জাতীয় শোক দিবসে বশেফমুবিপ্রবি উপাচার্যের বাণী

প্রকাশিতঃ 3:16 pm | August 14, 2020

কালের আলো সংবাদদাতা:

জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান শাহাদাত বার্ষির্কীতে বাণী দিয়েছেন বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস-চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. সৈয়দ সামসুদ্দিন আহমেদ।

তিনি তার দেওয়া বাণীতে লিখেছেন, বাঙালির হাজার বছরের ইতিহাসে শ্রেষ্ঠতম পুরুষ, একটি স্বাধীন জাতিরাষ্ট্র হিসেবে অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশের জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। বাঙালির অবিসংবাদিত নেতা। মাত্র ৫৫ বছরের জীবনে স্বদেশের মাটি আর মানুষকে এমন এক গভীর ভালোবাসার বন্ধনে বেঁধেছিলেন, যা কোনোদিন ছিন্ন হবার নয়।

‘আজীবন ঔপনিবেশিক শোষণ-বঞ্চনার বিরুদ্ধে, দরিদ্র, নিপীড়িত ও বঞ্চিত মানুষের মুক্তির সংগ্রামে তিনি এমন এক অনন্য ভূমিকা রেখেছিলেন, যার তুলনা বিরল। একজন প্রকৃত নেতার গুণাবলী নিয়েই জন্মেছিলেন ক্ষণজন্মা এই মহাপুরুষ। তিনি রচনা করেছিলেন বাংলাদেশ রাষ্ট্রের বিজয় ইতিহাস।’

প্রফেসর ড. সৈয়দ সামসুদ্দিন আহমেদ বলেছেন, আমরা পেয়েছি লাল-সবুজে মহিমান্বিত জাতীয় পতাকা। কিন্তু পঁচাত্তরের ১৫ আগস্ট রাতের অন্ধকারে বাঙালি জাতির এই প্রাণপুরুষকে হত্যা করে ঘাতকদল সেদিন ইতিহাসের চাকাকে পেছনে ঘুরিয়ে দেয়ার অপচেষ্টা করেছিল। কিন্তু তারা সফল হতে পারেনি।

‘এ হত্যাকাণ্ডের বিচারের রায় ইতোমধ্যে বাংলার মাটিতে সম্পন্ন হয়েছে। ঘাতকদের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করার মধ্য দিয়ে জাতি আজ কিছুটা হলেও কলঙ্কমুক্ত। আমরা দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি- বিচারের রায় অনুযায়ী পলাতক অবশিষ্ট আসামিদেরও শাস্তি কার্যকর হবে।’

‘বাঙালির কাছে মুজিববর্ষ এক মাহেন্দ্রক্ষণ। বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর বলেছেন, মহামানব মুজিবের জন্মের শততমবর্ষ নতুন প্রজন্মের কাছে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের দেশপ্রেম, দেশ গড়ার সুদৃঢ় প্রত্যয়, জাতিকে সব দিক থেকে সমৃদ্ধির সোপানে এগিয়ে নেওয়ার ক্ষেত্রে চিন্তা চেতনা মননে যে তিনি অতন্দ্র প্রহরী ছিলেন সে দিকগুলো আরও সুন্দরভাবে পরিস্ফূট করে তোলার এক অনির্বচণীয় মুহূর্ত।’

তিনি আরও বলেন, বঙ্গবন্ধু আজীবন সংগ্রাম করেছেন একটি সুখী-সমৃদ্ধ, গণতান্ত্রিক ও অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে। সে লক্ষ্য বাস্তবায়ন করে চলেছেন তাঁর কন্যা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

‘শোকের এই দিনে আমাদেরও অঙ্গীকার হোক গণতান্ত্রিক, শোষণমুক্ত ও অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ গড়ে তোলা; যার স্বপ্ন জাতির পিতা দেখেছিলেন।

যে বাংলাদেশে স্বাধীনতার মূল চেতনা বাস্তবায়িত হবে এবং ধর্মগোত্র-নির্বিশেষে সব মানুষ সমান অধিকার ভোগ করবে। গণতন্ত্র ও সর্বস্তরে আইনের শাসন প্রতিষ্ঠার মধ্য দিয়েই গড়ে উঠবে একটি সুখী, সমৃদ্ধ ও উন্নত বাংলাদেশ।’

কালের আলো/এমএ/এমএম