বঙ্গবন্ধুর সঙ্গে ‘অমলিন স্মৃতি’; প্রতিনিয়ত ‘আপ্লুত’ বীর মুক্তিযোদ্ধা রফিকুল আলম
প্রকাশিতঃ 11:25 am | August 21, 2020
বিশেষ সংবাদদাতা, কালের আলো :
সাড়ে সাত কোটি বাঙালির অন্তরের আবেগ-স্বপ্নই কেবল ধারণ করেননি। নিজের সাহসী, দৃঢ়চেতা নেতৃত্ব ও বীরত্বপূর্ণ সংগ্রামে অনুপ্রাণিতও করেছিলেন বাঙালিকে। তাঁর সৃষ্টির ছোঁয়ায় মানচিত্র পেয়েছে বাঙালি।
উর্বর পলিতে তলিয়ে যাওয়া রক্ত নদীর প্রবাহ থেকে দিয়েছেন বাংলাদেশ নামক একটি স্বাধীন দেশ। বাঙালির মুক্তি সংগ্রামের অবিস্মরণীয় এই মহান নেতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান দেশের সীমানা ছাপিয়ে আলোকিত বিশ্বময়ও।
আরও পড়ুন: বঙ্গবন্ধুর সঙ্গে শৈশবের স্মরণীয় মধুর স্মৃতি
বাঙালি ও বাংলাদেশের হাজার বছরের কাঙ্খিত এই শ্রেষ্ঠ সন্তানের সঙ্গেই প্রায় ৬৭ বছর আগের আশ্চর্য অমলিন সুখস্মৃতি রীতিমতো ‘নষ্টালজিক’ করে তুলে একাত্তরের রণাঙ্গণের বীর সেনানী আলহাজ্ব এ কে এম রফিকুল আলমকে।
শৈশবে তাকে উদ্দেশ্য করে বাঙালি জাতির অবিসংবাদিত নেতা বঙ্গবন্ধুর স্নেহসিক্ত অম্লান উচ্চারণ ছিল এমন-‘ভাইটি কেমন আছ?’
মহামানবের সেই উক্তি যেন আজও প্রশান্তির ছায়ায় পরিপ্লুত করে রফিকুল আলমের মনকে। আবার বেদনাবিধুর কালো রাতের ঘৃণ্য নৃশংসতা হা-হা করে তুলে তাঁর হৃদয়কেও।
আবেগময় স্বর্ণালী সেই স্মৃতি
গোপালগঞ্জের যে মাটিতে শতবর্ষ আগে জন্মেছিলেন বাঙালির শৃঙ্খলমুক্তির মহানায়ক। বেড়ে উঠার পাশাপাশি কাটিয়েছেন নিজের শৈশব। আবার ঘাতকের নির্মম বুলেটে এই মাটির শীতল বিছানাতেই গভীর ঘুমে আচ্ছন্নও হয়ে আছেন ৪৫ বছর।
একই এলাকায় কাদামাখা মাটি শরীরে তিলক মেখে জীবনের আলোছায়ায় লাউয়ের ডগার মতোন তিনিও যে বেড়ে উঠেছেন।
শোষিত-নিপীড়িত বাঙালির সেই মুক্তিদ্রষ্টার সঙ্গে প্রায় ৫ যুগ আগের সদর উপজেলার কাঠি ইউনিয়নের সুলতানপুর মানিকহার গ্রামের চতুর্থ বা পঞ্চম শ্রেণিপড়ুয়া কোমলমতি শিক্ষার্থী এ কে এম রফিকুল আলমের তাই আবেগভরা স্মৃতি বর্ণিল এক ক্যানভাস হয়েই উঠে এসেছে।
এ স্মৃতিই যেন হৃদয়ের গভীরে বহুকাল ঘুমন্ত ছিলো তাঁর। মনের মেঘপিয়ন উঁকি দিয়েছে। জীবনের পড়ন্ত বেলায় স্মৃতির পাতা উল্টে তিনি তুলে আনেন স্বর্ণালী সেই স্মৃতি, অন্তর থেকে যেন ঝরে পড়ে মায়াবী এক স্নিগ্ধতা!
স্মৃতি হাতড়ে বলতে থাকেন- ‘১৯৫৩ সালের শেষ অথবা ১৯৫৪ সালের প্রথম দিকের ঘটনা, যখন আমি ৪র্থ/৫ম শ্রেণির ছাত্র। তখন আমি হাফ প্যান্ট পরতাম। আমার খেলার ছোট বলটি বাড়ির নিচে গড়িয়ে পড়লে আমি বল খোঁজ করছিলাম।
এমন সময় পিছন থেকে কেউ একজন পিঠে হাত রেখে স্নেহমাখা কণ্ঠে বলেন, ‘ভাইটি কেমন আছ?’ আমি পিছন ফিরে তাকিয়ে দেখি লম্বা, শ্যামলা, ছিপছিপে গড়নের এক যুবক। তার সঙ্গে থাকা আরেক ভদ্রলোক আমাকে জিজ্ঞাসা করলেন, ‘প্রেসিডেন্ট সাহেব কি বাড়ি আছেন?’
আমি তাদেরকে সালাম জানিয়ে বললাম যে, তিনি বাড়ি আছেন এবং তাদেরকে আমাদের বৈঠকখানায় বসতে দিয়ে চাচাকে ডেকে আনলাম। আমিও পাশে দাঁড়িয়ে তাদের কথাবার্তা শুনতে থাকলাম।
আমি লক্ষ করলাম যে, লম্বা ও ছিপছিপে গড়নের লোকটি যুক্তিপূর্ণ বলিষ্ঠ কণ্ঠে চাচার সাথে কথা বলছিলেন। সেই দিন থেকে আমি জানতে পারি বলিষ্ঠ কণ্ঠটি শেখ মুজিবুর রহমানের এবং তিনি বাঙালি জাতির অধিকার আদায়ের কালজয়ী নেতা।’
বঙ্গবন্ধুর সঙ্গে গভীর সেই আত্মার বন্ধন
বাবা চিকিৎসক ও চাচা ব্রিটিশ আমল থেকেই ইউনিয়ন বোর্ডের প্রেসিডেন্ট থাকায় এ কে এম রফিকুল আলমের সেই সময়কার হেভিওয়েট নেতাদের শৈশবেই কাছ থেকে দেখার অপূর্ব সুযোগ ঘটে। নির্বাচনকে কেন্দ্র করে নিয়মিতই তাদের ওই বাড়িতে যাতায়াত ছিল।
বীর মুক্তিযোদ্ধা রফিকুল আলমের অতীতবিধুরতায় উঠে আসে সেই সময়কার পাকিস্তানের প্রাক্তন কমার্স মিনিস্টার ওয়াহিদুজ্জামান, সাবেক সংসদ সদস্য ফায়েকুজ্জামান, অ্যাডভোকেট আ. ছালাম খানদের কথা।
কিন্তু ইউনিয়ন বোর্ড প্রেসিডেন্ট চাচা’র সঙ্গে বঙ্গবন্ধুর ওইদিনের যুক্তিপূর্ণ, সাহসী ও দৃঢ়চেতা মনোভাবময় উচ্চারণ আজও তাঁর হৃদয়-মস্তিষ্কে স্থায়ী আসন পেতে আছে।
জাতির ধন্য সেই পুরুষের কোমল স্নেহ, স্নিগ্ধ ভালোবাসা আর পরম মমতায় ঘেরা মধুর উচ্চারণ নির্মল আনন্দে তাকে আপ্লুত করে প্রতিদিন, প্রতিনিয়ত। এখনও কত গভীর সেই আত্মার বন্ধন!
পাকিদের বিরুদ্ধে আন্দোলন-সংগ্রাম, মুক্তিযুদ্ধ
বঙ্গবন্ধুর সঙ্গে শৈশবের স্মরণীয় মধুর স্মৃতি তুলে ধরে চলতি শোকের মাস আগস্টে দেশের বিভিন্ন গণমাধ্যমে সুখ-দু:খের এক অপূর্ব মিশেলে অতীতের স্মৃতিরোমন্থন করেছেন গোপালগঞ্জের এ বীর মুক্তিযোদ্ধা।
একই সঙ্গে পাকিদের হটাতে ধাপে ধাপে কঠিন আন্দোলন-সংগ্রাম, মহান মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ সবই সুনিপুণ দক্ষতায় তুলে এনেছেন ১৯৬৩ সালে বিএসসি পাস করা এ কে এম রফিকুল আলম।
লিখেছেন এভাবে- ‘১৯৭০ সালের শেষ ভাগে বাংলাদেশ অর্ডন্যান্স ফ্যাক্টরিতে বদলি হয়ে আসি। এসেই জানতে পারি গাজীপুর ইউনিয়নে জনাব আ ক ম মোজম্মেল হক (বর্তমান মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী) ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান পদের জন্য আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।
আমি তাঁর সঙ্গে দেখা করি এবং সকল কর্মকর্তা/কর্মচারীগণকে মোজাম্মেল সাহেবকে ভোট দেওয়ার জন্য অনুরোধ জানাই। জনাব মোজাম্মেল বিপুল ভোটে বিজয়ী হয়ে ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন। পরবর্তী পর্যায়ে পাকিস্তানের জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়।
বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে আওয়ামী লীগ সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জন করে। কিন্তু পাকিস্তানি শাসকরা বঙ্গবন্ধুকে ক্ষমতা হস্তান্তরে তালবাহানা শুরু করে। শুরু হয় আন্দোলন, যা পরবর্তীতে পাকিস্তানিদের বর্বরতা ও নিষ্ঠুর আচরণের জন্য স্বাধীনতা যুদ্ধে রূপ নেয়।
আমরা অর্ডন্যান্স ফ্যাক্টরিতে মিটিং-মিছিল করতাম। সেসব মিটিংয়ে আমাদের শ্রমিক নেতারা বিশেষ করে আঃ ছালাম, সেকেন্দার আলী, নজরুল ইসলাম, আ. সাত্তার প্রমুখ পাকিস্তানিদের বিরুদ্ধে জ্বালাময়ী বক্তৃতা দিতেন।
অপরদিকে, মেশিন টুলস ফ্যাক্টরির জনাব মোতালেবের (পরবর্তীতে সিলেটের এমপি ছিলেন) নেতৃত্বে মিটিং মিছিল ও আন্দোলনও চলতে থাকে। সেই সময়ে গাজীপুরের স্থানীয় লোকজন শিক্ষা-দীক্ষা ও আর্থিক দিক দিয়ে খুবই অনুন্নত ছিল। তবে তারা অর্ডন্যান্স ফ্যাক্টরি ও মেশিন টুলস্ ফ্যাক্টরির আন্দোলনে সহযোগিতা করতো।
আন্দোলনের দিক থেকে অর্ডন্যান্স ফ্যাক্টরি ছিল এক নম্বরে। তারাই পাকিস্তানি অফিসার মারার সাথে জড়িত ছিল এবং অস্ত্রভাণ্ডার খুলে দিয়ে মুক্তিযোদ্ধাদের হাতে অস্ত্র তুলে দিয়েছিল’ যোগ করেন মহান জাতির পিতার স্মৃতিধন্য গোপালগঞ্জের এ সন্তান।
গাজীপুর থেকে গোপালগঞ্জ অত:পর মুক্তিযুদ্ধ
বঙ্গবন্ধু অন্ত:প্রাণ হয়েও কেন সেই সময় রাজনীতিতে সক্রিয় হতে পারেননি সেই বিষয়টিও বাদ দেননি এ কে এম রফিকুল আলম।
বলেছেন, ‘মধ্যবিত্ত পরিবারের সন্তান হওয়ায় এবং প্রতি বছরের বন্যায় ফসল ধ্বংস হওয়ায় আমাদের আর্থিক অবস্থা দুর্বল হয়ে পড়ে।
তাই ১৯৬৩ সালে বিএসসি পাস করার পর তিন বছর সহকারী হেড মাস্টার কাম বিজ্ঞান শিক্ষক হিসেবে কোটালীপাড়া ইউনিয়ন ইনস্টিটিউশন (বালিয়াডাঙ্গা) ও মেরী গোপীনাথপুর হাই স্কুলে শিক্ষকতা করি।
পরবর্তী পর্যায়ে পাকিস্তানের রাওয়ালপিন্ডির অর্ডন্যান্স ফ্যাক্টরির এক্সপ্লোসিভস ফ্যাক্টরিতে প্রডাকশন কেমিস্ট হিসেবে কাজ করায় তখন আমার পক্ষে সক্রিয় রাজনীতি করা সম্ভব ছিল না।’
চলার পথের অনেক স্মৃতির ভাঁজে ভাঁজে এসব স্মৃতি আজও অমলিন বীর মুক্তিযোদ্ধা রফিকুল আলমের। সময়ের অবিশ্রান্ত ধারায় চলমান সময়ের মাঝে মুছে যেতে দেননি এসব স্মৃতিচিত্র। চোখ বন্ধ করলেই যেন ভেসে আসে স্মৃতির ফেলে আসা দৃশ্যপট।
মহান স্বাধীনতা যুদ্ধের সম্মুখ যোদ্ধা এ কে এম রফিকুল আলম আরও লিখেছেন-‘মেশিন টুলস ফ্যাক্টরির কর্মচারীগণ দ্বিতীয় স্থানে থেকে সর্বদা অর্ডন্যান্স ফ্যাক্টরির নেতাদের সহযোগিতা করতেন।
প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তা/কর্মচারীদের রাজনীতি নিষিদ্ধ থাকায় এবং স্বাধীনতার পরে কারখানাগুলি বন্ধ থাকায় কারখানার সকল কর্মকর্তা/কর্মচারীগণ দেশের বিভিন্ন এলাকায় বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে।
তাই রাজনীতি স্থানীয় লোকের হাতে চলে যায়। ফলে স্থানীয় জনগণ আন্দোলনের কৃতিত্ব পেয়ে যায়। এখানে উল্লেখ্য যে, যুদ্ধ শুরু হওয়ার পরপরই অর্ডন্যান্স ফ্যাক্টরি বন্ধ হয়ে যাওয়ায় জীবনের ঝুঁকি নিয়ে আমি গাজীপুর থেকে গোপালগঞ্জে চলে আসি ও মুক্তিযুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়ি।’
সেই-যে আমার নানা রঙের দিনগুলি
বঙ্গবন্ধুর সংগ্রামী চেতনায় গড়েছেন নিজের জীবন ও মনন। নির্মল এক ভালোবায় বাঁধা শৈশবে বঙ্গবন্ধুর সঙ্গে তাঁর এক খন্ড স্মৃতি সঙ্গী করেই বীর মুক্তিযোদ্ধা রফিকুল আলম এগিয়ে গেছেন জীবনের উজানে।
শিশু মনেই হয়তোবা সেদিন আঁচ করতে পেরেছিলেন-দেশের মানুষকে পরাধীনতার শৃঙ্খল মুক্ত করার উচ্চাকাঙ্খার প্রদীপ্ত এক অলীক প্রভা বঙ্গবন্ধুকে।
মনের গহিনে স্বমহিমায় অম্লান হয়ে থাকা প্রেরণার পুরুষ বঙ্গবন্ধুর সঙ্গে তাঁর শৈশব স্মৃতি যেন এক লহমায় মুছে দিতে পারে নিজের জীবনযুদ্ধের গ্লানি, কষ্ট বা যন্ত্রণা।
ভোরের অবিচ্ছন্ন নীরবতায়, দু’চোখ বন্ধ করে হয়তো তাঁর কন্ঠে গুঞ্জরিত হয় চমৎকার স্মৃতিজাগানিয়া সেই গান-‘দিনগুলি মোর সোনার খাঁচায় রইল না/সেই-যে আমার নানা রঙের দিনগুলি।’
বঙ্গকন্যার সঙ্গে প্রথম সাক্ষাতের গল্প
একাত্তরে রণাঙ্গন কাঁপানো বীর মুক্তিযোদ্ধা এ কে এম রফিকুল আলম মনে করেন, বাবা জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের মতোই নিজেকে মানবিকতার বৈভব-শিখরে বিস্ময়কর মুনশিয়ানায় উন্নীত করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
প্রিয়জন হারানোর সমস্ত ব্যথা বুকে নিয়েও দেশ ও মানুষের কল্যাণে ছুটে চলেছেন নিরন্তর।
‘বঙ্গবন্ধুর সঙ্গে শৈশবের স্মরণীয় মধুর স্মৃতি’ শীর্ষক স্মৃতিচারণে তিনি বলেছেন-‘গত জাতীয় নির্বাচনের পরে ২০১৯ সালের প্রথম দিকে আওয়ামী লীগের বিপুল বিজয়ের পরে একজন গর্বিত মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর অনুমতিক্রমে তাঁকে শুভেচ্ছা জানাতে গণভবনে যাই।
বঙ্গবন্ধু কন্যা, দেশনেত্রী, বিশ্বনেত্রী মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সাথে দেখা করে বুঝতে পারি তিনি কত বড় মন ও বড় মাপের মানুষ। তাঁর সাবলীল কথাবার্তা ও আন্তরিকতা আমাকে ভীষণভাবে মুগ্ধ করে। তাঁর ভাল ব্যবহার ও কথাবার্তায় মনে হয়েছিল তিনি কত আপন, আন্তরিক ও পূর্ব পরিচিত।
অথচ এটা ছিল মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর সাথে আমার জীবনের প্রথম সাক্ষাৎ। তার ব্যবহার ও কথাবার্তায় ছোটবেলার বঙ্গবন্ধুর সেই স্নেহমাখা অম্লান কথাটি “ভাইটি কেমন আছ?” মনে পড়ে যায়।’
প্রকৃত অর্থেই মহান স্বাধীনতা যুদ্ধের বীর সেনানী এ কে এম রফিকুল আলমসহ বঙ্গবন্ধুর আদর্শিক চেতনায় বিশ্বাসীদের মাঝেই ভিন্নমাত্রায় শানিত হবেন বাঙালির মুক্তি সংগ্রামের মহানায়ক।
অসাম্প্রদায়িক, ধর্মনিরপেক্ষ ও অসংকীর্ণ অর্থে বাঙালি জাতীয়তাবাদ নিশ্চিতে বঙ্গবন্ধুর দেখানো পথই উদ্দীপ্ত অনুপ্রাণিত করবে বাঙালিকে।
ফলশ্রুতিতে, পিতা মুজিবের অসমাপ্ত স্বপ্নপূরণে বঙ্গকন্যা শেখ হাসিনার হাতকে শক্তিশালী করার দৃঢ়প্রত্যয়ও উচ্চারিত হবে জনেজনে, দেশের প্রতিটি পথে প্রান্তরে।
কালের আলো/আরআই/এমএএএমকে