দুর্নীতিমুক্ত পুলিশ প্রশাসন, টার্গেটে ‘অনড়’ আইজিপি ড.বেনজীর আহমেদ

প্রকাশিতঃ 3:12 pm | June 17, 2020

বিশেষ সংবাদদাতা, কালের আলো :

পুলিশ মহাপরিদর্শক (আইজিপি) হিসেবে দায়িত্ব নিয়েই দুর্নীতিমুক্ত পুলিশ প্রশাসন গড়ার ‘টার্গেট’ নিয়েছিলেন ড.বেনজীর আহমেদ, বিপিএম (বার)। কোন পুলিশ সদস্য অবৈধ আয়ের সঙ্গে সম্পৃক্ত থাকলে বেরিয়ে আসারও ‘কঠোর বার্তা’ দিয়েছিলেন।

আরও পড়ুন: প্রথম দু’মাসেই অর্জনের পাল্লা ভারী আইজিপি ড.বেনজীরের!

প্রযুক্তিনির্ভর, আধুনিক ও স্মার্ট পুলিশ গড়তে সোয়া দুই লাখ সদস্যের বিশাল এই বাহিনীর প্রধান দুর্নীতির বিরুদ্ধে আবারও নিজের শক্ত অবস্থানের কথাই স্পষ্ট ভাষায় জানান দিয়েছেন।

করোনাকালে মানবিক অভিযাত্রায় দেশজুড়ে পুলিশ ‘নন্দিত’ হলেও পরবর্তী সময়েও একইভাবে কীভাবে এই চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করেই পথ চলতে হবে সেই গাইড লাইনও দিয়েছেন।

আরও পড়ুন: ‘বাঁকবদল’ করেই ‘ইতি’ আইজিপি ড.জাবেদ পাটোয়ারী!

পুলিশে চাকরি করে অবৈধ অর্থ উপার্জনের মাধ্যমে ‘বড়লোক’ হওয়ার স্বপ্ন যাদের পুলিশে তাদের স্থান হবে না, এমন সতর্ক উচ্চারণের মাধ্যমেই নিজের দুর্নীতিবিরোধী পদক্ষেপকেই আবারও নতুন মাত্রা দিয়েছেন পুলিশের এ আইজি। খবর পুলিশ সদর দপ্তরের সংশ্লিষ্ট দায়িত্বশীল সূত্রের।

একাধিকবার দুর্নীতি ও অনিয়মের বিরুদ্ধে ড.বেনজীর আহমেদের কঠোর অবস্থানের ঘোষণা রীতিমতো কাঁপিয়ে দিয়েছে এক শ্রেণির দুর্নীতিবাজ কর্মকর্তাদের ভিত। ছড়িয়ে পড়েছে চরম আতঙ্ক। ডিএমপি’র এক কর্মকর্তার মতোন কখন কার ‘উইকেট’ পড়ে যায় এমন দুশ্চিন্তাও পেয়ে বসেছে কাউকে কাউকে।

আইজিপি ড.বেনজীর আহমেদের দুর্নীতি-অনিয়মের বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ ও অনড় মানসিকতা পুলিশকে মুজিববর্ষেই দীর্ঘ দিনের ‘দুর্নীতির’ কলঙ্ক তিলক থেকে মুক্তি দিতে সাহসী পদক্ষেপ বলেই মনে করছেন বিশ্লেষকরা।

জানতে চাইলে পুলিশের ঢাকা রেঞ্জের ডিআইজি হাবিবুর রহমান কালের আলোকে বলেন, ‘যোগ্য অভিভাবকত্বে পুলিশকে বদলে দিচ্ছেন আইজিপি ড.বেনজীর আহমেদ।

সব সময় সময়োপযোগী ও বিচক্ষণ পদক্ষেপ গ্রহণ করেন ডাইনামিক পুলিশ প্রধান। পুলিশে অনিয়ম-দুর্নীতি বন্ধেও তাঁর কঠোর পদক্ষেপ গ্রহণ প্রশংসা কুড়াচ্ছে।’

পুলিশ-জনতা সম্পর্কের বাস্তবায়নে মহাপরিকল্পনা
পুলিশ মহাপরিদর্শক (আইজিপি) হয়রানি বা অনিয়মের পরিবর্তে বিট পুলিশিংয়ের মাধ্যমে পুলিশী সেবাকে দেশের সাধারণ মানুষের দূয়ারে পৌঁছে দেওয়ারও মহাপরিকল্পনা গ্রহণ করেছেন। নির্যাতন-নিপীড়নের পরিবর্তে সাধারণ মানুষকে নির্মোহভাবে ভালবাসার শিক্ষা দিয়েছেন।

পুলিশ প্রধানের বাস্তবধর্মী এমন পরিকল্পনা তৃণমূলে আক্ষরিক অর্থেই কার্যকর হলে উন্নয়নমুখী উদ্ভাবনী পুলিশিং কার্যক্রমের মাধ্যমে মিলেমিশে একাকার হবে ‘পুলিশ-জনতা’ সম্পর্ক।

নিজের আরও একটি কঠিন লক্ষ্য বাস্তবায়নেও একটি আধুনিক স্ট্যান্ডিং অপারেটিং প্রসেডিওর (এসওপি) তৈরি করে পুলিশের সব ইউনিটে পৌঁছে দেওয়ার কার্যক্রমেও হাত দিয়েছেন পুলিশের এই ৩০ তম আইজিপি।

সূত্র জানায়, পুলিশের ২৯ তম আইজিপি ড.মোহাম্মদ জাবেদ পাটোয়ারী, বিপিএম (বার) নিজের দুই বছর তিন মাস ১৫ দিন মেয়াদের পুরোটা সময় পুলিশে ঘুষ, অনিয়ম ও দুর্নীতি বন্ধে কঠোর সব পদক্ষেপ গ্রহণ করেন। উদ্যোগ গ্রহণ করেন থানায় সেবার মান বাড়ানোর।

এ সময়ে টাকার বিনিময়ে নয়, মেধা ও যোগ্যতার ভিত্তিতেই কনস্টেবল নিয়োগের নতুন সংস্কৃতি চালু হয় পুলিশে। প্রশংসিত সেই নিয়োগের পর দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) চেয়ারম্যানও থ্যাংক্স লেটার পাঠায়। একাধিকবার এমন কার্যক্রমের উচ্ছ্বসিত প্রশংসা করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাও।

পুলিশের সামগ্রিক কার্যক্রমে নিশ্চিত করতে চান স্বচ্ছতা
একই সূত্র জানায়, পুলিশের দুর্নীতি রোধ করে ইতিবাচক ভাবমূর্তি ফেরাতে কোন রকম আপস না করারই শক্ত বার্তা দিয়ে যাচ্ছেন বর্তমান পুলিশ মহাপরিদর্শক (আইজিপি) ড.বেনজীর আহমদ।

ঢাকা মেট্টোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি) ও র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নকে (র‌্যাব) সফলভাবে নেতৃত্ব দিয়ে অনন্য উচ্চতায় নিয়ে যাওয়া পুলিশের এ সর্বোচ্চ কর্মকর্তা পুলিশের সামগ্রিক কার্যক্রমে স্বচ্ছতা নিশ্চিত করার অঙ্গীকার করেছেন।

কতিপয় উচ্চভিলাষী অসাধু কর্মকর্তার অনৈতিক কর্মকান্ড ও অনিয়ম দুর্নীতির টুঁটি চেপে ধরে নিজ বাহিনীর ভাবমূর্তি উজ্জ্বল করতে ‘রাউন্ড দ্যা ক্লক’ কাজ করছেন। নিজ বাহিনীর দুর্নীতিবাজ কর্মকর্তা ও সদস্যদের বিরুদ্ধে ‘ক্রুশেড’ ঘোষণা করেছেন।

সোমবার (১৫ জুন) পুলিশ সদর দপ্তর থেকে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ, ঢাকা ও ময়মনসিংহ রেঞ্জ এবং গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের কমিশনার, রেঞ্জ ডিআইজি এবং পুলিশ সুপারদের সঙ্গে এক ভিডিও কনফারেন্সে আইজিপি ড.বেনজীর আহমেদ বলেছেন, ‘পুলিশকে অবশ্যই দুর্নীতিমুক্ত হতে হবে।

পুলিশ সদস্যরা কোনোভাবেই কোন ধরনের দুর্নীতির সাথে যুক্ত থাকতে পারবেন না। যারা অবৈধ অর্থ উপার্জন করে বড়লোক হতে চান, বাংলাদেশ পুলিশ তাদের স্থান নয়। তারা পুলিশের চাকরি ছেড়ে বাড়ি গিয়ে ব্যবসা করে বড়লোক হওয়ার চেষ্টা করতে পারেন।’

বিল্ড হচ্ছে পুলিশের ইমেজ
চলমান করোনার মহাদুর্যোগে পুলিশকে কার্যকর বন্ধু হিসেবেই পেয়েছে দেশের মানুষ। করোনা সঙ্কটে তারা হয়ে উঠেছেন আরও দায়িত্বশীল, মানবতার মূর্ত প্রতীক। ফলশ্রুতিতে বিল্ড হচ্ছে পুলিশের ইমেজ।

২৪ জন সদস্যের ত্যাগ, তিতিক্ষা ও জীবনের বিনিময়ে অর্জিত এ ভাবমূর্তি কোন ব্যক্তি বিশেষের ভুলের কারণে ভূলুন্ঠিত না হওয়ার চরম বার্তাই যেন দিয়েছেন এই পুলিশ প্রধান।

সুস্পষ্টভাবেই জানিয়ে দিয়েছেন, ‘দুনীতি ও মাদকসহ যে কোনো প্রকার পুলিশি মিসকন্ডাক্টকে কঠোর হাতে দমন করতে না পারলে জনগণের পুলিশ হয়ে ওঠা সহজ হবে না। দায়িত্বপালনকালে শারিরীক শক্তি প্রয়োগকে বারণ করেছেন তেমনি আইনী সক্ষমতাকে কাজে লাগানোরও পরামর্শ দিয়েছেন।

পুলিশ প্রধান বলেছেন, ‘করোনাকালে বাংলাদেশ পুলিশের মানবিকতা দেশের মানুষের কাছে বাংলাদেশ পুলিশকে এক অনন্য উচ্চতায় নিয়ে গেছে। মানুষ পুলিশকে নিয়ে নতুন করে ভাবতে শুরু করেছে, পুলিশকে ভালোবাসছে, শ্রদ্ধা করছে।

মানুষের মনের মণিকোঠায় স্থান করে নিয়েছে পুলিশ। মানুষের এ অভূতপূর্ব ভালোবাসা ও শ্রদ্ধার মর্যাদা আমাদের রাখতে হবে। করোনা পরবর্তী সময়ে আমাদের এ অবস্থান ধরে রাখা সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ হবে।

এ চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় আমাদের সকলকে ঐক্যবদ্ধভাবে জনগণের জন্য জনগণের পুলিশ হয়ে কাজ করতে হবে।’

মাদক কারবারিদের বিরুদ্ধে কঠোর পথ
শান্তি, শৃঙ্খলা ও নিরাপত্তার প্রতীক হিসেবে বিবেচিত বাংলাদেশ পুলিশ। মাদক কারবারিদের বিরুদ্ধে পুলিশের কঠোর পথে শক্ত অবস্থানের বিষয়টিও খোলাসা করেছেন আইজিপি ড.বেনজীর আহমেদ।

পুলিশ সদর দপ্তরের উচ্চ পদস্থ কর্মকর্তারা বলছেন, জঙ্গিবাদ দমনের মতো মাদক নির্মূলেও সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়েছেন পুলিশ প্রধান। প্রথমেই মাদকের ‘বল্গাহীন’ পাগলা ঘোড়া বাগে আনতে চান। মাদকমুক্ত বাংলাদেশ গড়তে প্রধানমন্ত্রীর স্বপ্ন বাস্তবায়নেও নেতৃত্ব দিতে চান।

মাদকের বিরুদ্ধে নিজের ‘জিরো টলারেন্স’ নীতির কথা জানিয়েছেন আবার নিজ বাহিনী বা আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরাও মাদক ব্যবসার সঙ্গে জড়িত হলে তাদের বিরুদ্ধেও কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণের সতর্ক সঙ্কেত দিয়েছেন ড.বেনজীর।

বলেছেন, ‘কোন পুলিশ সদস্য মাদকের সাথে অথবা মাদক ব্যবসার সাথে সম্পর্কযুক্ত থাকলে তার বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। আমরা মাদকের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করে দেশকে এমন একটি অবস্থানে নিয়ে যেতে চাই যাই; যাতে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী বাংলাদেশকে একটি মাদকমুক্ত দেশ হিসেবে ঘোষণা দিতে পারেন।’

শাসন ও সোহাগের সমন্বয় করে নিজ বাহিনীর উর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের এগিয়ে যেতেও উৎসাহ দিয়েছেন তারুণ্য ও প্রাজ্ঞতায় উজ্জ্বল পুলিশের এই আইজি।

পেশাদার, প্রাগ্রসরতা, শ্রেষ্ঠত্ব ও কমিটমেন্টের অধিকারী এই বাহিনী প্রধান ভালো কাজে স্বীকৃতি আর মন্দ কাজে কঠোর হতে স্পষ্ট নির্দেশনা দিয়েছেন।

নিজ বাহিনীর সদস্যদের শৃঙ্খলা ভঙ্গের বিষয়ে কোন রকম শৈথিল্য না দেখানোর বিষয়টিও নিশ্চিত করেছেন। পুলিশ প্রধান জানিয়ে দিয়েছেন, ‘কোন পুলিশ সদস্যের ব্যক্তিগত অপরাধের দায়ভার তাকেই বহন করতে হবে।’

প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে উন্নত দেশের পুলিশ
ইতিহাসের মহানায়ক, আবহমান বাংলা ও বাঙালির চির আরাধ্য পুরুষ, স্বাধীন দেশের স্থপতি জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বপ্নের বাংলাদেশ বিনির্মাণে জনবান্ধব পুলিশিং’র পথেই হাঁটছে বাংলাদেশ।

পুলিশের সার্বিক সক্ষমতা বৃদ্ধি ও সর্বোপরি পুলিশকে জনবান্ধব করতে কার্যকর উদ্যোগ গ্রহণ করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ফলে আগের পুলিশ আর এখনকার পুলিশের মধ্যে অনেক পার্থক্য।

পুলিশ ও জনগণের মধ্যে বৈরিতা বা দূরত্ব কমছে ক্রমশ। করোনাকালীন সময়ে পুলিশের সেবার মানসিকতা অভূতপূর্ব নজির স্থাপন করেছে।

পুলিশকে মানুষের প্রথম ভরসাস্থল হিসেবে গড়ে তোলার মিশন নেওয়া, অভিজ্ঞতায় ঋদ্ধ পুলিশের সর্বোচ্চ কর্মকর্তা ড.বেনজীর আহমেদ বলেন, ‘রূপকল্প- ২০২১ ও ২০৪১ বাস্তবায়নের মাধ্যমে বাংলাদেশকে ২০৪১ সালের মধ্যে উন্নত দেশে পরিণত করার লক্ষ্য নিয়ে নিরলস কাজ করছেন মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

উন্নয়নের এ অভিযাত্রায় শামিল হয়ে বাংলাদেশ পুলিশকেও উন্নত দেশের উপযোগী পুলিশ হতে হবে। বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের বাস্তবায়ন এবং মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর সকল প্রচেষ্টার ঐকতানে আমরা যেভাবে কাজ করছি, তা অব্যাহত থাকলে ২০৪১ সালে এক সমৃদ্ধ বাংলাদেশ বিনির্মানের অন্যতম অংশীদার হবে বাংলাদেশ পুলিশ।’

কী বলছেন মাঠ পর্যায়ের পুলিশ কর্মকর্তারা?
পুলিশ মহাপরিদর্শকের কঠোর নির্দেশনার বিষয়ে গাজীপুর জেলা পুলিশ সুপার (এসপি) শামসুন্নাহার কালের আলোকে বলেন, ‘মাননীয় পুলিশ প্রধান দুর্নীতিমুক্ত পুলিশ প্রশাসন গড়ার অঈীকার করেছেন। মাদকের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্সের ভিত্তিতে কাজ করতে বলেছেন।’

তিনি বলেন, ‘মাননীয় আইজিপি মহোদয়ের নির্দেশনার পরপরই আমার জেলার উর্ধ্বতন পুলিশ কর্মকর্তাদের সঈে বসেছি। পূর্ণোদ্যমে স্যারের নির্দেশনা বাস্তবায়নের বিষয়ে আমরা কঠোরভাবে কাজ শুরু করেছি। ইনশাআল্লাহ স্যারের যোগ্য অভিভাবকত্ব ও দিকনির্দেশনায় তৃণমূল পর্যায়েও পুলিশের উজ্জ্বল ভাবমূর্তি বিনির্মাণ করতে আমরা সক্ষম হবো।’

একই বিষয়ে ময়মনসিংহ জেলা পুলিশ সুপার (এসপি) আহমার উজ্জামান কালের আলোকে বলেন, ‘মাননীয় আইজিপি মহোদয় আমাদের নির্দেশনা দিয়েছেন। এই নির্দেশনা বাস্তবায়নে আমরা প্রস্তুত। মাননীয় পুলিশ প্রধানের নির্দেশনা আমরা হৃদয়ঈম করেছি। এ নির্দেশনা মেনে সব সময় আইজিপি স্যারের সঈে আছি।’

কালের আলো/আরআইএ/এমএএএমকে