র্যাবকে জড়িয়ে হাসান সারওয়ার্দী চক্রের ‘অপপ্রচার’, নেতৃত্বে ড.কামালের জামাতা!
প্রকাশিতঃ 11:49 am | July 18, 2020
নিজস্ব প্রতিবেদক, কালের আলো :
‘চোরের মন পুলিশ পুলিশ’ প্রবাদ বাক্যের মতোই আগাম সতর্কতা হিসেবে এলিট ফোর্স হিসেবে পরিচিত র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নকে (র্যাব) জড়িয়ে এখন অপপ্রচারে নেমে পড়েছেন।
আরও পড়ুন: এবার নিজেই ‘ফাউল’ খেলছেন সেই চৌধুরী হাসান সারওয়ার্দী!
রাতারাতি লাইম লাইটে আসতেই জনমনে বিভ্রান্তি তৈরির নতুন নতুন অপকৌশল গ্রহণ করেছেন নারী কেলেঙ্কারী এবং সেনা শৃঙ্খলা ভঙ্গের দায়ে দেশের সব সেনানিবাসে ‘অবাঞ্চিত’ বিতর্কিত সাবেক সেনা কর্মকর্তা চৌধুরী হাসান সারওয়ার্দী।
আর এসব অপকর্মে নেতৃত্ব দিচ্ছেন ঐক্যফ্রন্টের সমন্বয়ক ডা: কামালের মেয়ের জামাতা ও যুদ্ধাপরাধীদের আইনজীবী ডেভিড বার্গম্যান।
একবার আদালত অবমাননার অভিযোগে কুখ্যাত এ ব্যক্তিকে আর্থিক জরিমানাও করেছিল আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্র্যাইব্যুনাল।
আরও পড়ুন: সেনানিবাসে ‘অবাঞ্চিত’ হওয়ার ‘তথ্য গোপন’; নাটকের অবতারণা চৌধুরী হাসান সারওয়ার্দী’র!
সুইডেন ভিত্তিক বিতর্কিত অনলাইন গণমাধ্যম নেত্র নিউজের ইংরেজি সংস্করণের সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন এ বার্গম্যান। নেত্র নিউজের টুইটার পেইজে সেনাবাহিনীকে নিয়ে তারা গোয়েবলসীয় কায়দায় মিথ্যাচারে অবতীর্ণ হয়েছেন।
সেখানে তারা স্ট্যাটাসের আদলে লিখেছেন- ‘সেনাপ্রধান জেনারেল আজিজ আহমেদ অবসরপ্রাপ্ত লেফটেন্যান্ট জেনারেল চৌধুরী হাসান সারওয়ার্দীকে তুলে আনতে র্যাব-১’কে নির্দেশ দিয়েছেন।’
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এমন ডাহা মিথ্যাচারের বিষয়টি নজরে এসেছে র্যাবেরও।
র্যাবের উর্ধ্বতন দায়িত্বশীল সূত্র শুক্রবার (১৭ জুলাই) রাত সোয়া ১১ টার দিকে কালের আলো’র সঙ্গে আলাপে নেত্র নিউজের এমন বক্তব্যকে শতভাগ মিথ্যা ও প্রপাগান্ডা হিসেবেই উল্লেখ করেছেন।
আরও পড়ুন: ‘নায়ক’ থেকে ঘৃণ্য ‘খলনায়ক’ চৌধুরী হাসান সারওয়ার্দীর ‘চিত্রনাট্য’
র্যাব সূত্র বলছে, ‘চৌধুরী হাসান সারওয়ার্দী কেন, কোন বিষয়েই এ যাবতকালে কখনও কোন নির্দেশনা প্রদান করেননি সেনাপ্রধান বা সেনাবাহিনীর দায়িত্বশীল কেউ।
এগুলো ওই চক্রটির ধারাবাহিক চক্রান্তেরই একটি অংশ। তবে এ চক্রের মতিগতি নজরে রাখা হচ্ছে।’
জানা যায়, সম্প্রতি রাষ্ট্রদ্রোহ মামলার পলাতক এক আসামির উপস্থাপনায় একটি অখ্যাত অনলাইন ইউটিউব চ্যানেলে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ভোট, প্রধানমন্ত্রী, সেনাবাহিনী, গোয়েন্দা সংস্থা, সেনাপ্রধান, গণতন্ত্র ও বাক স্বাধীনতাসহ বিভিন্ন বিষয়ে ঢালাও মিথ্যাচার করেছেন অবসরপ্রাপ্ত লেফটেন্যান্ট জেনারেল চৌধুরী হাসান সারওয়ার্দী।
মূলত নিজের নৈতিক স্খলনের দায়েই দেশের প্রতিটি সেনানিবাসেই প্রায় দেড় বছর আগে তাকে ‘অবাঞ্চিত’ ঘোষণা করে সেনাসদর দপ্তর।
নিজের নারী লোভী মানসিকতাকে আড়াল করে গরম গরম বুলি আওড়ে ইদানিং আলোচনায় আসার প্রয়াস নিয়েছেন অবসরপ্রাপ্ত এ সেনা কর্মকর্তা।
সেনাপ্রধান হওয়ার তার যে স্বপ্ন ছিল তার স্পষ্ট প্রমাণ রয়েছে তার বর্তমান স্ত্রীর আলোচিত-সমালোচিত বান্ধবীর সঙ্গে ফোনালাপে।
কিন্তু বাহিনী প্রধান হতে না পারায় এখনও মানসিক যন্ত্রণায় ভুগছেন চৌধুরী হাসান। নিজের অপকর্মের বিষয়টি গোপন করেই ৪০ বছর চাকরি করে অবসরে যাওয়া বাহিনীটির বিরুদ্ধেই যেন উঠেপড়ে লেগেছেন বিএনপি-জামায়াত জোটের শাসনামলে অনেক প্রমোশন বাগিয়ে নেওয়া এ ধুরন্ধর কর্মকর্তা।
অনেকেই বলছেন, সরকার ও সেনাবাহিনীসহ রাষ্ট্রের প্রতিটি গুরুত্বপূর্ণ ও দায়িত্বশীল সংস্থা নিয়ে যেভাবে চৌধুরী হাসান সারওয়ার্দী মুখে মিথ্যার খই ফুটিয়েছেন সেই অপরাধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে ফেঁসে যেতেও পারেন।
আর এ কারণেই আগাম সতর্কতা হিসেবে র্যাবকে জড়িয়ে চরম অপপ্রচারে নেমে পড়েছেন।
সূত্র মতে, র্যাব গোয়েন্দারা চৌধুরী হাসান সারওয়ার্দীর সব রকমের অপকৌশলই নজরে রাখছে। তবে তাকে তুলে আনতে র্যাবকে সেনাপ্রধানের নির্দেশনার বক্তব্যটি সর্বৈব মিথ্যা, বানোয়াট ও উদ্দেশ্যপ্রণোদিত।
মূলত ঘোলা পানিতে মাছ শিকার করতেই এমন নতুন ফন্দি ফিকির করে বেড়াচ্ছেন বহু নারীর সাথে অনৈতিক সম্পর্ক রাখা ‘সেনাবাহিনীর কলঙ্ক’ অবসরপ্রাপ্ত এই সেনা কর্মকর্তা।
কালের আলো/আরএম/এমএইচ