা প্রশাসনকে সহায়তা করতে সেনাবাহিনীকে দায়িত্ব দিয়েছে সরকার। এই দায়িত্ব পেয়েই মঙ্গলবার (২৪ মার্চ) জেলা ও পুলিশ প্রশাসনের কর্মকর্তাদের সঙ্গে বিভিন্ন জেলা ও বিভাগীয় শহরে বৈঠক করেছেন সেনাবাহিনীর কর্মকর্তারা।

আরও পড়ুন: সারাদেশে মাঠে নামলো সেনাবাহিনী

এই বৈঠকে করোনাভাইরাস মোকাবেলায় একটি সমন্বিত কার্যকরী পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়। কোন এলাকায় কতজন বিদেশফেরত রয়েছেন, তাদের হোম কোয়ারেন্টাইন নিশ্চিত করা হয়েছে কীনা, নিশ্চিত করা না হলে তাদের চিহ্নিত করে ঘরবন্দী করা ও পুরো বিষয়টি মনিটরিং কার্যক্রম জোরদার করার বিষয়ে গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্তে পৌঁছেন। আবার অনেক এলাকায় সেনা কর্মকর্তারা বৈঠক করে এলাকা পর্যবেক্ষণও করেন।

বিভিন্ন সূত্র জানিয়েছে, সেনা কর্মকর্তারা প্রথমে কোন কাজটি করবেন, কীভাবে সেলফ কোয়ারেন্টাই নিশ্চিতে পদক্ষেপ গ্রহণ করবেন এসব বিষয়ে প্রয়োজনীয় গাইড লাইন দিয়েছে সেনা সদরদপ্তর। সোমবার (২৩ মার্চ) প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে গণভবনে সেনাপ্রধান জেনারেল আজিজ আহমেদের বৈঠক শেষে মন্ত্রিপরিষদ সচিব ও প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব জরুরি সংবাদ সম্মেলন করে সারাদেশে সেনা মোতায়েনের সিদ্ধান্তের কথা জানান।

আরও পড়ুন: পথে পথে সেনাবাহিনীর জীবাণু নাশক স্প্রে কার্যক্রম (ভিডিও)

প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সেনাপ্রধানের বৈঠকে জেলা প্রশাসনের সঙ্গে সমন্বয় সাধনের পাশাপাশি কোথাও মেডিকেল সহায়তা, ফিল্ড হসপিটাল ও কোয়ারেন্টাইন সেল প্রতিষ্ঠার প্রয়োজন হলে সেনাবাহিনী সব রকমের পদক্ষেপ গ্রহণ করবে বলেও সিদ্ধান্ত হয়েছে।

বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর দায়িত্বশীল বিভিন্ন সূত্র কালের আলোকে নিশ্চিত করেছে, যে শহর থেকে ক্যান্টনমেন্ট কাছে সেই এলাকায় ক্যাম্প স্থাপন করবে না সেনাবাহিনী। এসব এলাকায় তারা ক্যান্টনমেন্ট থেকে গিয়েই জেলা প্রশাসনকে সব রকমের সহায়তা দেবে। কেবলমাত্র জেলা প্রশাসকরা (ডিসি) যেখানে রিকুইজিশন দিবেন সেখানে সার্বক্ষণিক সেনাবাহিনীর উপস্থিতির জন্য ক্যাম্প স্থাপন করা হবে।

করোনাভাইরাস মোকাবিলা, প্রতিরোধ ও জনসমাগমকে নিয়ন্ত্রণে সেনাবাহিনীর টিম গোপালগঞ্জে কাজ শুরু করেছে। দুপুরে তারা জেলা প্রশাসকের সঙ্গে বৈঠক করেন।

বিষয়টি খোলাসা করে সূত্রটি কালের আলোকে আরও জানিয়েছে, ঢাকা, যশোর এবং সিলেটের ক্যান্টনমেন্ট থেকেই এসব এলাকায় দায়িত্ব পালন করবে সেনা সদস্যরা। এসব ক্যান্টনমেন্ট থেকে শহরগুলো কাছে হওয়ায় এসব এলাকায় আলাদা ক্যাম্প স্থাপনের কোন প্রয়োজন নেই।

আরও পড়ুন: বক্সের মাধ্যমে দূরত্ব চিহ্নিত; সেনাবাহিনীর কর্মযজ্ঞে দেশজুড়ে স্বস্তির সুবাতাস (ভিডিও)

ইতোমধ্যেই বেশিরভাগ জেলা প্রশাসকরাই (ডিসি) সেনাবাহিনী চেয়ে রিকুইজিশন দিয়েছে। সরকার যেভাবে চাইবে সেইভাবেই দায়িত্ব পালন করবে সেনা সদস্যরা। তবে বুধবার (২৫ মার্চ) থেকে দেশের সব জেলাতেই সেনাবাহিনীর ব্যাপক উপস্থিতি লক্ষ্য করা যাবে বলে সূত্রটি নিশ্চিত করেছে।

আন্ত:বাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর (আইএসপিআর) সূত্র জানিয়েছে, জেলা ও পুলিশ প্রশাসনের সঙ্গে প্রয়োজনীয় সমন্বয় সাধনের কাজ করা হয়েছে। এখন বিভিন্ন ইউনিটে বিভক্ত হয়ে কাজ শুরু হবে। জনপ্রতিনিধি, আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী, জেলা প্রশাসন সবাইকে নিয়ে সমন্বিত দল হয়ে হোম কোয়ারেন্টাইন নিশ্চিত করা হবে।

জরুরি প্রয়োজন ছাড়া কেউ যাতে বাড়ির বাইরে যেতে না পারে এবং একসঙ্গে যাতে দুজন চলাচল না করে-এই নির্দেশনা মানাতে স্থানীয় প্রশাসনকে সহায়তা দেবে সেনা সদস্যরা।

মঙ্গলবার (২৪ মার্চ) ঢাকা বিভাগীয় কমিশনার, জেলা প্রশাসক, পুলিশ ও সেনাবাহিনীর উচ্চপদস্থ কর্মকর্তারা এই ব্যাপারে বৈঠক করেছেন।

ঢাকা বিভাগীয় কমিশনার জানিয়েছেন, বুধবার (২৫ মার্চ) থেকে গণজমায়েতের কোনো সুযোগ নেই। কেউ কারো সংস্পর্শে আসতে পারবে না। বিনা প্রয়োজনে কেউ যেন বাসা থেকে বের না হয়। তবে অনেকের চিকিৎসা, বাজার বা ওষুধ লাগতে পারে। কিন্তু শুধু শুধু চায়ের দোকানে বসে থাকবো, গল্প করব এটা করতে দেওয়া হবে না।

আমাদের বিভিন্ন জেলা প্রতিনিধিদের পাঠানো তথ্য নিয়ে বিস্তারিত খবর

রাঙামাটিতে মাঠে নেমেছে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী। জেলা ও পুলিশের সঙ্গে সমন্বয় সাধন করে গঠিত টিম করোনা প্রতিরোধে বিকেলে শহরের পাথরঘাটা, পাবলিক হেলথ, কলেজে গেট, ভেদভেদীসহ বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালায়।

এই সময় হোম কোয়ারেন্টিনে থাকা ব্যক্তিদের বাসায় গিয়ে সর্বশেষ তথ্য সংগ্রহ করা হয়। কেউ সম্প্রীতি সময়ে বিদেশ থেকে দেশে ফিরে বাইরে ঘুরছেন কিনা সে বিষয়ে তদারকি করা হয়। জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট পল্লব হোম দাশ জানিয়েছেন, ‘জনগণকে সচেতন করার জন্য অভিযান শুরু হয়েছে।

করোনা মোকাবিলায় জেলা প্রশাসক কক্ষে জেলা প্রশাসনের সঙ্গে প্রস্তুতি সভা করেছে সেনাবাহিনীর কর্মকর্তারা। রংপুরে তিন ভাগে বিভক্ত হয়ে কাজ করবে সেনাবাহিনী।

সরকারের পরবর্তী নির্দেশ না আসা পর্যন্ত এই অভিযান চলবে। আমাদের মূল কাজ প্রবাসীদের হোম কোয়ারেন্টিন নিশ্চিত করা।’

বগুড়া সেনানিবাস থেকে ৪০ ফিল্ড আর্টিলারি রেজিমেন্টর অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল ফখরুদ্দীনের নেতৃত্বে সেনাবাহিনীর সদস্যরা মেহেরপুর পৌঁছেছেন। দুপুরে মেহেরপুর জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে এক যৌথ সভা অনুষ্ঠিত হয়।

জেলা প্রশাসক (ডিসি) মোহাম্মদ আতাউল গনির সভাপতিত্বে যৌথ সভায় বক্তব্য রাখেন বগুড়া সেনা ক্যাম্পের ৪০ ফিল্ড আর্টিলারি রেজিমেন্ট অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল ফখরুদ্দিন, পুলিশ সুপার এসএম মুরাদ আলি, সিভিল সার্জন ডাক্তার নাসির উদ্দিন, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক মো. তৌফিকুর রহমান ও ক্যাপ্টেন রাকিব।

এই বিষয়ে জেলা সিভিল সার্জন ডা. নাসির উদ্দিন জানান, উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে ৩০৪ প্রবাসীর বাড়িতে লাল পতাকা লাগানো হয়েছে।

মানিকগঞ্জ শহরে দুপুরে সেনা সদস্যদের টহল দিতে দেখা গেছে। এ সময় জেলা পুলিশ সদস্যরাও উপস্থিত ছিলেন। এর আগে গণবিজ্ঞপ্তি দিয়ে মানিকগঞ্জ জেলা প্রশাসক দুপুর থেকে শপিং মল, বাণিজ্যকেন্দ্র, রেস্টুরেন্ট, বিনোদন পার্ক, মেলা, সামাজিক অনুষ্ঠান, সাপ্তাহিক হাট, চায়ের দোকানের আড্ডাসহ জনসমাগম বন্ধ রাখার নির্দেশ দেয়।

করোনাভাইরাসের সংক্রমণ রোধে সরকারের ঘোষণা অনুযায়ী যশোরে মাঠে নেমেছে সেনাবাহিনী। প্রাথমিক পর্যায়ে তারা প্রশাসনের কাছ থেকে তথ্য সংগ্রহ শুরু করেছে।

খুলনায় সেনাবাহিনীর সদস্যরা কার্যক্রম শুরু করেছেন। দুপুরে খুলনা সার্কিট হাউজের সম্মেলন কক্ষে খুলনা বিভাগীয় প্রশাসন ও জেলা প্রশাসনের সঙ্গে সেনাবাহিনীর সমন্বয় সভা অনুষ্ঠিত হয়। এ সভায় উপস্থিত ছিলেন, ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আই কে এম মোস্তাহসেনুল বাকী।

এদিন দিনাজপুর জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সম্মেলন কক্ষে স্থানীয় প্রশাসনের সঙ্গে সেনাবাহিনীর বৈঠক হয়েছে। বৈঠকে জানানো হয়েছে, বৃহস্পতিবার (২৬ মার্চ) থেকে দিনাজপুরে সেনাবাহিনী মাঠে নামবে।

বৈঠকে দিনাজপুরের জেলা প্রশাসক মাহমুদুল আলম, পুলিশ সুপার আনোয়ার হোসেন, সেনাবাহিনীর লে. কর্নেল মামুনুর রহমান সিদ্দিকী, মেজর এসএম মমিনুল ইসলাম, মেজর আরিফ, বিজিবির লে. কর্নেল রেজাউল করিম প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন। এখানেও তিনটি ইউনিটে বিভক্ত হয়ে কাজ করবে সেনাবাহিনী।

করোনাভাইরাস প্রতিরোধে জেলা প্রশাসনকে সহায়তার জন্য টাঙ্গাইলে সেনা মোতায়েন করা হয়েছে। সকালে টাঙ্গাইলের ঘাটাইল শহীদ সালাউদ্দিন সেনানিবাসের লে. কর্নেল সোহেলের নেতৃত্বে সেনাবাহিনীর একটি প্রতিনিধি দল জেলা প্রশাসক শহীদুল ইসলামের সঙ্গে দেখা করেন। এ সময় সেনাবাহিনী প্রশাসনকে সহায়তার বিষয়ে আলোচনা করা হয়।

সরকারের ঘোষণা অনুযায়ী যশোরে মাঠে নেমেছে সেনাবাহিনী। প্রাথমিক পর্যায়ে তারা প্রশাসনের কাছ থেকে তথ্য সংগ্রহ শুরু করেছে। এদিন দুপুরে সেনা সদস্যদের একটি টিম যশোরের জেলা প্রশাসক কার্যালয়ে এসে আনুষ্ঠানিকভাবে কাজ শুরু করে।

যশোর জেলার দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা লে. কর্নেল নেয়ামুল ইসলাম বলেন, ‘হোম কোয়ারেন্টিনে যারা আছেন তাদের কারণে যেন সাধারণ মানুষ আক্রান্ত না হন সেজন্য সব উদ্যোগ গ্রহণ করা হবে।’

নারায়ণগঞ্জে দুপুর ১২টার দিকে সেনাবাহিনী মাঠে নামে। এরআগে জেলা প্রশাসনের সম্মেলন কক্ষে জেলা প্রশাসন, পুলিশ প্রশাসন, সিভিল সার্জনসহ বিভিন্ন সরকারি কর্মকর্তাদের সঙ্গে রুদ্ধদ্বার বৈঠক করেন সেনাবাহিনীর কর্মকর্তারা। পরে সেনাবাহিনী নগরীর বিভিন্ন রাস্তায় টহল শুরু করেন।

ময়মনসিংহ বিভাগীয়, জেলা ও পুলিশ প্রশাসনের সাথে বৈঠক করেছেন সেনাবাহিনীর কর্মকর্তারা। পরে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে অংশ নেন তারা।

জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ জসিম উদ্দিনের সভাপতিত্বে বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন সেনাবাহিনীর লে. কর্নেল আব্দুল মোত্তাকীন, পুলিশ সুপার মোহাম্মদ জায়েদুল আলম, সিভিল সার্জন ইমতিয়াজ আহমেদসহ জেলা প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।

করোনাভাইরাস মোকাবেলা, প্রতিরোধ ও জনসমাগমকে নিয়ন্ত্রণে সেনাবাহিনীর টিম গোপালগঞ্জে কাজ শুরু করেছে। দুপুরে তারা জেলা প্রশাসকের সঙ্গে বৈঠকে বসেন। এ সময় পুলিশ সুপার ও সিভিল সার্জন উপস্থিত ছিলেন। জেলা প্রশাসক শাহিদা সুলতানা জানান, একজন লেফটেন্যান্ট কর্নেলের নেতৃত্বে সেনাবাহিনীর একটি টিম প্রথমে বিদেশ ফেরতদের হোম কোয়ারেন্টিন নিশ্চিত করা ও জনসমাগম নিয়ন্ত্রণে কাজ করবে। পাশাপাশি বিভিন্ন কর্মপরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়।

করোনা মোকাবিলায় জেলা প্রশাসনের সঙ্গে প্রস্তুতি সভা করেছে সেনাবাহিনীর কর্মকর্তারা। রংপুরে তিন ভাগে বিভক্ত হয়ে কাজ করবে সেনাবাহিনী।

সভা শেষে জেলা প্রশাসক আসিব আহসান জানান, সারাদেশের মতো রংপুর প্রশাসনের সঙ্গে সেনাবাহিনীর দল করোনা মোকাবিলায় কাজ করবে। বিদেশফেরত ব্যক্তিদের হোম কোয়ারেন্টিন নিশ্চিত করতে সেনাবাহিনী প্রশাসনের সঙ্গে কাজ করবে।

করোনাভাইরাস ইস্যুতে সারাদেশের মতো ময়মনসিংহেও শুরু হয়েছে সেনা সদস্যদের তৎপরতা। তবে বুধবার (২৫ মার্চ) থেকে মাঠ পর্যায়ে পুরোদমে তাদের কাজ শুরু হবে।

মঙ্গলবার (২৪ মার্চ) দুপুরে বিভাগীয়, জেলা ও পুলিশ প্রশাসনের সাথে বৈঠক করেছেন সেনাবাহিনীর কর্মকর্তারা। পরে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে অংশ নেন তারা।

সংবাদ সম্মেলনে সেনা কর্মকর্তারা জানান, প্রথম দিনে যাবতীয় কার্যক্রম মনিটরিং করা হচ্ছে। বুধবার (২৫ মার্চ) থেকে মাঠ পর্যায়ে পুরোদমে তাদের কাজ শুরু হবে। মূলত সামাজিক দূরত্ব নিশ্চিত ও হোম কোয়ারেন্টাইন নিশ্চিত করতে প্রশাসনকে সহায়তা করবে সেনাবাহিনী।

এতে সভাপতিত্ব করেন জেলা প্রশাসক মিজানুর রহমান। তিনি বলেন, করোনামোকাবিলায় আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে এবং করোনাভাইরাস সম্পর্কে সতর্কতা জোরদার করতে প্রশাসনের সাথে যুগপৎভাবে কাজ করবে সেনাবাহিনী।

এসময় সেনাবাহিনীর লে. কর্নেল মেহেদী হাসান, মেজর শাহেদ হাসান, মেজর তানিয়া রশিদ, জেলা পুলিশ সুপার মো. আহমার উজ্জামান, সিভিল সার্জন এ বি এম মশিউল আলম প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

কালের আলো/এমএএএমকে