‘অঙ্গীকার’ আইজিপির নির্দেশনা বাস্তবায়ন; ঐকান্তিক মিলনের শপথে ডিএমপি কমিশনার
প্রকাশিতঃ 10:03 pm | July 04, 2020
বিশেষ সংবাদদাতা, কালের আলো :
ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) বিশেষ অপরাধ ও আইন শৃঙ্খলা সভা। এ সভায় ৫ দফা জরুরি গুরুত্বপূর্ণ নীতি আবারও সামনে এনেছেন পুলিশ প্রধান ড.বেনজীর আহমেদ, বিপিএম (বার)।
আরও পড়ুন: তদবির নয়; বদলী হবে নিয়মতান্ত্রিক উপায়ে : আইজিপি
প্রযুক্তিনির্ভর, আধুনিক ও স্মার্ট পুলিশ গড়ার এ কারিগরের মুখ থেকেই নিজেদের পরিবর্তনের ‘গাইড লাইন’ পেয়েছেন ডিএমপির থানার অফিসার ইনচার্জ থেকে উর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।
নিজেদের সর্বোচ্চ কর্মকর্তার কাছ থেকেই প্রাপ্ত প্রতিটি নির্দেশনা অক্ষরে অক্ষরে মেনে চলার অঙ্গীকারও করেছেন মহানগর পুলিশের দায়িত্বশীলরা।
আরও পড়ুন: আইজিপির সঙ্গে ওসিদের ‘ওয়ান টু ওয়ান’; পুলিশের ইতিহাসে অভূতপূর্ব এক উদ্যোগ (ভিডিও)
গুরুত্বপূর্ণ এ সভাতেই নিজের চেনা ছন্দেই কথা বলেছেন ডিএমপি কমিশনার মোহা: শফিকুল ইসলাম বিপিএম (বার)। আন্তরিকভাবে মানুষকে সেবা দেওয়ার পরও কেন পুলিশ কাঙ্খিত জায়গায় পৌঁছাতে পারছে না তার ময়না তদন্তও করেছেন রাজধানীর এই পুলিশ প্রধান।
ডিএমপির প্রতিটি থানার অফিসার ইনচার্জদের জবাবদিহিতার আওতায় আনার বিষয়টি নিশ্চিত করার ঘোষণা দিয়েছেন।
স্পষ্ট ভাষায় জানিয়ে দিয়েছেন কোন মাদক ব্যবসায়ী সংশ্লিষ্ট থানা এলাকায় মাদক কারবার পরিচালনা করলে সেই অফিসার ইনচার্জের শেষ রক্ষা হবে না। এই ব্যর্থতার জেরে তাকে থানার দায়িত্ব থেকেও সরিয়ে দেওয়া হবে।
মহানগর পুলিশে চিরায়ত প্রথা ভেঙে দুর্নীতি ও মাদকের বিরুদ্ধে বরাবরই উচ্চকন্ঠ মোহা: শফিকুল ইসলাম। ফলশ্রুতিতে তার এ কঠিন বার্তা মাদক কারবারের সঙ্গে সম্পৃক্ত পুলিশ সদস্যদের জন্য দূরবর্তী সতর্ক সংকেতই হিসেবেই দেখা হচ্ছে।
শনিবার (৪ জুলাই) দুপুরে রাজারবাগ বাংলাদেশ পুলিশ অডিটরিয়ামে ডিএমপির বিশেষ অপরাধ ও আইন শৃঙ্খলা সভায় পুলিশ মহাপরিদর্শক (আইজিপি) ড.বেনজীর আহমেদের উপস্থিতিতেই, তার নির্দেশনা আক্ষরিক অর্থেই বাস্তবায়নে চিরায়ত পুলিশিং’র আঁধার তাড়িয়ে মাদক ও দুর্নীতির বিরুদ্ধে টিম ডিএমপিকে যেন ঐকান্তিক মিলনের শপথেই এক সুতোয় গেঁথেছেন ডিএমপি প্রধান।
বিবর্ণহীনতার অদৃশ্য চাদর সরিয়ে জীবনের খেরোখাতার পাতা উল্টিয়ে সম্মুখসমরে আলোর পথের যোদ্ধা হিসেবেই নিজেদের উপস্থাপনের তাগিদও দিয়েছেন।
ডিএমপি কমিশনার মোহা: শফিকুল ইসলাম বলেছেন, ‘মাননীয় আইজিপি মহোদয় ৫টি গুরুত্বপূর্ণ নীতি ঘোষণা করেছেন। এসব নীতি আমাদের বাস্তবায়ন করতে হবে। আমি নিজেই পরিবর্তন হতে চাই এই বোধটি নিজের মধ্যে আনতে হবে।’
আইজিপি ড.বেনজীর আহমেদের নির্দেশনা বাস্তবায়নকে নিতে হবে ইবাদতের অংশ হিসেবে, সবার মস্তিষ্কে এ বিষয়টিও স্থায়ীভাবে গেঁথে দিতেই উচ্চারণ করেছেন, ‘আমি রাজা ও জনগণ প্রজা এমন মানসিকতা বহন করা যাবে না।
এই পরিবর্তনের সাথে যারা থাকতে পারবেন না তারা দায়িত্বে থাকতে পারবেন না। আমরা ভেতর থেকে পরিবর্তন হয়ে জনবান্ধব পুলিশ হতে চাই।’
করোনাকালে নিজেদের ধারাবাহিক কর্মযজ্ঞে প্রজ্বলিত মানবিক পুলিশের মশাল হাতে নিয়ে আপন মহিমায় পথ চলে পুরো বিশ্বকে নিজেদের সক্ষমতার কথা জানান দিয়েছে ‘জনতার পুলিশ’।
‘এই করোনাকালে আমরা দেখিয়েছি মানুষের কাছে কিভাবে যেতে হয়, তাদের কাছ থেকে কিভাবে সম্মান নিতে হয়। শুধু মাদক ব্যবসায়ীকে ধরলে মাদক নিয়ন্ত্রণ করা যাবে না। এক্ষেত্রে মাদকসেবীদের সাজা ও চিকিৎসার আওতায় আনতে হবে।’
ডিএমপি কমিশনার আরও বলেন, ‘প্রতিটি থানার ওসির কাছ থেকে বুঝে নিব আপনার থানায় মাদক নির্মূলে কতটা সফল হয়েছেন। মাদক ব্যবসায়ী ব্যবসা করলে আপনি থানায় থাকতে পারবেন না। মাদক থেকে যুব সমাজকে রক্ষা করতে না পারলে দেশের উন্নয়ন ঠিক থাকবে না।’
সভায় ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার, যুগ্ম পুলিশ কমিশনার, উপ-পুলিশ কমিশনার, জোনাল এডিসি-এসি ও থানার অফিসার ইনচার্জরা উপস্থিত ছিলেন।
কালের আলো/এপি/এমএএএমকে