দুর্নীতির সঙ্গে এক মিনিটও থাকতে চাই না : স্বাস্থ্য সচিব

প্রকাশিতঃ 9:56 am | July 14, 2020

নিজস্ব প্রতিবেদক, কালের আলো:

স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের সচিব আব্দুল মান্নান বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সবসময় বলেছেন এদেশে দুর্নীতির কোনো স্থান নেই। দুর্নীতি দমন কমিশনও এ নিয়ে কাজ করছে। আমরা দুর্নীতির কোনো জায়গাই ছাড়তে চাচ্ছি না। আমি এক দিন, এক ঘণ্টা, এক মিনিটও দুর্নীতির সঙ্গে থাকতে চাই না।

সোমবার (১৩ জুলাই) দুপুরে নারায়ণগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালে জেলা স্বাস্থ্য বিভাগ ও জেলার স্বাস্থ্যকর্মীদের সঙ্গে মতবিনিময় অনুষ্ঠানে যোগ দেওয়ার আগে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন স্বাস্থ্য সচিব।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন- স্বাস্থ্য বিভাগের যুগ্ম সচিব উম্মে সালমা তানজিয়া, জেলা প্রশাসক জসিম উদ্দিন চৌধুরী, জেলা সিভিল সার্জন ডা. মোহাম্মদ ইমতিয়াজ, নারায়ণগঞ্জ ৩০০ শয্যা করোনা হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. গৌতম রায়, সদর উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. জাহিদুল ইসলাম জাহিদ, আড়াইহাজার উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. সায়মা আফরোজ ইভা প্রমুখ।

গণমাধ্যমই আমাদের ভরসা উল্লেখ করে তিনি বলেন, “তথ্য পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই আমরা অ্যাকশন নিচ্ছি। আমরা চাই না কোথাও দুর্নীতি হোক। সবচেয়ে বড় কথা সত্য যেন বের হয়ে আসে। আমরা সত্যের সঙ্গে থাকতে চাই। অনেক সময় তথ্য উপাত্ত পেতে অনেক দেরি হয়, সেটি আপনাদের কাছে থাকলে আমাদের জানাবেন। শুধু ঢাকা নয়, নারায়ণগঞ্জেও যদি এমন কোনো তথ্য থাকে আমাদের জানান। আমাদের কাছে তথ্য প্রমাণ আসার সঙ্গে সঙ্গে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”

স্বাস্থ্য সচিব আরও বলেন, “নারায়ণগঞ্জ করোনার শুরু থেকে হটস্পটে পরিণত হয়েছিল। নারায়ণগঞ্জ এখন একটা পর্যায়ে এসেছে। এখানে যারা স্বাস্থ্যসেবা ও করোনা নিয়ে কাজ করছেন তাদের সঙ্গে বিভিন্ন বিষয়ে কথা বলতে আজ এখানে এসেছি। ডাক্তাররা ফ্রন্টলাইন যোদ্ধা তাই তাদের কাছে এসেছি তাদের কথা শুনতে। তাদের কাছ থেকেই আমি জানবো সমস্যাগুলো কোথায়, যাতে মানুষ সেবা পায় এবং জনগণের সেবা নিশ্চিত করা যায়।অনেক গণ্যমান্য ব্যক্তি কোভিড হাসপাতালের বাইরে দিয়েও যায় না অথচ আমাদের ডাক্তাররা জীবনকে হাতের মুঠোয় নিয়ে কাজ করছেন তাই তাদের প্রণোদনার ব্যাপারটি দেখা হচ্ছে।”

স্বাস্থ্য সচিব বলেন, রোগী কেন দিন দিন কমে যাচ্ছে সেটি আমরা দেখবো।

করোনাভাইরাসের নমুনা পরীক্ষা নিয়ে দুর্নীতিবাজদের ছাড় দেওয়া হবে না উল্লেখ করে আব্দুল মান্নান বলেন, করোনায় আমার স্ত্রীকে হারিয়েছি। তার সঙ্গে শেষ সময় পর্যন্ত হাসপাতালে থাকলেও পরে ২ বার পরীক্ষা করানোর পরও আমার বড় ছেলের করোনা নেগেটিভ আসে। সন্দেহ হওয়ায় তৃতীয়বার পরীক্ষা করা হয়। তখন তার করোনা পজিটিভ পাওয়া যায়। ফলে টেস্ট নিয়ে আমাদের হতাশা আছে। করোনা নেগেটিভের রিপোর্ট ফলস হতে পারে, কিন্তু পজিটিভ মানে পজিটিভ।

এর মধ্যে দুর্বৃত্তরা আবার কোনো টেস্ট না করেই বলছে নেগেটিভ। তাদের কোনো রেহাই নাই। এই রিজেন্টের মতো, জেকেজির মতো আরো অনেকেই আছে। এইসব দুর্বৃত্তরা বিদেশেও লোক পাঠিয়ে দিচ্ছে মানুষকে ফলস করোনা সার্টিফিকেট দিয়ে। আমরা এসব ব্যাপারে অনুসন্ধান করছি, কাউকেই ছাড়বো না।

কালের আলো/এসবি/এমএইচএ