আইজিপি ড.জাবেদ পাটোয়ারী’র সাক্ষাতকার পড়ুন কালের আলোতে

প্রকাশিতঃ 1:22 pm | June 04, 2018

অ্যাক্টিং এডিটর, কালের আলো :

৩২ বছরের পুলিশের চাকরি জীবনে তাঁর কোন দুর্নাম নেই। একজন সদালাপী ও সৎ মানুষ হিসেবে রয়েছে পরিচিতি। তাকে নিয়ে চারিদিকে ইতিবাচক আলোচনা। মুক্তিযুদ্ধের স্বপক্ষে বিশ্বাসের মন্ত্র শিখেছেন সেই শৈশবে, প্রয়াত বাবা আব্দুল হালিম পাটোয়ারীর কাছ থেকেই। যিনি ছিলেন বঙ্গবন্ধুর আদর্শের মানুষ।

সব সময় তিনি বিশ্বাস করেন মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় লালিত পুলিশ কখনো পরাজিত হয় না। বলা হচ্ছে- বাংলাদেশ পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) ড.মোহাম্মদ জাবেদ পাটোয়ারীর কথা।

‘ইলিশের রাজধানী’ চাঁদপুরের বাসিন্দা এ পুলিশ প্রধান। এ জেলার সদর উপজেলার শাহমাহমুদপুর ইউনিয়নে মান্দারী গ্রামে তাঁর জন্ম। স্বাধীনতার আগে বিমান বাহিনীর বাবার চাকরির সুবাধেই করাচিতে প্রাথমিকের পাঠ শেষ করেন। এরপর দেশে ফিরে ওই উপজেলার বাবুরহাট উচ্চ বিদ্যালয়ে ভর্তি হন।

এখান থেকে এসএসসি পাস করে ভর্তি হন চাঁদপুর সরকারি কলেজে। উচ্চ মাধ্যমিক পাসের পর তিনি পাড়ি জমান ঢাকায়। কৃতিত্বের সঙ্গে পড়াশুনা করেন ‘প্রাচ্যের অক্সফোর্ড’ খ্যাত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজবিজ্ঞান বিভাগে। বিসিএস ১৯৮৪ ব্যাচের কর্মকর্তা জাবেদ পাটোয়ারী সহকারী পুলিশ সুপার (এএসপি) হিসেবে যোগ দেন ১৯৮৬ সালে। সম্মিলিত মেধা তালিকায় তার অবস্থান ছিল চতুর্থ এবং পুলিশের এই ব্যাচে প্রথম।

সচিব পদ মর্যাদায় গ্রেড-১ পদ পেয়েছেন ২০১৩ সালের জুলাই মাসে। চলতি বছরের ৩১ জানুয়ারি তিনি আইজিপি হিসেবে পুলিশ সদর দপ্তরে যোগদান করেন। মাত্র একদিন আগে রোববার (০৩ জুন) রাষ্ট্রপতির আদেশক্রমে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক প্রজ্ঞাপনে তাকে সিনিয়র সচিব হিসেবে পদোন্নতি দেয়া হয়।

২০২০ সালের এপ্রিল পর্যন্ত চাকরির মেয়াদ রয়েছে তাঁর। এই বছরের শেষের দিকে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে তাঁর নেতৃত্বেই থাকবে দেশপ্রেমিক পুলিশ বাহিনী।

পুলিশের শীর্ষ পদে আসার আগে ড.মোহাম্মদ জাবেদ পাটোয়ারী (বিপিএম বার) প্রায় ৯ বছর সুনাম ও দক্ষতার সঙ্গে সামলেছেন পুলিশের স্পেশাল ব্রাঞ্চ (এসবি)। ওই সময় তিনি বঙ্গবন্ধুর কারাজীবনের ওপর লেখা ‘কারাগারের রোজনামচা’র জন্য বিভিন্ন তথ্য ও নথি সংগ্রহে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখেন।

এসবির রেকর্ড রুমে ১৯৪৮ থেকে ১৯৭১ সাল পর্যন্ত সময়ে বঙ্গবন্ধুর বিষয়ে যেসব ক্লাসিফায়েড তথ্য রয়েছে, সেগুলো সংরক্ষণের উদ্যোগ নেন তিনি। তাঁর কাজে ভীষণ সন্তুষ্ট হন বঙ্গবন্ধু কন্যা, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। পরে জাবেদ পাটোয়ারী’র কাঁধেই তুলে দেন পুলিশ প্রধানের গুরু দায়িত্ব।

আইজিপি ড.মোহাম্মদ জাবেদ পাটোয়ারী অতিরিক্ত আইজি হিসেবে সিআইডি ও পুলিশ সদর দপ্তরে; পুলিশ কমিশনার হিসেবে রাজশাহী ও খুলনায়; পুলিশ ট্রেনিং সেন্টার ও পুলিশ স্টাফ কলেজর কমান্ড্যান্ট ও পরিচালক হিসেবে এবং রাষ্ট্রপতির পুলিশ লিয়াজোঁ অফিসার হিসেবেও সুনামের সঙ্গে দায়িত্ব পালন করেছেন।

বাংলাদেশ পুলিশের ৪০ তম আইজিপি ড.মোহাম্মদ জাবেদ পাটোয়ারী বাহিনীর দায়িত্ব নিয়েই চ্যালেঞ্জে জিতেন। গত ৮ ফেব্রয়ারি দুর্নীতি মামলায় বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়ার রায়ের আগে ও পরে আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রেখে তিনি এ চ্যালেঞ্জে জয়ী হন। সামনের দিনগুলোতেও তিনি কঠিন সব চ্যালেঞ্জে নিজের চেনা স্টাইলেই বাড়তি উদ্যম নিয়ে কাজ করে সফলতার সঙ্গেই উত্তীর্ণ হবেন বলেই মনে করছেন পুলিশ কর্মকর্তারা।

পুলিশকে একটি শক্তিশালী ও সুশৃঙ্খল বাহিনীতে রূপান্তরিত করে জনমনে পুলিশের ভাবমূর্তি উজ্জ্বল করতে কাজ শুরু করেছেন এই আইজিপি। সম্প্রতি পুলিশ সদর দপ্তরে নিজে কক্ষে পুলিশ প্রধান ড.মোহাম্মদ জাবেদ পাটোয়ারী কালের আলো’র সঙ্গে একান্তে কথা বলেছেন।

জনবান্ধব ও সেবাবান্ধব পুলিশিং ব্যবস্থা, পুলিশের সঙ্গে জনগণের সু সম্পর্ক গড়ে তোলা, পুলিশ সদস্যদের কল্যাণে নিবিষ্টমনে কাজ করা, জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে সামাজিক আন্দোলন, দেশের আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি, রমজানে যানজট ও ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণ, মাদক নির্মুলে কার্যকরী পদক্ষেপসহ ইত্যাকার বিষয় ওঠে এসেছে তাঁর কথায়।

দক্ষ ও নিষ্ঠাবান এ পুলিশ প্রধানের সাক্ষাতকার দুই কিস্তিতে মঙ্গলবার (০৫ জুন) ও বুধবার (০৬ জুন) প্রকাশ করা হবে দেশের অন্যতম ডিজিটাল সংবাদ মাধ্যম কালের আলোতে। আইজিপি’র সাক্ষাতকার পড়তে চোখ রাখুন কালের আলোতে।

কালের আলো/এএ 

এ সংক্রান্ত খবর: বাস্তববাদিতার পাশাপাশি স্বপ্ন দেখতে পছন্দ করেন আইজিপি

এ সংক্রান্ত খবর: সরকারি হাসপাতালে মাদকাসক্তদের চিকিৎসার জন্য ১০ শয্যা রাখার মত আইজিপি’র

** দ্রুত খবর জানতে ও পেতে কালের আলো’র ফেসবুক পেজে লাইক দিয়ে রাখুন: KalerAlo/Facebook