যে দুই বিষয়ে কঠোর নির্দেশনা ডিএমপি কমিশনারের

প্রকাশিতঃ 7:42 pm | June 11, 2020

নিজস্ব প্রতিবেদক, কালের আলো :

কঠিন সংগ্রামী মানুষ ডিএমপি কমিশনার মোহা. শফিকুল ইসলাম, বিপিএম (বার)। পুলিশে বর্ণাঢ্য চাকরি জীবনে সততার নজির স্থাপন করেছেন। অদম্য সাহস, দক্ষতা ও পেশাদারিত্ব দিয়েই মোকাবেলা করেছেন কঠিন সব পরিস্থিতি।

প্রধানমন্ত্রী ঘোষিত চলমান করোনা যুদ্ধেও সম্মুখে থেকেই নেতৃত্ব দিচ্ছেন দেশের পুলিশের সবচেয়ে বড় ইউনিট ঢাকা মেট্টোপলিটন পুলিশকে (ডিএমপি)। দেশের সাধারণ মানুষকে সুরক্ষায় অকাতরে জীবন দিচ্ছেন তার টিম ডিএমপি’র সদস্যরা।

নিজেও আক্রান্ত সদস্যদের সার্বক্ষণিক খোঁজ খবর যেমন রাখছেন তেমনি তাদের সুচিকিৎসা ও পুনর্বাসন প্রক্রিয়া নিশ্চিতে উর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সমন্বয়ে একাধিক টিম করে দিয়েছেন।

আক্রান্ত সদস্যদের পুষ্টিকর খাবারের যেমন জোগান দিচ্ছেন তেমনি তাদের সেবা-শুশ্রুষারও কোন কমতি হতে দিচ্ছেন না। সার্বক্ষণিক পুরো বিষয়টি মনিটরিং করছেন নিজেই।

আবার রাজধানীর আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতেও নিজ বাহিনীর সদস্যদের সদা তৎপর রাখছেন। খবর সংশ্লিষ্ট সূত্রের।

চলমান করোনা যুদ্ধে সম্মুখযোদ্ধা হিসেবে সতের কোটি বাংলাদেশীর হৃদয়ে আবেগ-শ্রদ্ধা আর ভালোবাসার বসত গড়েছেন সোয়া দুই লাখ সদস্যের পুলিশ বাহিনী। হৃদয়গ্রোথিত এমন আবেগ-ভালোবাসা ধরে রেখেই নিজেদের ওপর অর্পিত দায়িত্ব সুচারুরূপে পালনের কঠোর বার্তা দিয়েছেন টিম ডিএমপি’র প্রধান মোহা. শফিকুল ইসলাম।

একই সঙ্গে ডিএমপি’র প্রতিটি থানা এলাকার কোথাও যেন কোন চাঁদাবাজি না হয় সেদিকেও দৃষ্টি দেওয়ার জন্য সংশ্লিষ্ট উর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের কঠোর নির্দেশনা দিয়েছেন তিনি।

বৃহস্পতিবার (১১ জুন) রাজারবাগ পুলিশ অডিটোরিয়ামে আয়োজিত ডিএমপির মাসিক অপরাধ পর্যালোচনা সভায় গুরুত্বপুর্ণ দুই বিষয়ে এমন নির্দেশনা দিয়েছেন ডিএমপি কমিশনার।

সভাপতির বক্তব্যে ডিএমপি কমিশনার মোহা: শফিকুল ইসলাম বলেন, ‘করোনা পরিস্থিতি মোকাবিলায় পুলিশ নিজের জীবন বাজি রেখে দেশের জন্য কাজ করে যাচ্ছে। এতে সারা দেশে পুলিশের একটি ভাবমূর্তি তৈরি হয়েছে।

মানুষ পুলিশকে আপন করে নিয়েছে। মানুষের এ ভালোবাসাকে ধরে রাখতে আমাদের ওপর অর্পিত দায়িত্ব পালন করে যেতে হবে।’

তিনি বলেন, ‘আমরা মানুষের সেবা করার সুযোগ পেয়েছি। এ সুযোগ আমাদের যথাযথভাবে কাজে লাগাতে হবে।’

ডিএমপি কমিশনার করোনা মোকাবিলায় সম্মুখ যোদ্ধাদের অভিনন্দন জানান এবং করোনায় মৃত্যুবরণ করা পুলিশ সদস্যদের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা ও কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।

প্রত্যেকটি থানা এলাকার কোথাও যেন পরিবহন সেক্টরে কোনো প্রকার চাঁদাবাজি না হয় সেজন্য সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের কঠোর নির্দেশনাও দেন মোহা. শফিকুল ইসলাম।

সভায় অতিরিক্ত কমিশনার (কাউন্টার টেরোরিজম) মো. মনিরুল ইসলাম, অতিরিক্ত কমিশনার (ক্রাইম অ্যান্ড অপারেশনস) কৃষ্ণ পদ রায়, অতিরিক্ত কমিশনার (ডিবি) মো. আবদুল বাতেনসহ অন্য ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

কালের আলো/ওএইচ/এপি