কোটা আন্দোলনের নেতা ফারুক হাসানসহ ৩ জন কারাগারে
প্রকাশিতঃ 6:26 pm | July 03, 2018
নিজস্ব প্রতিবেদক, কালের আলো:
কোটা সংস্কার আন্দোলনকারীদের সংগঠনের সাধারণ ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদের যুগ্ম আহ্বায়ক ফারুক হাসানসহ তিনজনকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন আদালত।
এছাড়া, তরিকুল ইসলাম ও জসিম উদ্দিন নামের আরও দুইজনকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের বাসভবনে হামলার অভিযোগে করা দুই মামলায় তাদের গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে।
মঙ্গলবার ঢাকার মহানগর হাকিম সুব্রত ঘোষ শুভ এ আদেশ দেন।
ঢাকার অপরাধ, তথ্য ও প্রসিকিউশন বিভাগের উপকমিশনার আনিসুর রহমান এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
তিনি জানান, আজ ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিমের আদালতে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ডিবি পুলিশের পরিদর্শক বাহাউদ্দীন ফারুকী কোটা আন্দোলনের নেতা ফারুক হাসানসহ তিনজনকে হাজির করে কারাগারে আটক রাখার আবেদন করেন। সে আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে বিচারক আসামিদের কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
আদালতের সাধারণ নিবন্ধন কর্মকর্তা (জিআরও) মাহমুদুর রহমান জানান, গতকাল রাজধানীর বিভিন্ন এলাকা থেকে আসামিদের গ্রেপ্তার করা হয়।
সোমবার শহীদ মিনার চত্বর থেকে ছাত্রলীগের কর্মীরা তাকে মোটর সাইকেলে করে তুলে নিয়ে গেছে বলে অভিযোগ করেন আন্দোলনকারীরা। তবে তারপর থেকেই ফারুকের কোনো খোঁজ পাওয়া যায়নি। তার স্বজন ও সহপাঠীরা বিভিন্ন স্থানে খোঁজ করেও তার হদিস পাননি।
শাহবাগ থানার পুলিশও তার গ্রেপ্তারের বিষয়টি নিশ্চিত করেনি মঙ্গলবার বিকেল পর্যন্ত। তারা বলেছিলেন, ওই নামে কেউ গ্রেপ্তার নেই তাদের কাছে। তবে শেষ পর্যন্ত তাকে গ্রেপ্তার দেখানো হলো।
ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) উপকমিশনার (মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেশন) মাসুদুর রহমান বিষয়টি গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেছেন।
সোমবার কোটা সংস্কার আন্দোলনকারীরা কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার চত্বরে জড়ো হতে গেলে ছাত্রলীগের কর্মীরা হামলা চালান। তাদের কিল, ঘুষি, লাথি মেরে ছত্রভঙ্গ করে দেওয়া হয়। এতে বেশ কয়েকজন আহত হন। এ সময় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা বিভাগের শিক্ষার্থী ফারুক হোসেনকে মোটরসাইকেলে করে তুলে শাহবাগ থানায় নিয়ে যান ছাত্রলীগের আল আমিন নামের এক কর্মী।
মামলার নথি থেকে জানা যায়, গত ৮ এপ্রিল রাতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় কোটা সংস্কার আন্দোলনের সময় পুলিশকে মারধর, কর্তব্যকাজে বাধা, পুলিশের ওয়াকিটকি ছিনতাই ও উপাচার্যের বাড়ি ভাঙচুরের ঘটনা ঘটে।
এ ঘটনায় শাহবাগ থানায় পুলিশ বাদী হয়ে চারটি মামলা করে। এসব মামলার মধ্যে উপাচার্যের বাড়ি ভাঙচুর ও পুলিশের কর্তব্যকাজে বাধার ঘটনায় দায়ের করা দুই মামলায় চারজনকে আটক করা হয়েছে। তাঁদের রিমান্ড শেষে এখন কারাগারে আটক রাখা হয়েছে। আসামিরা হলেন রাকিবুল হাসান, আলী হোসেন শেখ, মাসুদ আলম ও আবু সাঈদ ফজলে রাব্বি। এ ছাড়া মশিউর রহমান নামের আরেক আসামিকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
কালের আলো/ওএইচ