গণতন্ত্র ও গণমাধ্যম হাতের এপিঠ-ওপিঠ: তথ্যমন্ত্রী

প্রকাশিতঃ 12:24 am | July 13, 2018

নিজস্ব প্রতিবেদক, কালের আলো:

গণমাধ্যম রাষ্ট্র ও সমাজের প্রহরী হিসেবে কাজ করে জানিয়ে তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু বলেছেন, গণতন্ত্র ও গণমাধ্যম হাতের এপিঠ-ওপিঠ।

তিনি বলেন, গণতন্ত্রকে বিকশিত করতে গণমাধ্যমের ভূমিকা অপরিসীম। এছাড়া তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি ব্যবহারের ফলে সমগ্র সমাজটি একটি ঝকঝকে কাচের ঘরে রুপান্তরিত হচ্ছে, যা রাষ্ট্রের স্বচ্ছতাকে নিশ্চিত করছে।

বৃহস্পতিবার দুপুরে রাজধানীর ইনস্টিটিউশন অব ডিপ্লোমা ইঞ্জিনীয়ার্স, বাংলাদেশ (আইডিইবি) মিলনায়তনে বাংলাদেশ প্রেস ইনস্টিটিউট (পিআইবি) এবং একসেস টু ইনফরমেশন (এটুআই) প্রোগ্রামের যৌথ উদ্যোগে বাংলাদেশে প্রথমবারের মতো অনলাইনের সাংবাদিকতা শেখার ই-লার্নিং কার্যক্রমে উত্তীর্ণ শিক্ষার্থীদের সনদ প্রদান অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তথ্যমন্ত্রী এসব কথা বলেন।

অনলাইনে সাংবাদিকতা প্রশিক্ষণের ভূয়সী প্রশংসা করে মন্ত্রী বলেন, অনলাইনে চার মাস ধরে সাংবাদিকতাবিষয়ক প্রশিক্ষণ দেয়া যে সম্ভব, তা আমাকে মুগ্ধ করেছে। অনলাইনে সাংবাদিকতা শিক্ষা সরবরাহের জন্য পিআইবি ও এটুআই প্রোগ্রামের এ প্রচেষ্টা অভাবনীয়। এর ফলে সাংবাদিকতা শিল্পে দক্ষ কর্মীর সংখ্যা বাড়বে। এছাড়া দেশের অসংখ্য তরুণ এ ধরণের কোর্সে অংশগ্রহনের মধ্যে দিয়ে নিজেদের দক্ষতা বাড়াতে পারবেন।

সমকাল সম্পাদক ও পিআইবি পরিচালনা বোর্ডের চেয়ারম্যান গোলাম সারওয়ারের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন- পিআইবি মহাপরিচালক মো. শাহ আলমগীর, একসেস টু ইনফরমেশন প্রোগ্রামের পলিসি স্পেশালিস্ট আফজাল হোসেন সারওয়ার ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের অধ্যাপক জনাব মফিজুর রহমান।

সমকাল সম্পাদক ও পিআইবি পরিচালনা বোর্ডের চেয়ারম্যান গোলাম সারওয়ার সভাপ্রধানের বক্তব্যে অনলাইনে সাংবাদিকতা শিক্ষাকে গুরুত্বপূর্ণ অবিহিত করে বলেন, অনলাইনের মাধ্যমে প্রতন্ত অঞ্চলে সাংবাদিকতার জ্ঞান বিকশিত করার মাধ্যমে দেশের সাংবাদিকতা শিল্প এগিয়ে যাবে, সমৃদ্ধ হবে।

স্বাগত বক্তব্যে পিআইবি মহাপরিচালক মো. শাহ আলমগীর বলেন, দেশে সাংবাদিকতাবিষয়ক প্রশিক্ষণের যে চাহিদা, তা পূরণ করতে হলে অনলাইনে প্রশিক্ষণ সেবা সরবরাহের বিকল্প নেই। হলুদ সাংবাদিকতার চর্চা থেকে বেরিয়ে আসতে হলে সাংবাদিকতা বিষয়ক প্রশিক্ষণের বিকল্প নেই।

পরে প্রশিক্ষণে উত্তীর্ণদের মধ্যে আমন্ত্রিত ৪ শ শিক্ষার্থীর হাতে সনদ তুলে দেয়া হয়।

কালের আলো/ওএইচ