ফারজানা ব্রাউনিয়ার চোখে ‘ফেরেশতা’ সারওয়ার্দীর এ কী কুৎসিত চেহারা!

প্রকাশিতঃ 8:30 am | July 27, 2020

নিজস্ব প্রতিবেদক, কালের আলো :

এক সময়কার ‘গ্ল্যামার গার্ল’ ফারজানা ব্রাউনিয়া বিয়ে করেছেন বিতর্কিত সাবেক সেনা কর্মকর্তা চৌধুরী হাসান সারওয়ার্দীকে।

আরও পড়ুনঃ সিনহার টোপেই ‘ফ্রন্টলাইনে’ সারওয়ার্দী, ভেস্তে গেছে সরকার উৎখাত ষড়যন্ত্রের ‘ছক’!

নিজের স্বামীকে বরাবরই চরিত্রবান পুরুষ মনে করেন। এমনকি স্বামীর প্রশংসায় পঞ্চমুখ হয়ে গলাবাজিও করেছেন কথিত অনলাইন টকশোতে।

কিন্তু বিভিন্ন সোশ্যাল মিডিয়ায় বা ইউটিউবে ঘুরে বেড়াচ্ছে একাধিক নারীর সঙ্গে তাঁর ‘গুণধর’ স্বামীর মুখরোচক নানা ফোনালাপ। ফাঁস হওয়া এসব ফোনালাপে অসুস্থ, অশালীন, যৌন উত্তেজক ও রুচিহীন কথাবার্তা ঠাঁই করে নিয়েছে।

ফলে ফারজানার চোখে ‘ফেরেশতা’ স্বামীর এমন কুৎসিত চেহারা জনসম্মুখে প্রকাশ পাওয়ায় রীতিমতো ট্রল চলছে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে। একই মাধ্যমে তোপ দাগছেন চেনা-অচেনা সবাই।

আরও পড়ুন: ‘নায়ক’ থেকে ঘৃণ্য ‘খলনায়ক’ চৌধুরী হাসান সারওয়ার্দীর ‘চিত্রনাট্য’

অবশ্য বেগতিক পরিস্থিতিতে মুখে কুলুপ এঁটেছেন একটি টেলিভিশন চ্যানেলের সাবেক এ উপস্থাপক।

জানা যায়, বিএনপি-জামায়াত ও যুদ্ধাপরাধী গোষ্ঠীর মদদে রাতারাতি ‘তারকা’ বনে যেতে সম্প্রতি সোশ্যাল মিডিয়ায় নিজের ৪০ বছরের কর্মজীবনের সেনাবাহিনী, দেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব নিয়ে মনগড়া কথাবার্তা বলেছেন সাবেক লেফটেন্যান্ট জেনারেল চৌধুরী হাসান সারওয়ার্দী।

কিন্তু বিএনপি-জামায়াত চক্রের সাজানো গল্পে প্রধান চরিত্রে তাঁর অভিনয় ঘৃণাভরে প্রত্যাখান করে মহান মুক্তিযুদ্ধের সুমহান চেতনায় বিশ্বাসী সতের কোটির বাংলাদেশ।

আরও পড়ুন: এবার নিজেই ‘ফাউল’ খেলছেন সেই চৌধুরী হাসান সারওয়ার্দী

লোভী, ধিক্কৃত এ মহাপ্রতারকের পক্ষে সাফাই গাইতে পর পর দু’দিন দু’টি টকশোতে হাজির হন খোলামেলা পোশাকে বিভিন্ন সময়ে আলোচনায় আসা ফারজানা ব্রাউনিয়া।

কথিত দু’টি টকশোতেই নিজের বয়স্ক স্বামী সারওয়ার্দীর প্রশংসায় মুখে ফেনা তুলেন ব্রাউনিয়া। গুণকীর্তন করে বলতে থাকেন, ‘তিনি (চৌধুরী হাসান সারওয়ার্দী) একেবারেই নিষ্পাপ। আমারও অনেক ছেলে বন্ধু আছে।

আমি ৬৪ জেলা ঘুরেছি। এই ৬৪ জেলাতেই কোন না কোন পুরুষ আমার সঙ্গে ছিল। আমি তার স্ত্রী। তিনি মোটামুটি ফেরেশতা লেভেলের একজন মানুষ।’

আরও পড়ুন: র‌্যাবকে জড়িয়ে হাসান সারওয়ার্দী চক্রের ‘অপপ্রচার’, নেতৃত্বে ড.কামালের জামাতা!

আরও পড়ুন: সারওয়ার্দীর পথেই ব্রাউনিয়া, জঘন্য মিথ্যাচারে ভরপুর নরম-গরম নতুন ‘ছবক’

জানা যায়, ব্রাউনিয়ার এমন উক্তি প্রথমে অনেকের কাছে বিশ্বাসযোগ্য মনে হলেও পরবর্তীতে একাধিক নারীর সঙ্গে চৌধুরী হাসান সারওয়ার্দীর সেক্স কথপোকথন ফাঁস হওয়ার পর বেশিরভাগ মানুষ মুখ টিপে হাসছেন।

কেউ কেউ বলছেন, অভিনয় করতে গিয়ে ‘কট এন্ড বোল্ড’ হয়েছেন ফারজানা। তিনি নিজেও তাঁর স্বামীর চরিত্রের সাতকাহন সম্পর্কে ভালোই জানেন। এখন কী বলে মুখ রক্ষা করবেন?

কোন কোন সূত্র বলছে, সারওয়ার্দীর বিএনপি-জামায়াত প্রীতির নেপথ্য কারিগর ফারজানা। গোটা জীবনেই উচ্চভিলাষী এ নারীর প্রেমের ফাঁদে পড়েই তাঁর প্রেসক্রিপশনেই চাকরির শেষ সময়ের আগে থেকেই পথ চলতে শুরু করেন হাসান সারওয়ার্দী।

আরও পড়ুন: সেনানিবাসে ‘অবাঞ্চিত’ হওয়ার ‘তথ্য গোপন’; নাটকের অবতারণা চৌধুরী হাসান সারওয়ার্দী’র!

ক্ষমতার দিবা স্বপ্ন থেকেই ফারজানা যুক্তরাজ্যে পলাতক ও দন্ডিত বিএনপি’র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমানের এজেন্ডা বাস্তবায়নেই স্বামীকে রাজি করান। দুর্নীতির দায়ে অভিযুক্ত সাবেক প্রধান বিচারতি এস কে সিনহা’র সঙ্গে সখ্যতার ক্ষেত্রেও বড় ভূমিকা রয়েছে ফারজানার।

তারেকের তর্জনীতেই সরকার বিরোধী ষড়যন্ত্রের নতুন জাল বুনতে শুরু করেন সারওয়ার্দী। সেই মোতাবেক পলাতক আসামি কনক সারওয়ারের উপস্থাপনায় সরকার ও সামরিক বাহিনী নিয়ে নির্জলা মিথ্যাচার করে সরকার উৎখাতের আনুষ্ঠানিক ব্যর্থ ষড়যন্ত্রও করেন।

মূলত সারওয়ার্দীর সঙ্গে দেশ বিরোধী চক্রটির সম্পর্ক স্থাপিত হয় তাঁর লেফটেন্যান্ট জেনারেল পদের শেষভাগেই।

সূত্র জানায়, সেনাবাহিনীর কলঙ্ক চৌধুরী হাসান সারওয়ার্দীর বাস্তব জীবনেও বেঈমানিই তাঁর কাছে ধর্ম এবং নীতিহীনতাই তার কাছে নীতি।

আদতে একজন অসৎ চরিত্রহীন-লম্পট, নির্লজ্জ বেহায়া, বিশ্বাসঘাতক, প্রতারক চতুর মিথ্যুকের প্রতিকৃতি এই হাসান সারওয়ার্দী।

নাটক, সিনেমা কিংবা গল্পের চরিত্রগুলোকেও তিনি নিজের রুচিহীনতা ও কুচিন্তায় হার মানিয়েছেন। তাঁর অসুস্থ, অশালীন ও রুচিহীন কথাবার্তা চরম লজ্জা ও গ্লানিতে ডুবে থাকার মতোন।

কিন্তু বিকৃত যৌনচারে পারঙ্গম সারওয়ার্দী নিজের বহুল আলোচিত আবেদনময়ী উপস্থাপিকা স্ত্রীর প্রতি নিজের আকর্ষণ ক্রমশ হারাচ্ছেন।

ইউটিউবে ছড়িয়ে পড়া একাধিক ফোনালাপ থেকে স্পষ্ট হয়েছে আরও বহু নারীর সঙ্গে রোমান্স আর প্রেমলীলায় মজেছেন সারওয়ার্দী। প্রেমের মায়াজালের ছদ্মবেশে উদ্দাম যৌনতায় বিভোর হয়েছেন।

হয়তো এ কারণেই ফোনের অপরপ্রান্ত থেকে ওই নারী যখন দ্বিতীয় স্ত্রী’র প্রসঙ্গে সারওয়ার্দীকে প্রশ্ন করেন ঠিক এভাবে ‘বাচ্চা নিবা এই বউরে দিয়া?’ এ সময় সারওয়ার্দী প্রথমে বলেন, ‘দেখি।’ এরপর সরাসরি মুখের ওপর ‘না’ করে দেন।

সাবেক সেনা কর্মকর্তা চৌধুরী হাসান সারওয়ার্দীর এমন অসংখ্য নারীর সঙ্গে বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্ক রয়েছে। ২০১৮ সালের ১৬ আগস্ট প্রথম স্ত্রী ফারজানা নিগারকে তালাক দেওয়ার আগে থেকেই সেই উপস্থাপিকা’র সঙ্গে নিয়মিত ‘লিভ টুগেদার’ করতেন সারওয়ার্দী।

এই নারীর সঙ্গে দেশের ভেতর সাজেক রিসোর্ট বা খাগড়াছড়িতে অবকাশ যাপন যেমন করেছেন তেমনি ভারত, থাইল্যান্ড, আইসল্যান্ড, নরওয়েসহ বিভিন্ন দেশেও মধুর ও উপভোগ্যকর সময় কাটিয়েছেন।

এমন কথাও প্রচলিত আছে সেনাবাহিনীতে চাকরিকালে একই লিফটে সারওয়ার্দীর সঙ্গে উঠতে আপত্তি জানাতেন নারী সহকর্মী। তাঁর অশালীন, রুচিহীন ও বিকৃত মন-মানসিকতা সম্পর্কে ওয়াকিবহাল থাকায় সবাই সর্বোচ্চ সাবধানতা অবলম্বন করতেন।

সারওয়ার্দীর অশ্লীল ও বিকৃত মানসিকতার একাধিক ফোনালাপ ভাইরাল হয়েছে ইউটিউবে। সেই থেকেই স্পষ্ট মাছের মতোই পচন ধরেছে তাঁর মাথায়।

এই পচন তাঁর গোটা দেহে সংক্রমিত হচ্ছে। সেই সংক্রমণ থেকেই তিনি সীমাহীন সর্বগ্রাসী লোভের বিষে বিষাক্ত করতে চাইছেন দেশপ্রেমিক সেনাবাহিনীকে।

৪০ বছর সব রকমের সুযোগ সুবিধা নিয়ে চাকরি থেকে বিদায় নেওয়ার পর নিজ বাহিনীকে নিয়ে ঢালাও মিথ্যাচার করে দেশদ্রোহিতার বীভৎস চেহারায় হাজির হয়েছেন। কদর্য রুচির এই অশোভন মানুষটি নীতিহীন জীবনভোগেই যেন পরম গর্ব ও আনন্দ পান।

রসু খা, এরশাদ শিকদাররা ছিলেন সিরিয়াল কিলার। তাঁরা ধর্ষণের পর নারীদের হত্যা করতেন। নারীলিপ্সু চৌধুরী হাসান সারওয়ার্দীর স্টাইলটি অবশ্য ভিন্ন। একেবারেই নীরবে, নি:শব্দে যৌনতার সাগরে ডুবে ডুবে জল খেয়েছেন।

ফলে তাঁর নামটিও উচ্চারণের সঙ্গে সঙ্গেই মিলেমিশে একাকার হয়ে আসে বিস্ময়-আতঙ্ক। শতভাগ ভন্ড, চরিত্রহীনের মুখে সরকার, সেনাবাহিনী, গণতন্ত্র ও বাক স্বাধীনতা নিয়ে মিথ্যায় ভরপুর বেপরোয়া ঔদ্ধত্য প্রকারান্তরে জনে জনে জন্ম দিয়েছে প্রবল ধিক্কার, ক্ষোভ আর ঘৃণার।

কবির ভাষায় প্যারোডি করেই এখন সবাই বলছে ‘ধিক তারে শতধিক- নির্লজ্জ সারওয়ার্দী।’

কালের আলো/এনএল/এএএম