ঈদে বৃষ্টির পূর্ভাবাস

প্রকাশিতঃ 5:27 pm | June 15, 2018

কালের আলো ডেস্ক:

ঋতু হিসেবে বর্ষাকাল না হলেও, আবহাওয়ার হিসেবে এখন বর্ষা চলছে। যে কারণে সমুদ্রে এরইমধ্যে কয়েকটি নিন্মচাপের সৃষ্টি হয়েছে। বর্তমানে সাগরে গভীর সঞ্চালনশীল মেঘমালা সৃষ্টি অব্যাহত রয়েছে। এর ফলে ঈদের দিন সিলেট ও চট্টগ্রাম বিভাগে ভারী বর্ষণ হতে পারে। আর রাজধানী ঢাকাসহ দেশের অন্যান্য স্থানেও একপশলা বৃষ্টিপাতের পূর্বাভাস রয়েছে।

আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে, দক্ষিণ-পশ্চিম মৌসুমি বায়ু বাংলাদেশের ওপর মোটামুটি সক্রিয়। উত্তর বঙ্গোপসাগরে তা মাঝারি থেকে প্রবল অবস্থায় রয়েছে। উত্তর বঙ্গোপসাগর এলাকায় গভীর সঞ্চালনশীল মেঘমালার সৃষ্টি অব্যাহত রয়েছে। প্রকৃতির এই রূপের কারণে সারাদেশে একেক জায়গায় একেক রকম বর্ষণের সম্ভাবনা রয়েছে।

আবহাওয়াবিদ মো. আব্দুল মান্নান বলেন, “বৃষ্টিপাত কয়েকদিনের তুলনায় কমে এসেছে। এটি আরো কমবে। ঈদের দিন চট্টগ্রাম ও সিলেটে ভারী বর্ষণ হবে। রংপুরসহ উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলে বর্ষণ কিছুটা বাড়বে। ঢাকাসহ এসব এলাকায় একপশলা বৃষ্টিপাত হলেও হবে। বর্ষা মৌসুম চলায় বজ্রপাত কিছুটা হবেই। তবে আগামী ৭২ ঘণ্টায় এই প্রবণতা কমে যাবে।”

দেশের কোথাও কোথাও ভারী বৃষ্টিপাত হলেও খুলনা, রাজশাহী, টাঙ্গাইল, মাদারীপুর, ফরিদপুর, রাজশাহী ও পাবনা অঞ্চলের ওপর দিয়ে মৃদু তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। এটি অব্যাহত থাকবে এবং পাশ্ববর্তী এলাকায় ছড়িয়ে পড়বে। বাড়বে রাতের তাপমাত্রাও।

এদিকে, সাগরে গভীর সঞ্চালনশীল মেঘমালা সৃষ্টির কারণে বাংলাদেশের উপকূলীয় এলাকার ওপর দিয়ে ঝড়ো হাওয়া বয়ে যাওয়ার কথাও বলছে আবহাওয়া অফিস। তাই চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, মোংলা, পায়রা সমুদ্র বন্দরগুলোকে তিন নম্বর স্থানীয় সতর্কতা সংকেত দেখাতে বলেছে সংস্থাটি। পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত মাছ ধরা নৌকাগুলোকে উপকূলের কাছাকাছি থেকে চলাচলা করতে বলা হয়েছে। আর খুলনা, নোয়াখালী, বরিশাল, পটুয়াখালী, কুমিল্লা, চট্টগ্রাম, ময়মনসিংহ এবং সিলেট অঞ্চলের নদীবন্দরগুলোকে এক নম্বর সতর্ক সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।

অতিভারী বৃষ্টির কারণে সিলেট বিভাগের পাহাড়ি এলাকার কোথাও কোথাও ভূমিধসের আশঙ্কাও করা হয়েছে।

কালের আলো/ওএইচ